বৃহস্পতিবার, ৩১ মার্চ, ২০২২ ০০:০০ টা

যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হলে জ্বালানির দাম আরও বাড়বে : মোমেন

নিজস্ব প্রতিবেদক

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, জ্বালানির আন্তর্জাতিক বাজার আগে থেকেই ঊর্ধ্বমুখী ছিল। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ তা আরও অস্থির করে তুলেছে। চড়া বাজারের উত্তাপ টের পাচ্ছে বাংলাদেশের মতো আমদানিনির্ভর দেশগুলো। এ যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হলে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম আরও বাড়বে। এর প্রভাবে বাংলাদেশেও পরিবহনের ভাড়া ও কৃষি উৎপাদন খরচ বাড়বে। তবে এখনই জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর কথা ‘ভাবছে না’ সরকার। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদের ১৭তম অধিবেশনের গতকালের বৈঠকে সরকারি দলের এমপি শফিউল ইসলামের টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নের লিখিত জবাবে তিনি এ আশঙ্কা ব্যক্ত করেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘গত নয় বছরের মধ্যে ব্যারেলপ্রতি তেলের দাম এখন সর্বোচ্চ। এখন যে দামে জ্বালানি তেল কিনে বাংলাদেশ নিজেদের বাজারে বিক্রি করছে, তাতে প্রতিদিন ১৫ কোটি ডলারের ওপর লোকসান গুনতে হচ্ছে।’

ইউক্রেন থেকে খুব বেশি গম আমদনি হয় না : গম আমদানি প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, ‘বাংলাদেশ রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে খুব বেশি গম আমদনি না করলেও বৈশ্বিক বাজার পরিস্থিতির কারণে সরবরাহ প্রভাবিত হবে। যুদ্ধ অব্যাহত থাকলে পণ্যবাহী জাহাজের ভাড়া ও বীমা মাশুল বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।’ যুদ্ধের কারণে পশ্চিমা দেশগুলো যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, তাতেও সমস্যা পোহাতে হচ্ছে বাংলাদেশকে।

রূপপুর প্রকল্পেও বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে : যুদ্ধ অব্যাহত থাকলে রূপপুর প্রকল্পেও এর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এ বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে ২০১৮ সালে বাংলাদেশ রাশিয়ার সঙ্গে ১ হাজার ১৩৮ কোটি ডলারের ঋণচুক্তিতে আবদ্ধ হয়। এ ঋণের টাকা আসছে প্রধানত যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক হয়ে। কেননা, বাংলাদেশ রুবলের বদলে ডলারে ঋণের অর্থ নিতে চেয়েছে। রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওপর পশ্চিমা দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞা এ লেনদেনে জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে। চলমান প্রকল্পসমূহে অর্থায়ন এবং ঋণ পরিশোধের ব্যাপারে বিকল্প পদ্ধতি কী হতে পারে তা নিয়ে রাশিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে আলোচনা চলছে।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর