বৃহস্পতিবার, ২৪ মার্চ, ২০২২ ০০:০০ টা

পাহাড়ের জনপদে কাটেনি উৎকণ্ঠা

ফাতেমা জান্নাত মুমু, রাঙামাটি

পাহাড়ের জনপদে এখনো কাটেনি উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। তবে নাশকতা এড়াতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে প্রশাসন। রাঙামাটির দুর্গম উপজেলা রাজস্থলীতেও বৃদ্ধি করা হয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টহল। অন্যদিকে চলছে গত মঙ্গলবার রাঙামাটি জেলার রাজস্থলী উপজেলার ৩ নম্বর গাইন্দ্যা ইউনিয়নের পাইন্দ পাড়ায় পার্বত্য চট্টগ্রাম জন সংহতি সমিতি (জেএসএস) ও মর্গ লিবারেশন পার্টি-এমএলপির মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে চার নিহতদের লাশ উদ্ধারে অভিযান। জানা গেছে, রাঙামাটি ও বান্দরবান সীমান্তবর্তী এলাকা রাজস্থলী উপজেলার ৩ নম্বর গাইন্দ্যা ইউনিয়নের পাইন্দ পাড়ায় পার্বত্য চট্টগ্রাম জন সংহতি সমিতি (জেএসএস) ও মর্গ লিবারেশন পার্টি-এমএলপির মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে চারজন নিহতদের লাশের ছবি ছড়িয়ে পড়লে আতঙ্ক শুরু হয় স্থানীয়দের মধ্যে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাওয়ার চেষ্টা করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। তবে দুর্গম উপজেলার গহিন অরণ্যে খোঁজ মেলেনি ওই লাশের। তাই চলছে উদ্ধার অভিযান। আরও জানা গেছে, গতকাল বিকালে বান্দরবান রোয়াংছড়িতে আবারও পাহাড়ের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পার্বত্য চট্টগ্রাম জন সংহতি সমিতি ও মর্গ লিবারেশন পার্টির মধ্যে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। তবে এতে কোনো হতাহতের খবর মেলেনি। একের পর এক বন্দুকযুদ্ধের ঘটনার খবরে পার্বত্যাঞ্চল অর্থাৎ তিন পার্বত্য জেলা রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে স্থানীয়দের মধ্যে চাপা আতঙ্ক বিরাজ করছে। তবে প্রশাসন বলছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। দুর্গম উপজেলাগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত টহল দলকে মোতায়েন করা হয়েছে। রাঙামাটি রাজস্থলী থানার কর্মকর্তা জাকির হোসেন জানান, রাঙমাটিতে লাশ উদ্ধার হয়নি। কারণ এটা বান্দরবান সীমান্তবর্তী এলাকায়। বান্দরবানের প্রশাসন বিষয়টি দেখছে। তবে রাজস্থলী উপজেলা এখন পুরোপুরি প্রশাসনের নিরাপত্তায় আছে। স্বাভাবিক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। রাজস্থলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শান্তনু কুমার দাশ জানান, উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা থাকলেও স্বাভাবিক আছে জনজীবন। যে এলাকায় মঙ্গলবার বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটেছে সেটা খুবই দুর্গম। এ জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের পায়ে হেঁটে যেতে সময় লাগছে। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার দুপুরে রাঙামাটি ও বান্দরবান সীমান্তবর্তী এলাকা ৩ নম্বর গাইন্দ্যা ইউনিয়নের পাইন্দ ও কেচিং পাড়ার মাঝামাঝি পাগাড়ের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পার্বত্য চট্টগ্রাম জন সংহতি সমিতি ও মর্গ লিবারেশন পার্টির মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে চারজন নিহত ও দুজন আহত হয়। চারজনের মধ্যে একজন মর্গ লিবারেশন পার্টির পরিচালক অংথোয়াই মারমা বলে জানা গেলেও বাকি তিনজনের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। গুলিবিদ্ধ আহতরাও আত্মগোপন করে আছে।

সর্বশেষ খবর