বৃহস্পতিবার, ২৪ মার্চ, ২০২২ ০০:০০ টা

বাজেটে কেউই লুজার হবে না

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাজেটে কেউই লুজার হবে না

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবেই গ্যাসের দাম বাড়ছে বলে মনে করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এ ছাড়া আগামী বাজেটে দেশের কেউই লুজার হবে না; ব্যবসায়ী, সরকার, বেসরকারি খাত, এমনকি সাধারণ মানুষ সবাই এতে লাভবান হবে বলে তিনি মনে করেন। গতকাল অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি ও অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা জানান। ভার্চুয়ালি এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘আগামী বাজেটে কেউ লুজার (ক্ষতিগ্রস্ত) নেই, সবাই জিতবে। যারা ব্যবসায়ী তারা আরও মনোযোগী হবেন। তাদের সহযোগিতার জন্য আপনারা সক্রিয় ভূমিকা রাখবেন। আমাদের অবকাঠামো হয়ে গেছে, মানুষ এখন আগের তুলনায় শিক্ষিত। তারা যে কোনো প্রকল্প দাঁড় করাতে পারে। সেজন্য আমরা বিশ্বাস করি আমাদের কাজ হবে যারা ব্যবসায়ী তাদের সহযোগিতা করা। সরকারের যেসব পলিসি সেগুলোর সাপোর্ট দিয়ে তাদের আরও সহযোগিতা করব। আমাদের উদ্দেশ্য একদিকে তারা আয় করবেন, অন্যদিকে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবেন। যেসব প্রকল্পে কর্মসংস্থানের সুযোগ বেশি তাদের আমরা সুযোগ-সুবিধা বেশি দেব।’

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির মধ্যে গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির সুপারিশ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, ‘আপনি (সাংবাদিক) আমার জায়গায় হলে কী করতেন? আপনি যা করতেন আমি তা-ই করব। ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ হবে তা কি কখনো ভেবেছি আমরা? অর্থনীতি এমনই। যেমন নিশ্চিত পরিস্থিতি আছে, তেমনি অনিশ্চিত পরিস্থিতিও আছে। চ্যালেঞ্জিং দিকগুলো যখন যা সামনে আসবে তখন কীভাবে তা মোকাবিলা করব সে ধরনের পথ তৈরি করতে হবে।’

গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে হচ্ছে কি না জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘অবশ্যই এটি যুদ্ধের প্রভাব। সিপিডির বক্তব্য আমরা জানি। আমাদের মনিটরিংয়ে কোনো সমস্যা নেই, সমস্যা সিপিডির সিস্টেমে। আশপাশে আমাদের যেসব দেশ ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কাসহ প্রতিটি দেশের সঙ্গে মূল্যস্ফীতি মিলিয়ে দেখুন। অর্থনীতি সিপিডি ছাড়া কেউ বোঝে না তা নয়। দেশের অর্থনীতিতে সিপিডির অনেক অবদান আছে, তা আমি অস্বীকার করি না। আমি মনে করি তারাও তাদের মতো করে চিন্তা করেন। কখন কী করতে হবে তা বুঝতে হবে।’

কুইক রেন্টাল বিষয়ে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আগে বিদ্যুৎ পাই বা না পাই আমাদের মূল্য পরিশোধ করতে হতো। আমরা এখন বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারলেও সরবরাহসহ বিভিন্ন ধরনের কাজ করা দরকার। আমরা বিশ্বাস করি আগামী এক বছরের মধ্যে ৩ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাব। যখন আমরা নতুন করে এ বিদ্যুৎ পাব তখন এগুলোকে (কুইক রেন্টাল) বিলুপ্ত করতে পারব। কুইক রেন্টাল আগের চেয়ে এখন ভিন্ন। কারণ এগুলোয় যতটুকু ব্যবহার করব তার মূল্যই দিতে হবে, আগের মতো নয়।’

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর