সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, প্রস্তাবিত আইনের মাধ্যমে ২০১৭ সালে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক জারিকৃত প্রজ্ঞাপনকে নতুন মোড়কে আনা হয়েছে। কোনো আলাপ-আলোচনা না করে সরকারের অনুগত অনুসন্ধান কমিটির মাধ্যমে নূরুল হুদার মতো বিতর্কিত ও অনুগতদের দিয়ে আরেকটি বিতর্কিত নির্বাচন করার জন্যই সম্পূর্ণ অযৌক্তিক এ আইন করা হচ্ছে। সরকার প্রস্তাবিত আইনে কমিটির কার্যক্রমে স্বচ্ছতা নিশ্চিতের কোনো বিধান নেই। গতকাল সুজনের উদ্যোগে আয়োজিত ‘প্রস্তাবিত নির্বাচন কমিশন নিয়োগ আইন : জনআকাক্সক্ষা ও করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এসব কথা বলেন তিনি। অধ্যাপক ড. রওনক জাহানের সঞ্চালনায় গোলটেবিল বৈঠকে লিখিত প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ড. বদিউল আলম মজুমদার। তিনি বলেন, সুজন প্রস্তাবিত আইনের খসড়ায় অনুসন্ধান কমিটির কাজের স্বচ্ছতা নিশ্চিতের বিষয়টিই মূল বিষয়। খসড়ায় কমিটির কার্যাবলির স্বচ্ছতা নিশ্চিতের জন্য নামের তালিকা প্রকাশ এবং যাচাই প্রক্রিয়ায় জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিতের জন্য গণশুনানির বিধান রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, কমিটির নাম যাচাই প্রক্রিয়াকে আরও পুঙ্খানুপুঙ্খ করার লক্ষ্যে দুই ধাপে নামের তালিকা প্রকাশের বিধান রাখা হয়েছে। খসড়ায় যাচাই প্রক্রিয়া সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশের বাধ্যবাধকতাও রাখা হয়েছে। রাখা হয়েছে কমিটির সভার পূর্ণাঙ্গ কার্যবিবরণী এবং সদস্যদের ভোট প্রদানের তথ্য লিপিবদ্ধ ও সংরক্ষণের বিধান। এই নির্বাচন বিশ্লেষক বলেন, কোনো নাগরিক যদি কমিটির সভার কার্যবিবরণীর অনুলিপি পাওয়ার জন্য আবেদন করেন তবে অনতিবিলম্বে তা প্রদান করার বিধান রাখা হয়েছে। এতে নাগরিকদের তথ্য প্রাপ্তির অধিকার নিশ্চিত হবে।