শনিবার, ২৯ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা
হাসপাতালে আড়াই মাস

খালেদা জিয়ার জন্য নতুন শঙ্কা অতিরিক্ত করোনা রোগী

শফিকুল ইসলাম সোহাগ

খালেদা জিয়ার জন্য নতুন শঙ্কা অতিরিক্ত করোনা রোগী

হাসপাতালে টানা আড়াই মাস পার করলেন লিভার সিরোসিস ও অন্যান্য রোগে আক্রান্ত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। গত বছরের ১৩ নভেম্বর রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে। তার শারীরিক বিশেষ কোনো উন্নতি না হলেও চিকিৎসকদের কাছে স্বস্তির বিষয় লিভারে রক্তক্ষরণ অনেকটাই বন্ধ রয়েছে।

এদিকে দেশে আবারও করোনার প্রকোপ চলতে থাকায় এভারকেয়ার হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর চাপ। এ জন্য নতুন করে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। গত বছরের ১১ এপ্রিল খালেদা জিয়া করোনা পজিটিভ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তখন শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় আইসিইউতে নিতে হয়েছিল। এ জন্যই এভারকেয়ারে কর্তব্যরত চিকিৎসকদের মধ্যে এবারও ভয় কাজ করছে। হাসপাতাল সূত্র জানায়, নানা রোগে আক্রান্ত খালেদা জিয়াকে হাসপাতাল থেকে বাসায় নেওয়ার মতো অবস্থা নেই। খালেদা জিয়ার একাধিক চিকিৎসক বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, সিসিইউ থেকে কেবিনে নেওয়া হলেও মেডিকেল বোর্ড তাকে সর্বক্ষণ পর্যবেক্ষণ করছে। যে কোনো সময় অবস্থার পরিবর্তনও হতে পারে। তার প্রয়োজন বিদেশে উন্নত চিকিৎসা। প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতার কারণে দেশে তার সুচিকিৎসা হচ্ছে না। হাসপাতাল সূত্র জানায়, হাসপাতালে করোনা রোগী বেড়ে যাওয়ায় এক মাস ২৭ দিন পর গত ৯ জানুয়ারি বেগম জিয়াকে রাজধানীর এভারকেয়ারের সিসিইউ থেকে কেবিনে নেওয়া হয়; সেখানে অন্যদের যাওয়া-আসা চলাচল একেবারে সীমিত করা হয়েছে। কেবিনে প্রবেশের আগে নার্স, স্টাফদেরও তাপমাত্রা পরীক্ষা করা হচ্ছে। বাইরে থেকে কাউকে ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। নানা সমস্যা থাকায় বোর্ড এখন হাসপাতাল থেকে খালেদা জিয়াকে ছাড়পত্র দিচ্ছে না। নতুন আরও কতগুলো টেস্ট দেওয়া হয়েছে। মেডিকেল বোর্ডের এক চিকিৎসক বলেন, ম্যাডাম শারীরিকভাবে খুবই অসুস্থ। ডায়াবেটিস কখনো নিয়ন্ত্রণে ছিল না। ইনসুলিন দিয়ে নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে ঝুঁকিমুক্ত বলা যাবে না। এ জন্য কেবিনে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সিসিইউর সাপোর্টও রাখা হয়েছে। বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, ম্যাডামকে হাসপাতাল থেকে বাসায় নিয়ে আসার বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বাধীন ১০ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং জার্মানি এই তিনটি দেশের যে কোনো একটিতে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর