শনিবার, ২৯ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা
নির্বাচনী সহিংসতা

আওয়ামী লীগের অফিস ভাঙচুর, বোমা বিস্ফোরণ

প্রতিদিন ডেস্ক

ইউপি নির্বাচনকে সামনে রেখে ময়মনসিংহের ফুলপুরে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী অফিসে ভাঙচুর ও হাতবোমা বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। এ ছাড়া ঝিনাইদহের শৈলকুপায় স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যালয় ও প্রচার মাইক ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-

ফুলপুর (ময়মনসিংহ) : ফুলপুরে বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে পয়ারী ইউনিয়নের কাড়াহা গ্রামের মধ্যপাড়ায়  শহিদুল ইসলামের ফিশারির কাছে ও ইউনুস আলী খাঁর বাড়ি সংলগ্ন নৌকা প্রতীকের নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর করা হয়েছে। এ ছাড়া ইমাদপুর মোটরভাঙা বাজার সংলগ্ন আবদুল কাদিরের দোকানের সামনে, মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী পশু চিকিৎসক শাহীন ও ঘোড়া প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলমের অফিসের সামনে ও আওয়ামী লীগের   নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এনামুল কবিরের অফিসের সামনে অন্তত ২০টি  বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। এ বিষয়ে প্রার্থীদের কাছে জানতে চাইলে তারা পরস্পর পরস্পরকে দোষারোপ করছেন। এ বিষয়ে ওসি আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ঝিনাইদহ : শৈলকুপায় অষ্টম ধাপে নির্বাচনে নিত্যানন্দপুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ফারুক হোসেন বিশ্বাসের নির্বাচনী কার্যালয় ও প্রচার মাইক ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে নৌকা প্রতীক সমর্থকদের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ইউনিয়নের শেখরা বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর উভয় পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করে। ঘটনার পর নিত্যানন্দপুর ইউনিয়ন উত্তপ্তের নগরীতে পরিণত হয়েছে। শান্তি বজায় রাখার জন্য প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সাধারণ ভোটাররা। নিত্যানন্দপুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন বিশ্বাস অভিযোগ করে বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শেখড়া বাজারে পুলিশের উপস্থিতিতে আমার মোটরসাইকেল মার্কার অফিস ভাঙচুর করা হয়েছে। সেখানে পুলিশ নীরব ছিল। এমন নীরবতা পালন করা পুলিশের ঠিক হয়নি। ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, একটা অফিস ভাঙা তো ১৫ মিনিটের ব্যাপার। প্রার্থী পুলিশের প্রতি অযথা দোষারোপ করছেন। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। বর্তমানে এলাকা পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আছে।

চট্টগ্রাম : ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের শেষ বা সপ্তম ধাপের নির্বাচন ঘিরে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলায় উত্তপ্ত হয়ে আছে। প্রতিদিনই কোনো না কোনো সময় নৌকা-বিদ্রোহী-স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষ হচ্ছেই। জানা গেছে, আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি সপ্তম ধাপ তথা শেষ ধাপে সাতকানিয়া উপজেলার ১৭টি ইউপিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। মনোনয়নপত্র জমা, প্রতীক বরাদ্দ ও প্রচার-প্রচারণা শুরুর পর থেকেই প্রতিটি ইউপিতে চলছে নানা সহিংসতা, গোলাগুলি, হামলাসহ নানা ঘটনা। স্বতন্ত্র প্রার্থী মিজানুর রহমান বলেন, আমার ওপর হামলাসহ নানা ধরনের হুমকি-ধমকি দেওয়া হচ্ছে। সাতকানিয়া থানার ওসি আবদুল জলিল বলেন, উপজেলা নির্বাচন অফিসে অভিযোগের পাশাপাশি থানায়ও অভিযোগ আসছে।

বগুড়া : বগুড়ার চার উপজেলার ২২ ইউপির নির্বাচন আগামী ৩১ জানুয়ারি। ষষ্ঠ ধাপের এই নির্বাচনে সব ইউনিয়নে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ হবে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জমজমাটভাবে চলছে প্রচারণা। নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার দুটি, গাবতলী উপজেলার ৩টি, সারিয়াকান্দির ১১টি ও সোনাতলা উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ২২ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান ও সদস্যসহ ১৩০২ জন প্রার্থী ভোটের মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন। আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ও জামায়াত সমর্থিতরাও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর