শনিবার, ৫ মার্চ, ২০২২ ০০:০০ টা

ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে ইউক্রেন

সবচেয়ে বড় পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণ নিল রাশিয়া, উপকূলে বিস্ফোরণের পর ডুবে গেল এস্তোনিয়ার কার্গো জাহাজ, দ্বিতীয় দফার আলোচনায় করিডোর তৈরিতে ঐকমত্য

প্রতিদিন ডেস্ক

ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে ইউক্রেন

রাশিয়ার বোমা হামলার পর ইরপিন শহরের একটি বিধ্বস্ত বাসা থেকে পালাচ্ছেন অধিবাসীরা -এএফপি

ইউক্রেনে রুশ সামরিক অভিযানের নবম দিন পেরিয়েছে গতকাল। এদিন রাশিয়ার সেনারা ইউক্রেনের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের এনারহোদার শহরে অবস্থিত জাপোরিঝঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি দখল করে নিয়েছেন। ইউরোপের সবচেয়ে বড় পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র এটি। দখলের আগে গোলার আঘাতে এর একটি চুল্লিতে আগুন ধরে যায়। এ ছাড়া ইউক্রেনের উপকূলে এস্তোনিয়ার মালিকানাধীন একটি কার্গো (মালবাহী) জাহাজ বিস্ফোরিত হয়ে ডুবে গেছে। এদিকে রাশিয়া-ইউক্রেন দ্বিতীয় বৈঠকে শুধু বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে মানবিক করিডোর তৈরির ব্যাপারে ঐকমত্যের খবর পাওয়া গেছে। সূত্র : রয়টার্স, বিবিসি, সিএনএন, আলজাজিরা, দ্য টাইমস, নিউইয়র্ক পোস্ট, ডেইলি মেইল, নিউজউইক।

যুদ্ধ পরিস্থিতি সম্পর্কে সর্বশেষ খবরে জানা গেছে, ইউক্রেনের পোর্ট অব মারিওপোল, আজভ সাগরের প্রধান বন্দর পুরোপুরি রুশ বাহিনীর দখলে রয়েছে। এর আগের খবরে বলা হয়েছিল, মারিওপোল শহরে রুশ বাহিনীর অবিরাম ক্ষেপণাস্ত্র ও গোলা নিক্ষেপ চলছে। সেখানে আহতদের উদ্ধার পর্যন্ত করা যাচ্ছে না। এ ছাড়া চেরনিহিভে রুশ বিমান হামলায় অন্তত ৪৭ জন নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। খবরে আরও বলা হয়- গতকাল দফায় দফায় বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ। দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভেও বোমা ও গোলা নিক্ষেপ চলছে। খবর সংগ্রহের কাজে থাকা আলজাজিরার প্রতিবেদক অ্যান্ড্রু সিমনস বলেন, বাস্তবে প্রতি ঘণ্টায় আক্রমণ জোরালো হচ্ছে। কোনো বিরতি ঘটছে না। এ পরিস্থিতিতে জীবন বাঁচাতে ইউক্রেন ছেড়ে যাওয়া মানুষের ঢল অব্যাহত রয়েছে।

পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র দখলের ব্যাপারে জানা গেছে, ইউক্রেনের স্থানীয় সময় গতকাল ভোররাতের দিকে রুশ বাহিনী দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের জাপোরিঝঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র দখলের জন্য গোলা বর্ষণ শুরু করে। এতে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির ছয়টি চুল্লির একটিতে আগুন ধরে যায়। রুশ বাহিনী স্থানটি দখলে নেওয়ার পর ইউক্রেনীয় দমকল কর্মীদের কাজে লাগিয়ে আগুন নেভানো শুরু করে। দমকল কর্মীরা ১ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নেভাতে সক্ষম হন। পরে ইউক্রেনের আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেন রাশিয়া বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পুরো নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। সূত্র জানান, বিদ্যুৎ কেন্দ্রে হামলার সময় রুশ গোলার আঘাতে পাহারায় থাকা অন্তত তিন ইউক্রেনীয় সেনা নিহত হয়েছেন।

খবরে বলা হয়- জাপোরিঝঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি ইউরোপের সবচেয়ে বড় পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। ইউক্রেনের এক-চতুর্থাংশ বিদ্যুৎ এ কেন্দ্র থেকে সরবরাহ করা হয়। এদিকে পারমাণবিক এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে অগ্নিকান্ডের খবরে ইউরোপজুড়ে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন অগ্নিকান্ডের খবর পেয়েই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে ফোনে কথা বলেন।

