মঙ্গলবার, ২৫ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

ইসি গঠনে ফখরুলকে দায়িত্ব দিলে খুশি বিএনপি

নিজস্ব প্রতিবেদক

ইসি গঠনে ফখরুলকে দায়িত্ব দিলে খুশি বিএনপি

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, নির্বাচন কমিশন গঠনের দায়িত্ব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবকে দিলেই কেবল বিএনপি খুশি হবে, অন্যথায় নয়। গতকাল সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। ইসি গঠন আইনের খসড়া নিয়ে বিএনপির বিরূপ মন্তব্য প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান, যা দেশের সর্বোচ্চ আইন, সেখানে একটি আইনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠনের কথা বলা আছে। যদিও ৫০ বছরে সে আইন হয়নি। রাষ্ট্রপতি নির্বাচন কমিশন গঠন করার লক্ষ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপে বসেছিলেন এবং বেশির ভাগ দলই বলেছিল সংবিধান অনুযায়ী একটি আইনের মাধ্যমে যাতে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়। বিএনপি রাষ্ট্রপতির সংলাপে যায়নি, কিন্তু বিভিন্ন রাজনৈতিক সভা, মিছিল, টকশো এবং অন্যান্য জায়গায় বলেছিল আইন করতে সময় লাগে না, দুই দিনেই করা যায়, দেশে অনেক কিছুই প্রয়োজনের নিরিখে হয়েছে। এজন্য তারা আইন করতে তাগাদা দিয়েছিল। কিন্তু আজ যখন আইন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তখন তারা বিরোধিতা করছে। আইন কিন্তু এখনো হয়নি, প্রস্তাবটি সংসদে উঠেছে, সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে গেছে। বৈঠক শেষে আইনমন্ত্রী ও সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান ব্রিফ করেছেন, বিএনপির প্রতিনিধিদের পক্ষেও ব্রিফ করা হয়েছে এবং আইনের খসড়ায় তারা যে সংশোধনগুলো প্রস্তাব করেছিলেন, তার অনেক কিছুই গ্রহণ করা হয়েছে বলে সংসদীয় কমিটি বলেছে। অর্থাৎ সবাইকে সঙ্গে নিয়ে পুরো প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আইন হচ্ছে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, আসলে বিএনপি চায় বাংলাদেশে একটি ঘোলাটে পরিস্থিতি তৈরি হোক। বিএনপি কোনো কিছুতেই খুশি হবে না, যদি তিন মাস সময় নিয়ে আইন করা হয় এর পরও বিএনপি খুশি হবে না। বিএনপি খুশি হবে যদি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবকে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এ ছাড়া তাদের খুশি হওয়ার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।  এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সুশীলসমাজের প্রতিনিধিরা আইনমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে আইনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠনের তাগাদা দিয়েছিলেন। 

পাশাপাশি আইনের একটি রূপরেখা তারা দিয়েছেন। তখন আইনমন্ত্রী বলেছিলেন এখন আইন করতে গেলে তাড়াহুড়ো হবে। তখন সুশীলসমাজের প্রতিনিধিরা বলেছেন রাষ্ট্রপতির অর্ডিন্যান্সের মাধ্যমে আইনটি করা হোক। যারা এ কথা বলেছিলেন আইনমন্ত্রীকে তারা এখন আবার রবিবার জুম মিটিং করে বলেছেন তাড়াহুড়ো করে আইন করা সমীচীন হচ্ছে না। যখন সরকার একটি ভালো উদ্যোগ নিয়েছে তখন তারা আবার নিজেরা যে অবস্থানে ছিলেন, দাবি দিয়েছিলেন তার বিপরীতে অবস্থান নিয়েছেন। তাহলে তাদের উদ্দেশ্যটা কী। তাদের উদ্দেশ্য আসলে সৎ নয়। এসব কথাবর্তা বলে তারা আসলে রাজনৈতিক ক্রীড়নক হিসেবে কাজ করছেন। তারা আসলে পানি ঘোলা করতে চান।

 

সর্বশেষ খবর