মাদারীপুরে মুক্তা বেগম (৩০) নামে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের এক নারী কর্মী আত্মহত্যা করেছেন। অভিযোগ উঠেছে চরিত্রহীন অপবাদ দেওয়ার কারণেই তিনি আত্মহত্যা করেছেন। তিনি মাদারীপুর খাদ্য বিভাগে নিরাপত্তা প্রহরী হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের নারী কর্মী মুক্তা বেগমের সঙ্গে কামাল হোসেন নামে এক যুবকের অনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে এমন অভিযোগ এনে বিভাগীয় খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কাছে দরখাস্ত প্রদান করা হয়। কামাল হোসেনের স্ত্রী নারগিস আক্তার সীমা এই অভিযোগ প্রদান করেন। অভিযোগ প্রদানের পরপরই জেলা খাদ্য বিভাগ থেকে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয় চরমুগরিয়া খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আল আমিনকে। অন্য সদস্যরা হলেন মাদারীপুর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের প্রধান অফিস সহকারী আবদুর রাজ্জাক ও উপ খাদ্য পরিদর্শক শিপন মিয়া। পরে তদন্ত কমিটি তদন্ত ছাড়াই মুক্তার বিরুদ্ধে প্রতিবেদন প্রদান করে বলে অভিযোগ। এ ছাড়াও নারগিস আক্তারসহ অন্য এক নারী শনিবার রাতে মুক্তার বাসায় গিয়ে মুক্তাকে চরিত্রহীন বলে গালিগালাজ করে। এরপর শনিবার রাতেই মুক্তা শহরের ভাড়া বাসায় ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। পরে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্ত করে গতকাল দুপুরে স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়। এ ব্যাপারে উপখাদ্য পরিদর্শক শিপন মিয়া বলেন, ‘শনিবার রাতে নারগিস আক্তার গিয়ে মুক্তাকে গালিগালাজ করে। এরপরই আত্মহত্যা করেছে। আমরা ধারণা করছি গালিগালাজ করার কারণেই আত্মহত্যা করেছে।’ নিহতের স্বামী রাশেদুল ইসলাম সাজ্জাদ বলেন, ‘শুধু শুধু তো আত্মহত্যা করেনি। কোনো কারণেই আত্মহত্যা করেছে। পুলিশ যেন তদন্ত করে সঠিক বিচার করে।’ মাদারীপুর সদর থানার ওসি কামরুল হাসান মিয়া বলেন, ‘এই ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। আত্মহত্যার কারণ খুঁজে বের করতে পুলিশ কাজ শুরু করেছে।’