বৃহস্পতিবার, ২৭ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা
আবরার হত্যা

১৭ আসামির জেল আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা মামলায় মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত ১৭ আসামির জেল আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছে হাই কোর্ট। গতকাল বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। আদালত বলেছে, ডেথ রেফারেন্স ও সব আপিল একসঙ্গে শুনানি হবে। সে ক্ষেত্রে পেপারবুক তৈরি পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলেছে আদালত। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কে এম মাসুদ রুমি। এ মামলায় বিচারিক আদালত ২০ জনকে মৃত্যুদন্ড দেয়। ৬ জানুয়ারি মামলার ডেথ রেফারেন্স হাই কোর্টে এসে পৌঁছায়। ফৌজদারি কার্যবিধি অনুসারে বিচারিক আদালতে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হলে তা অনুমোদনের জন্য মামলার যাবতীয় কার্যক্রম উচ্চ আদালতে পাঠাতে হয়। এ ছাড়া দন্ডিত আসামিরা উচ্চ আদালতে ফৌজদারি আপিল ও জেল আপিল করতে পারেন। তারই ধারাবাহিকতায় ১৭ জন জেল আপিল করেন। বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার হত্যা মামলায় ৮ ডিসেম্বর ২০ আসামিকে মৃত্যুদন্ড ও পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেওয়া হয়। এরপর ৬ জানুয়ারি এ রায়ের ডেথ রেফারেন্স এবং মামলার যাবতীয় নথি হাই কোর্টে আসে।

মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মেহেদী হাসান রাসেল, অনীক সরকার ওরফে অপু, মেহেদী হাসান রবিন ওরফে শান্ত, ইফতি মোশাররফ সকাল, মনিরুজ্জামান মনির, মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, মাজেদুর রহমান ওরফে মাজেদ, মুজাহিদুর রহমান ওরফে মুজাহিদ, খন্দকার তাবাখ্খারুল ইসলাম ওরফে তানভীর, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, শামীম বিল্লাহ, সাদাত ওরফে এ এস এম নাজমুস সাদাত, মুনতাসির আল জেমী, মিজানুর রহমান ওরফে মিজান, এস এম মাহমুদ সেতু, সামসুল আরেফিন রাফাত, মোর্শেদ ওরফে মোর্শেদ অমর্ত্য ইসলাম, এহতেশামুল রাব্বি ওরফে তানিম, মাহমুদুল জিসান ও মুজতবা রাফিদ। যাবজ্জীবন কারাদন্ডপ্রাপ্তরা হলেন- অমিত সাহা, ইসতিয়াক আহমেদ মুন্না, আকাশ হোসেন, মুহতাসিম ফুয়াদ ও মোয়াজ ওরফে মোয়াজ আবু হোরায়রা।

আবরারকে যে রাতে হত্যা করা হয় তার পরদিন ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর তার বাবা ১৯ শিক্ষার্থীকে আসামি করে চকবাজার থানায় মামলা করেন। তদন্তে নেমে পুলিশ এজাহারের ১৬ জনসহ মোট ২১ জনকে গ্রেফতার করে। তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান ওই বছরের ১৩ নভেম্বর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে মোট ২৫ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র জমা দেন। অভিযোগপত্র গ্রহণ করে ১৮ নভেম্বর পলাতক চার আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আদালত। তাদের মধ্যে একজন পরে আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে মামলাটি পরে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এ বদলির আদেশ দেওয়া হয়। বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান ২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে মামলাটির বিচারকাজ শুরু করেন। দুই পক্ষে যুক্তিতর্ক ও শুনানি শেষে ১৪ নভেম্বর বিচারক এ মামলার রায়ের জন্য ২৮ নভেম্বর তারিখ রাখেন। তবে ওই দিন রায় লেখা বাকি থাকায় তারিখ পিছিয়ে ৮ ডিসেম্বর ঠিক করা হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর