বৃহস্পতিবার, ৩ মার্চ, ২০২২ ০০:০০ টা

সুপ্রিম কোর্ট বার নিয়ে শীর্ষ চার আইনজীবীর তিন প্রশ্ন

নিজস্ব প্রতিবেদক

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতির শূন্যপদ এবং এ অবস্থায় নির্বাচন সামনে রেখে তিনটি প্রশ্ন তুলেছেন দেশের চার শীর্ষ আইনজীবী। রবিবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদকের মাধ্যমে কার্যনির্বাহী কমিটিকে পাঠানো চিঠিতে এসব প্রশ্ন তোলেন সমিতির সাবেক চার সভাপতি জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড. কামাল হোসেন, ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম, ব্যারিস্টার রোকনউদ্দিন মাহমুদ এবং ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেন। গতকাল চিঠির অনুলিপি গণমাধ্যমেও পাঠানো হয়েছে। রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকলেও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির মর্যাদা রক্ষা এবং সদস্যদের কল্যাণে তারা ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রশ্ন তিনটি হচ্ছে, সমিতির ২০২১-২২ মেয়াদে নির্বাচিত সভাপতি আবদুল মতিন খসরুর মৃত্যুর পর নির্বাচন না হওয়ায় বর্তমানে কে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন? এ ছাড়া ২০২২-২৩ মেয়াদের নির্বাচনের জন্য ভোটার তালিকায় থাকা অবৈধ ভোটারদের তালিকা প্রকাশ করা হবে কি না? এ ছাড়া সমিতির আসন্ন নির্বাচনে ভোট গণনায় ইলেকট্রনিক মেশিন ব্যবহারের বৈধতা কোথায়?  সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির বেআইনি এবং গঠনতন্ত্র পরিপন্থী কার্যক্রম সংক্রান্ত বিষয়গুলো সংশোধনের জন্য দ্রুত একটি অ্যাডহক কমিটি গঠনের প্রস্তাব দিয়েছেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবীরা। একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে অবৈধ ভোটারমুক্ত ভোটার তালিকা তৈরির প্রস্তাবও রয়েছে তাদের চিঠিতে। কার্যনির্বাহী কমিটির বরাবর পাঠানো চিঠিতে জ্যেষ্ঠ আইনজীবীরা বলেন, সভাপতি হিসেবে জয়ী হওয়ার পর গত বছর ১৪ এপ্রিল আবদুল মতিন খসরু দুর্ভাগ্যজনকভাবে মারা যান। এতে সভাপতি পদে একটি শূন্যতা তৈরি হয়। কিন্তু এরপর থেকে এখন পর্যন্ত সমিতির বর্তমান কমিটিতে কোনো সভাপতিকে দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়নি। তারা বলেন, গঠনতন্ত্র অনুযায়ী বিশেষ সাধারণ সভায় ‘নির্বাচন’ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ শূন্যত পূরণ করা উচিত ছিল। অথচ এখন পর্যন্ত এ ধরনের কোনো নির্বাচন আমরা দেখিনি। চিঠিতে তারা আরও বলেন, সুপ্রিম কোর্ট বারের ভোটার তালিকায় এমন অনেকের নাম দেখা যায়, যারা ভোটার হওয়ার যোগ্য নন। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, সমিতির সদস্যরা সাধারণত সুপ্রিম কোর্টে আইন পেশা পরিচালনা করবেন। তাদের শুধু ঢাকার মেট্রোপলিটন এলাকায় একটি কার্যালয় থাকবে। তবে আমরা দেখছি ঢাকার বাইরে অধস্তন আদালতে আইন পেশা পরিচালনা করেন, এমন অনেক আইনজীবীর নামও ভোটার তালিকায় রয়েছে। ফলে ২০২২-২৩ মেয়াদের নির্বাচনের আগেই এসব অবৈধ ভোটারের নাম তালিকা থেকে বাদ দিয়ে সংশোধন করা প্রয়োজন। সুপ্রিম কোর্ট বারের আগামী নির্বাচনে ভোট গণনায় ইলেকট্রনিং মেশিন ব্যবহারের যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা-ও গঠনতন্ত্র পরিপন্থী বলেছেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবীরা। তারা বলেন, কার্যনির্বাহী কমিটির সভা ছাড়া ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন বা অন্য কোনো যন্ত্রের মাধ্যমে ভোট গণনার যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা গঠনতন্ত্রের ১৫ (৬) অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন।

সর্বশেষ খবর