সোমবার, ১৪ মার্চ, ২০২২ ০০:০০ টা

খালে মাছের বদলে চাষ মশা

নিজস্ব প্রতিবেদক

খালে মাছের বদলে চাষ মশা

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, রাজধানীর বাসাবাড়ির অধিকাংশ ভবনেই কার্যকর সেপটিক ট্যাংক ও সোক ওয়েল না থাকায় অপরিশোধিত পয়ঃবর্জ্য সরাসরি ড্রেনে ফেলা হচ্ছে। ড্রেন থেকে খালে গিয়ে পড়ছে। এতে জলাশয়ের জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হচ্ছে। খালে মাছের বদলে মশা চাষ হচ্ছে।’ গতকাল রাজধানীর গুলশান-২ নগরভবনে ‘নিরাপদ পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনা : আমাদের করণীয়’ শীর্ষক কর্মশালায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। মেয়র আতিকুল ইসলাম আরও বলেন, ‘আমাদের পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য আলাদা লাইন থাকতে হবে। এটা সঠিকভাবে ব্যবস্থাপনা না করতে পারলে আমাদের এই প্রাণের শহর ঢাকাকে বাঁচানো যাবে না। রাজউককে কার্যকর পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থা রেখে ভবনের নকশা অনুমোদন করতে হবে। ডেভেলপার কোম্পানিগুলোকে ভবন নির্মাণ করার ক্ষেত্রে কার্যকর পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, আমাদের অভিজাত এলাকার খালে মাছ ছাড়তে পারি না। পয়ঃবর্জ্য খালে ফেলার কারণে পানিতে অ্যামোনিয়া বেড়ে যাওয়ায় মাছ চাষ করা যায় না। নারায়ণগঞ্জের পাগলা সুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্লান্টে মাত্র ১০ শতাংশ বর্জ্য যায়। তাই প্রত্যেক বাসাবাড়িতে পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনা রাখতে হবে। সরকারের পাশাপাশি জনগণকেও দায়িত্ব নিতে হবে।’

প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘নগরায়ণের ফলে রাজধানীতে বর্জ্য বেড়েছে। অপরিকল্পিতভাবে আইন ভেঙে আমরা অনেক উন্নয়ন করতে দেখেছি। রাজধানীর ৯০ ভাগ অবকাঠামো আইন অমান্য করে নির্মাণ করা হয়েছে। রাজধানীর পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনায় প্রতিটি বাসা-বাড়ি এবং সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহে নিজস্ব সেপটিক ট্যাংক থাকতে হবে। রাজউক সেপটিক ট্যাংক ছাড়া বাড়ি তৈরির অনুমোদন দিতে পারবে না। খালে বর্জ্য ফেলার কারণে মাছ থাকতে পারে না।’ এ সময় মন্ত্রী লাউতলা খাল উদ্ধারের প্রসঙ্গ টেনে ডিএনসিসি মেয়রের প্রশংসা করেন। দুই দিনব্যাপী চলমান কর্মশালায় ১৫টি স্টল তাদের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রক্রিয়া প্রদশর্ন করেন। এ সময় স্থানীয় সরকার মন্ত্রী এবং ডিএনসিসি মেয়র স্টলগুলো পরিদর্শন করেন। নগরে কীভাবে পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনা করা যাবে সে বিষয়টি এই প্রদর্শনীতে তুলে ধরা হয়েছে। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সাবেক শিক্ষক অধ্যাপক ড. মুজিবুর রহমান। ডিএনসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এস এম শরিফ-উল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, ইউনিসেফের কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ শেলডন ইয়েট, ইউনিসেফের ওয়াশ বিভাগের প্রধান জায়েদ জুরজি, ডিএনসিসির কাউন্সিলররা এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর