মঙ্গলবার, ১ মার্চ, ২০২২ ০০:০০ টা
৬ কোটি ১০ লাখ ডোজ অনুদান

যুক্তরাষ্ট্র থেকে সবচেয়ে বেশি টিকা পেল বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

কোভ্যাক্সের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে ফাইজারের তৈরি কভিডের আরও ১ কোটি ডোজ টিকা অনুদানের মাধ্যমে সারা দেশে টিকাদান সম্প্রসারণের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। আমেরিকার জনগণের পক্ষ থেকে সর্বশেষ এই অনুদানটির মাধ্যমে বাংলাদেশ বিশ্বের সব দেশের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অনুদানকৃত কভিড টিকার সর্বব্রহৎ গ্রহীতা হয়ে উঠেছে। এখন পর্যন্ত মোট ৬১ মিলিয়ন  (৬ কোটি ১০ লাখ) ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। ২০২২ সালের মধ্যে সারা বিশ্বে বিনামূল্যে ফাইজারের তৈরি ১ বিলিয়ন ডোজ টিকা অনুদানের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী কভিড-১৯ মোকাবিলায় নেতৃত্ব দানে যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তর অঙ্গীকারের অংশ হিসেবে ফাইজারের তৈরি টিকার এই ধারাবাহিক অনুদান প্রদান অব্যাহত রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স হেলেন লা-ফেইভ বলেন, ‘ফাইজারের তৈরি টিকার সর্বশেষ এই অনুদানের মাধ্যমে আমাদের দুই দেশের মধ্যকার অংশীদারিত্ব ও বিশ্বের অন্য যে কোনো দেশের চেয়ে বাংলাদেশকে কভিড টিকা বেশি প্রদানে আমেরিকার জনগণের উদারতার বিষয়টিই উঠে এসেছে। আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, এর মাধ্যমে নিরাপদে ও দক্ষতার সঙ্গে মানুষের কাছে টিকা পৌঁছে দিতে বাংলাদেশ সরকার ও টিকা কার্যক্রমের দ্রুত সম্প্রসারণে সম্পৃক্ত সব অংশীদারের কাজের প্রতিফলন ঘটেছে।’ জাতীয় টিকা কার্যক্রমের প্রতিটি ক্ষেত্রে সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র ৯ হাজারেরও বেশি স্বাস্থ্যকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবীকে যথাযথ টিকাদান ব্যবস্থাপনা বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদানসহ শীতলীকৃত মজুদ, পরিবহন ব্যবস্থা গ্রহণ, শিক্ষার্থী ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীকে টিকাদানের লক্ষ্যভিত্তিক কার্যক্রম পরিচালনায় সহায়তা করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (ইউএসএআইডি), ডিপার্টমেন্ট অব ডিফেন্স, ডিপার্টমেন্ট অব স্টেট ও সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের মাধ্যমে কভিড-সংক্রান্ত উন্নয়ন ও মানবিক সহায়তা হিসেবে দেশটি ১৩ কোটি ১০ লাখ ডলারেরও বেশি অনুদান প্রদান করেছে। এই সহায়তার মাধ্যমে মানুষের জীবন বাঁচানো এবং কভিড-১৯ আক্রান্তদের চিকিৎসা প্রদান সম্ভব হয়েছে, রোগ পরীক্ষা-নিরীক্ষার সক্ষমতা ও পরিবীক্ষণ আর আক্রান্তের ব্যবস্থাপনা এবং সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ চর্চা জোরদার হয়েছে এবং সরবরাহ ব্যবস্থা ও দ্রব্যসামগ্রী ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি উন্নত হয়েছে।

তাছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তার ফলে সম্মুখসারির কর্মীরা সুরক্ষা পেয়েছেন এবং সংক্রমণ থেকে কীভাবে নিজেদের আরও সুরক্ষিত রাখা যায় সে বিষয়ে জনসচেতনতা বেড়েছে।

বিশ্বব্যাপী কোভ্যাক্স কার্যক্রমের আওতায় কভিড-১৯ টিকার অতি-শীতলীকৃত মজুদ, পরিবহন ও নিরাপদ ব্যবহার-বিধি অনুসরণে সহায়তার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ৪ বিলিয়ন ডলার অনুদান দিয়েছে। বিশ্বব্যাপী কভিড-১৯ টিকা গ্রহণের ন্যায়সঙ্গত সুযোগ তৈরির লক্ষ্যে প্রদত্ত এই অনুদানের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের বৃহত্তম দাতা দেশে পরিণত হয়েছে।

 

সর্বশেষ খবর