প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি গোলার আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা গেছে, কেন্দ্রটির বিকিরণের মাত্রা স্বাভাবিক রয়েছে। রুশ সেনারা তা দেখভাল করছেন। এদিকে এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে গোলার আঘাত হানার ব্যাপারে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, ‘রাশিয়া ইচ্ছাকৃতভাবে জাপোরিঝঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে। এটা পরমাণুসন্ত্রাস। এর মধ্য দিয়ে রাশিয়া ১৯৮৬ সালের চেরনোবিল পারমাণবিক বিপর্যয়ের পুনরাবৃত্তি চায়।’ এসঙ্গে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে হামলার নিন্দা জানিয়েছেন বিশ্বনেতারা। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, পুতিনের বেপরোয়া পদক্ষেপ পুরো ইউরোপের নিরাপত্তা সরাসরি হুমকির মুখে ফেলতে পারে।

এর আগে বৃহস্পতিবার রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেন, পশ্চিমারা পরমাণু যুদ্ধের আকাক্সক্ষা করছে, তবে রাশিয়া তার নিজের মতো করে শেষ পর্যন্ত ইউক্রেনে অভিযান চালাবে। তিনি বলেন, ‘পশ্চিমা নেতাদের মাথার মধ্যে প্রতিনিয়ত পরমাণু যুদ্ধের জাল বোনা হচ্ছে, এতে রুশ রাজনীতিকরা জড়িত নন।’ ল্যাভরভ বলেন, ‘আমি আশ্বস্ত করছি যে আমাদের ভারসাম্যহীন করার জন্য কাউকে কোনো উসকানি দেওয়ার সুযোগ দেব না। একই সঙ্গে ইউক্রেনকে ন্যাটোর সদস্য হয়ে রাশিয়ার জন্য ঝুঁকি তৈরিরও সুযোগ দেব না।’ রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী অভিযোগ করেন, ন্যাটো জোট রাশিয়ার ওপর সামরিক প্রাধান্য অর্জনের চেষ্টা করছে, কিন্তু সরকার কাউকে রাশিয়ার জাতীয় স্বার্থ ক্ষুণœ করতে দেবে না। তিনি উল্লেখ করেন, ‘ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এমন একটি সমাজের নেতৃত্ব দিচ্ছেন, যেখানে নাজিবাদ শক্তিশালীভাবে মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে।’ রাশিয়া বেসামরিক এলাকায় হামলা চালাচ্ছে বলে যে অভিযোগ করা হচ্ছে তার জবাবে ল্যাভরভ বলেন, ‘রুশ সেনাদের কঠোরভাবে নির্দেশনা দেওয়া রয়েছে হাই প্রিসিশন অস্ত্র ব্যবহারের মাধ্যমে শুধু ইউক্রেনের সামরিক স্থাপনা ধ্বংস করতে হবে।’ চলমান সংকট সমাধানে রাশিয়ার সদিচ্ছা রয়েছেও বলে তিনি উল্লেখ করেন।

উপকূলে ডুবে গেল এস্তোনিয়ার কার্গো জাহাজ : ইউক্রেনের উপকূলে এস্তোনিয়ার মালিকানাধীন একটি কার্গো (মালবাহী) জাহাজ ডুবে গেছে। বিস্ফোরণের পর জাহাজটি ডুবে যায়। তবে কী কারণে জাহাজটিতে বিস্ফোরণ হয়েছে জানা যায়নি।

জানা গেছে, ওডেসার নিকটবর্তী চোরনোরস্ক বন্দর থেকে আসা কার্গো জাহাজটি কয়েক দিন আগে ইউক্রেন উপকূলে নোঙর করে। পানামার পতাকাবাহী জাহাজটির মালিক এস্তোনিয়াভিত্তিক কোম্পানি ভিসতা শিপিং এজেন্সি। বাল্টিক রাষ্ট্র এস্তোনিয়া পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্য। দেশটির সঙ্গে রাশিয়ার সীমান্ত রয়েছে। ভিসতা শিপিং এজেন্সি কর্তৃপক্ষ বলেছেন, লাইফ বোটে করে সাগরে ভাসমান অবস্থায় জাহাজের দুই নাবিককে উদ্ধার করেছে ইউক্রেনের উদ্ধারকারী দল। পরে নিখোঁজ থাকা আরও চার নাবিককে উদ্ধার করে তারা।

