শনিবার, ১২ মার্চ, ২০২২ ০০:০০ টা

কমতে শুরু করেছে ভোজ্য তেলের দাম বেশি নিলেই ব্যবস্থা

নিজস্ব প্রতিবেদক

কমতে শুরু করেছে ভোজ্যতেলের দাম। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারের নানা পদক্ষেপে বাজারে স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে। বিশেষ করে সয়াবিন তেলের ওপর ভ্যাট প্রত্যাহারের ঘোষণার পর বাজারে কমতে শুরু হয় ভোজ্যতেলের দাম। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, রশিদ ছাড়া কেউ তেল বিক্রি করতে পারবেন না। কোনো ব্যবসায়ী যদি নির্ধারিত মূল্যের বেশি দামে তেল বিক্রি করেন তাহলে সরাসরি ১৬১২১ নম্বরে অভিযোগ দেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে। এ ছাড়া সয়াবিন তেলের দর নিয়ে কারসাজি রোধে অভিযান শুরু করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। গত দুই  সপ্তাহ ধরে ভোজ্যতেলের মূল্য ছিল চড়া। ভোজ্যতেলের অতিরিক্ত দামে সারা দেশে অস্থিরতা তৈরি হয়। রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি সাধারণ মানুষ প্রতিবাদ জানিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। এর মধ্যে সরকার তেলের দর নিয়ন্ত্রণে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয়। সরকার আমদানি মূল্য ও বাজার বিশ্লেষণ করে গত ৬ ফেব্রুয়ারি সয়াবিন তেলের মূল্য বাড়িয়ে নতুন মূল্য নির্ধারণ করে দেয়। সে অনুযায়ী প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৬৮ টাকা, খোলা সয়াবিন তেল ১৪৩ টাকা এবং পাম সুপার তেল ১৩৩ টাকায় বিক্রি হওয়ার কথা। বাজারে খোলা সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ৫০ টাকা পর্যন্ত বাড়িয়ে বিক্রি করা হচ্ছিল। সেই সঙ্গে বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল খোলা সয়াবিন তেলের দাম। এর কারণ হিসেবে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ার কথা ব্যবসায়ীরা জানান। এ পরিস্থিতিতে বাজারে নিয়ন্ত্রণ ফেরাতে গত বৃহস্পতিবার সয়াবিনে ২৫ শতাংশ ভ্যাট মওকুফের ঘোষণা দেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেন, জিনিসের দাম যাতে সহনীয় থাকে, সে জন্য যেসব পণ্যের ওপর ভ্যাট ছিল সেগুলো তুলে নিয়েছি। সরকার থেকে যে পরিমাণ সহযোগিতা করা দরকার তা করা হচ্ছে। ভোজ্যতেল, চিনি ও ছোলায় ভ্যাট প্রত্যাহার করা হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, সয়াবিন তেলের ক্ষেত্রে উপাদন পর্যায়ে ১৫ শতাংশ এবং ভোক্তা পর্যায়ে ৫ শতাংশ ভ্যাট মওকুফ করা হয়েছে। আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে। বর্তমান বাজারে সয়াবিন তেলের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ১৬৮ টাকা। ঘোষিত হারে ভ্যাট প্রত্যাহার করা হলে প্রতি লিটারে দাম ৩০ টাকার মতো কমতে পারে। এ ছাড়া মার্চ মাস থেকেই সয়াবিন তেল বোতলজাত করে বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। অর্থাৎ, খোলা অবস্থায় কোনো সয়াবিন তেল বিক্রি করা যাবে না। এদিকে বাজারে ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা ও ‘কারসাজি’ থামাতে গতকাল থেকেই মুদি দোকানিদের কাছে পাকা রশিদ নিশ্চিত করতে অভিযান শুরু করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। ফলে দাম খানিকটা কমে আসায় বাজারে এসে স্বস্তির শ্বাস ফেলেছেন ক্রেতারা।

সর্বশেষ খবর