সোমবার, ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

একুশ হোক দুর্নীতি প্রতিরোধে প্রেরণা

নিজস্ব প্রতিবেদক

একুশ হোক দুর্নীতি প্রতিরোধে প্রেরণা

ড. ইফতেখারুজ্জামান

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, ‘একুশের পথ বেয়েই আমরা অর্জন করেছি স্বাধীনতার গৌরবদীপ্ত সূর্য। একুশ যেমন আবেগের, তেমনি সংগ্রাম ও দ্রোহের। যে কোনো অন্যায়, নিপীড়ন ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে এবং ন্যায়ের পক্ষে সমন্বিত প্রতিবাদের প্রেরণা একুশে ফেব্রুয়ারি। তাই একুশ হোক দুর্নীতি প্রতিরোধে অনন্য প্রেরণার উৎস।’ গতকাল এক বিবৃতিতে তিনি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘একুশের চেতনায় প্রিয় স্বদেশ হোক গণতান্ত্রিক, সুশাসিত, দুর্নীতিমুক্ত, অসাম্প্রদায়িক ও বৈষম্যমুক্ত। জাতি, ধর্ম, গোত্র, বর্ণ নির্বিশেষে চাই সবার ভাষা ও সংস্কৃতি চর্চার নিরাপত্তা ও ন্যায়বিচার। একুশে ফেব্রুয়ারির আত্মদানের মূলে রয়েছে বৈষম্য, শোষণ ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে চিরজাগরূক স্বত্বার সংগ্রামী বহিঃপ্রকাশ। একুশ সমস্ত অন্যায়, অবিচার, শোষণ, বৈষম্য ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর প্রেরণা জোগায়। একুশের যে চেতনা আর দৃপ্ত শপথের চূড়ান্ত বহিঃপ্রকাশে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমাদের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছিল, দুর্নীতির সর্বব্যাপী বিস্তৃত অক্টোপাস সেই অর্জন ভূলুণ্ঠিত করছে। বৈষম্যহীন, শোষণহীন, ভয়মুক্ত সমাজ বিনির্মাণের যে শপথ, তা বিনষ্ট করছে। দুর্নীতির ধারণাসূচকে দীর্ঘ এক দশক বাংলাদেশের প্রায় একই অবস্থানে আটকে থাকা এবং দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে আমাদের ধারাবাহিকভাবে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন অবস্থান তারই প্রমাণ।’

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর শূন্য সহনশীলতার ঘোষণা সর্বোচ্চ পর্যায়ের রাজনৈতিক সদিচ্ছার প্রকাশ হলেও এর প্রয়োগে ঘাটতি থাকায় বাস্তবে তা ঘোষণাতেই আটকে আছে। বিশেষ করে এ ঘোষণা বাস্তবায়নের দায়িত্ব ও ক্ষমতাপ্রাপ্ত মহল এবং প্রতিষ্ঠানসমূহে দুর্নীতির যোগসাজশ, সহায়তা কিংবা সুবিধাভোগীদের প্রভাবে দুর্নীতির ব্যাপকতা ও গভীরতা লাগামহীনভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর ফলে একুশের চেতনায় সুশাসিত স্বদেশ গড়ার সম্ভাবনা ধূলিসাৎ হচ্ছে। তাই প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার কার্যকর বাস্তবায়নে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সর্বব্যাপী কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণই হবে একুশের চেতনার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর