শুক্রবার, ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

শান্তিপূর্ণ পরিবেশ থাকলেই হয় দেশের উন্নয়ন : প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

শান্তিপূর্ণ পরিবেশ থাকলেই হয় দেশের উন্নয়ন : প্রধানমন্ত্রী

দেশকে এগিয়ে নিতে সবাই সম্মিলিতভাবে কাজ করবে বলে আশা প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশকে আমরা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। দেশের এ উন্নয়নের অগ্রযাত্রা যাতে অব্যাহত থাকে তার জন্য সবাই প্রচেষ্টা চালাবেন- এটাই আমি আশা করি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ শান্তির দেশ। আমরা শান্তিতে বিশ্বাস করি। শান্তিপূর্ণ পরিবেশ থাকলেই দেশের উন্নয়ন হয়। দেশের উন্নয়ন মানে প্রতিটি পরিবারের উন্নয়ন। প্রতিটি পরিবার সচ্ছলভাবে জীবনযাপন করুক, সুন্দরভাবে বাঁচুক সেটাই আমরা চাই।

গতকাল বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ৪২তম জাতীয় সমাবেশে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। গাজীপুরের আনসার ভিডিপি একাডেমিতে অনুষ্ঠিত এ সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে আনসার ও ভিডিপির ১৬২ সদস্যকে পদক দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এ পদক তুলে দেন। অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আখতার হোসেন এবং আনসার ও ভিডিপির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম বক্তৃতা করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে রূপান্তরের পথে অগ্রগতির ধারা অব্যাহত রাখতে আনসার ও ভিডিপি সদস্যদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের মাথাপিছু আয় বেড়েছে, প্রবৃদ্ধি বাড়ছে এবং অর্থনীতিও যথেষ্ট শক্তিশালী হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে আমি মনে করি আপনাদের যথেষ্ট অবদান রয়েছে। কাজেই সবাই সম্মিলিতভাবে কাজ করবেন সেটাই আমি আশা করি।

তিনি এ প্রসঙ্গে পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদি পরিপ্রেক্ষিত পরিকল্পনা ও এ অঞ্চলের মানুষকে জলবায়ুর অভিঘাত থেকে মুক্ত রাখা এবং উন্নত জীবন দেওয়ার লক্ষ্যে শতবর্ষ মেয়াদি ডেল্টা পরিকল্পনা বাস্তবায়নেও তাঁর সরকারের পদক্ষেপের উল্লেখ করেন।

সরকারপ্রধান বলেন, এ পরিকল্পনা আমি দিয়ে গেলাম যেন বাংলাদেশের এ উন্নয়নের অগ্রযাত্রা আর কখনো কেউ ব্যাহত করতে না পারে। আমরা এগিয়ে যাচ্ছি, এগিয়ে যাব।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার ২০০৮ সালের নির্বাচনে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের ঘোষণা দিয়েছিল। আজকের বাংলাদেশ ডিজিটাল বাংলাদেশ। ব্রডব্যান্ড প্রতি ইউনিয়নে পৌঁছে গেছে, মহাকাশে স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১ আমরা উৎক্ষেপণ করেছি, অনলাইনে সব কাজকর্ম হচ্ছে। ভূমির পর্চা থেকে শুরু করে সবকিছুই এখন ডিজিটালাইজড হচ্ছে। করোনার মধ্যে আর্থিক প্রণোদনাও ডিজিটাল পদ্ধতিতে সরাসরি প্রাপকের কাছে পৌঁছে দিয়েছি- সেভাবেই বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপনের প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ সময়ে আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশের একটি মানুষও গৃহহীন-ভূমিহীন থাকবে না। তাদের জন্য জমি দিচ্ছি, ঘর করে দিচ্ছি। পাশাপাশি প্রতিটি ঘরে আলো জ্বালানোর যে ঘোষণা দিয়েছিলাম সে অনুযায়ী ঘরে ঘরে আমরা বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী আনসার সদস্যদের মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজ প্রত্যক্ষ করেন এবং তাঁকে রাষ্ট্রীয় অভিবাদনও জানানো হয়।শেখ হাসিনা বলেন, এ বাংলাদেশকে আমরা সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ মুক্ত করতে চাই। আর সে লক্ষ্য নিয়েই কাজ করছি। আর এ ক্ষেত্রে এ বাহিনী সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, উগ্রবাদ, মৌলবাদ দমনে বিশেষ ভূমিকা রেখে যাচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের ভিডিপি সদস্যদের জন্য পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কারণ আমরা চাই তারা যার যার এলাকায় গিয়ে কাজ করবেন। আর একটি বিষয়ে আমরা পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছি- ‘বাংলাদেশ আনসার ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট’ নামে একটি ফান্ড গঠন করা হবে। যারা অসুবিধায় পড়েন বা বয়োবৃদ্ধ হয়ে পড়লে ওই ট্রাস্ট থেকে যাতে সাহায্য-সহযোগিতা করা যায় সেজন্য সিড মানি দিয়ে এ ট্রাস্ট ফান্ড আমরা করে দেব।

সর্বশেষ খবর