ইউক্রেন সেনাবাহিনীর অভিযোগ, ওডেসার নিয়ন্ত্রণ নিতে একই সঙ্গে জলে ও স্থলে অভিযানের সক্ষমতাসম্পন্ন জাহাজ পাঠাচ্ছে রাশিয়া। ওডেসা শহরে ১০ লাখ মানুষের বসবাস। এটি গুরুত্বপূর্ণ সমুদ্রবন্দরও।

দ্বিতীয় দফা বৈঠকে যে ইস্যুতে ঐকমত্য : বৃহস্পতিবার রুশ ও ইউক্রেনীয় প্রতিনিধিদের মধ্যে দ্বিতীয় দফার আলোচনা হয়েছে। এতে বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে মানবিক করিডোর তৈরির ব্যাপারে সম্মত হয়েছে রাশিয়া ও ইউক্রেন। আলোচনায় অংশগ্রহণকারী এক ইউক্রেনীয় প্রতিনিধি জানান, অস্ত্রবিরতি প্রশ্নে আলোচনার জন্য এদিন বেলারুশে দ্বিতীয় দফার এ বৈঠক বসে। বৈঠক সম্পর্কে ইউক্রেন প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা মিখাইলো পোদোলিয়াক গণমাধ্যমকে বলেন, বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার অনুমতি দিতে সম্ভাব্য সাময়িক একটি অস্ত্রবিরতির ব্যাপারে সম্মত হয়েছে দুই পক্ষ। তিনি আরও বলেন, সব জায়গায় নয়, শুধু যেসব জায়গায় মানবিক করিডোর আছে সেগুলোতেই এ অস্ত্রবিরতি কার্যকর হবে। সাধারণ মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার সময়টুকুতে অস্ত্রবিরতি কার্যকর রাখা সম্ভব হবে। পোদোলিয়াক মনে করেন দ্বিতীয় দফার আলোচনায় কিয়েভের প্রত্যাশা পুরোপুরি পূরণ হয়নি। তিনি বলেন, ‘খুব আক্ষেপ নিয়েই বলতে হচ্ছে, আমরা যেমনটা প্রত্যাশা করছিলাম তেমন ফল পাইনি।’ বিস্তারিত উল্লেখ না করে তিনি বলেন, ‘আমি শুধু বলতে পারি যে আমরা মানবিক বিষয়গুলো নিয়ে যথেষ্ট বিস্তারিত আলোচনা করেছি। কারণ অনেক শহরই ঘিরে ফেলা হয়েছে। সেখানে ওষুধ ও খাদ্য সরবরাহ এবং সেখানকার মানুষদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া নিয়ে মানবেতর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।’

খবরে আরও বলা হয়- তুমুল সংঘাতের এলাকাগুলোয় ওষুধ ও খাদ্য সরবরাহ নিয়েও ইউক্রেন-রাশিয়ার মধ্যে সমঝোতা হয়েছে। ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পর এই প্রথম দুই পক্ষ কোনো ইস্যুতে সম্মত হতে পেরেছে। এদিকে রাশিয়ার পররাষ্ট্রনীতি বিশ্লেষক আন্দ্রেই কোরতুনোভ মনে করছেন, উভয় পক্ষের সমঝোতায় পৌঁছানো খুবই কঠিন। কারণ কোনো ঘোষণা দেওয়ার জন্য পুতিনকে কিছু পেতে হবে। তিনি পরাজয় মেনে নিতে পারেন না, রাজনৈতিকভাবে সেটা তাঁর জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হবে। জার্মানির সাবেক চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল বা চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং এ সংকট সমাধানে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করতে পারেন।

