বৃহস্পতিবার, ২৪ মার্চ, ২০২২ ০০:০০ টা
ঢাকাকে যুক্তরাষ্ট্র

মুখে বললেই র‌্যাবের নিষেধাজ্ঞা উঠবে না

নিজস্ব প্রতিবেদক

এলিট ফোর্স র‌্যাব এবং এর সাবেক-বর্তমান সাত কর্মকর্তার ওপর দেওয়া নিষেধাজ্ঞা যে সহসা উঠছে না, বাংলাদেশকে সে ইঙ্গিত দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন গতকাল জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের রাজনীতিবিষয়ক আন্ডার-সেক্রেটারি ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ডের ঢাকা সফরের সময় এমন আলোচনাই হয়েছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তাঁরা বলেছেন যে এটা একটি জটিল প্রক্রিয়া। সুতরাং মুখে বললেই হবে না। তবে তাঁরা এ নিয়ে কাজ করবেন। ১০ ডিসেম্বরের পর মার্কিন প্রতিনিধি যার সঙ্গেই আলাপ হয়েছে, র‌্যাব ইস্যুটা এসেছে। আর সম্প্রতি মার্কিন আন্ডার-সেক্রেটারি যিনি আসছিলেন, তাঁর সঙ্গেও এ নিয়ে আলাপ হয়েছে। তাঁর বক্তব্য আপনারা শুনেছেন। তিনি বলেছেন গত তিন মাস র‌্যাবের কারণে কারও মৃত্যু হয়নি, এসবে তারা খুশি।’ তিনি বলেন, ‘আমরা তাঁদের বলেছি আমরা প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নিচ্ছি, যা যা নেওয়ার। আমি বলতে চাই এ প্রতিকারের ব্যবস্থাগুলো আমাদের সিস্টেমে এমনিতেই ছিল। কিন্তু অনেক সময় সেগুলো ঠিকমতো কার্যকর হয়নি। আমরা চাই সেগুলো যাতে কার্যকর হয়। কারণ কোথাও কোনো অঘটন যদি ঘটে তার একটা জুডিশিয়াল প্রসেস আছে আমাদের। কিন্তু সোচ্চার করে আগে অত কার্যকর করিনি, আমরা এখন সেগুলো জোরালোভাবে বলছি। আমরা প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নিচ্ছি।’ যুক্তরাষ্ট্রের বৈশ্বিক নীতির সঙ্গে সম্পর্কিত মানব পাচার, মাদক নির্মূল ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে র‌্যাবের কার্যক্রমের কথাও আলোচনায় তুলে ধরার কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন। আলোচনার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘বিশেষ করে টেররিজম কমানো- এ ক্ষেত্রে র‌্যাব অসাধারণ কাজ করেছে। আপনারা তা স্বীকার করেছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে র‌্যাব যাতে কাজ চালিয়ে যেতে পারে আপনারা সেজন্য এটা উইথড্র করলে আমরা খুশি হব।’ র‌্যাবের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার প্রশ্নে দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রসঙ্গও টানেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র নীতিগতভাবে, আদর্শগতভাবে ‘একই বিশ্বাস’ ধারণ করে। আমাদের সৃষ্টি হয়েছে যখন গণতান্ত্রিক অধিকার দেওয়া হচ্ছিল না, মানুষের মত প্রকাশের অধিকার দেওয়া হচ্ছিল না।’ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘গত ১৩ বছরে আমাদের দেশে যেভাবে স্মুথলি ডেমোক্র্যাসি চলছে, এর কিন্তু নজির মাঝখানে ছিল না। আগে অনেক ধরনের মিলিটারি, অমুক তমুক ছিল, এখন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৩ বছর ধরে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। যে ভোট দিতে চায়, ভোট দিতে পারে। অবৈধ ভোট যেটাকে বলে, সেটা বাদ হয়ে গেছে। ছবিযুক্ত ভোটার আইডি হয়েছে, যার ফলে কারচুপির পরিমাণ কমে গেছে। আপনার স্বীকার করতেই হবে, আমাদের দেশের লোকগুলো মেন্টালি খুব ডেমোক্র্যাটিক, তারা পার্টিসিপেট করতে চায়।’

সর্বশেষ খবর