পুতিনকে সরাসরি আলোচনায় চান জেলেনস্কি : ইউক্রেনে সামরিক অভিযান বন্ধে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে সরাসরি আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছেন জেলেনস্কি। বৃহস্পতিবার এক সাক্ষাৎকারে জেলেনস্কি বলেন, ‘আমি পুতিনের সঙ্গে কথা বলতে চাই, বিষয়টা এমন নয়। আমাকে পুতিনের সঙ্গে কথা বলতে হবে। বিশ্বকে পুতিনের সঙ্গে কথা বলতে হবে। এ যুদ্ধ থামানোর আর কোনো উপায় নেই।’ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে কী চান? আমাদের ভূখন্ড ত্যাগ করুন। আমার সঙ্গে আলোচনায় বসুন, তবে ৩০ মিটার দূরত্বে নয়।’ এদিকে ইউক্রেনে নো-ফ্লাই জোন আরোপে পশ্চিমা নেতাদের প্রতি ফের আহ্বান জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। এর আগে তাঁর এমন অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি জানায়, এ ধরনের পদক্ষেপে রাশিয়ার সঙ্গে সরাসরি যুদ্ধ টেনে আনতে পারে। জেলেনস্কি বলেন, ‘আকাশসীমা বন্ধের ক্ষমতা যদি আপনাদের নাই-ই থাকে তবে আমাদের যুদ্ধবিমান দিন।’ কিয়েভে সামরিক সহায়তা বাড়াতে পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলোর প্রতি আবারও অনুরোধ জানিয়েছেন জেলেনস্কি।

তিন গুপ্তহত্যার চেষ্টা থেকে বাঁচলেন জেলেনস্কি : পশ্চিমা সূত্রের খবরে বলা হয়েছে- ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরুর পর থেকে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি তিনটি গুপ্তহত্যা চেষ্টা থেকে বেঁচে গেছেন। ইউক্রেনের কর্মকর্তাদের বিভিন্ন দেশের গোয়েন্দারা সতর্ক করার পর তাঁরা চক্রান্তগুলো নস্যাৎ করে দিয়েছেন। খবরে বলা হয়েছে- ইউক্রেন প্রেসিডেন্টকে হত্যার জন্য দুটি ভিন্ন ভাড়াটে দল পাঠানো হয়েছিল ক্রেমলিন সমর্থিত ওয়াগনার গ্রুপ ও চেচেন বিদ্রোহীদের বিশেষ বাহিনী। রাশিয়ার ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিসের (এফএসবি) মধ্যে আসা উভয় দলই এতে ব্যর্থ হয়েছে। সংবাদসূত্র বলছেন, রাশিয়ার ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিস (এফএসবি) ইউক্রেনীয়দের কাদিরোভাইটদের একটি ইউনিট সম্পর্কে সতর্ক করেছিল। এ অভিজাত চেচেন বিশেষ বাহিনীকে জেলেনস্কিকে হত্যা করার জন্য পাঠানো হয়েছিল। ইউক্রেনের জাতীয় নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা কাউন্সিলের সচিব ওলেক্সি দানিলভ বলেন, এ ইউনিটগুলো ‘ধ্বংস’ করা হয়েছে। তিনি জানান, শনিবার ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের উপকণ্ঠে ওই চেচেন বিশেষ বাহিনীকে ‘ধ্বংস’ করা হয়। তবে এসব খবরের সত্যতা সম্পর্কে নিরপেক্ষ সূত্র থেকে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

স্নাইপার হামলায় শীর্ষ রুশ জেনারেল নিহতের দাবি : ইউক্রেনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, ইউক্রেন সেনাবাহিনীর স্নাইপার হামলায় রাশিয়ার মেজর জেনারেল আন্দ্রেই সুখভেতস্কি (৪৭) নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার তিনি নিহত হন। তবে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়নি। সূত্র বলছেন, রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর সেন্ট্রাল মিলিটারি ডিস্ট্রিক্টের ৪১তম কম্বাইন্ড আর্মস আর্মির ডেপুটি কমান্ডার হিসেবে কাজ করছিলেন সুখভেতস্কি। এ ছাড়া তিনি সপ্তম এয়ারবোর্ন ডিভিশনের প্রধান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছিলেন। সিরিয়ায়ও কাজ করেছেন।

জেলেনস্কি ইউক্রেন ছেড়েছেন : রুশ বাহিনীর অগ্রাভিযানের মুখে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাজধানী কিয়েভ ছেড়ে পালিয়েছেন বলে রাশিয়ার তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে। তিনি পালিয়ে পোল্যান্ডে গেছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে গতকাল রুশ সংবাদ মাধ্যম স্পুৎনিককে রাশিয়ার স্টেট দুমার স্পিকার ভ্যাচেস্লাভ ভোলোদিন জানান, জেলেনস্কি পশ্চিমাদের সহায়তা চাওয়ার পরও কোনো সামরিক সহায়তা না পেয়ে পলায়নের পথ বেছে নেন। ভোলোদিন দাবি করেন, জেলেনস্কি ইউক্রেন ছেড়েছেন এবং এরইমধ্যে তিনি পোল্যান্ড পৌঁছেছেন।

 

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর