রাজধানীর মিরপুরের শেওড়াপাড়ায় চিকিৎসক আহমেদ মাহী বুলবুল হত্যা মামলায় চার ছিনতাইকারীকে চার দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দিয়েছে আদালত। গতকাল ঢাকা মহানগর হাকিম শহিদুল ইসলাম রিমান্ডের এ আদেশ দেন।
এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর জোনাল টিমের পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন আসামিদের আদালতে হাজির করে সাত দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন রায়হান ওরফে আপন, রাসেল হোসেন হাওলাদার, আরিয়ান ওরফে হাফিজুল ও সোলাইমান। রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, আসামিরা সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী। ছিনতাই করা তাদের নেশা ও পেশা। আসামিরা ঘটনার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত মর্মে প্রাথমিকভাবে ঘটনার কথা স্বীকার করেছে। তাদের দেখানো মতে অপরাধ কাজে ব্যবহৃত চাকু ও ভিকটিমের মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে। আসামিরা ভিকটিমকে কেন, কী কারণে হত্যা করেছে, ঘটনার সঙ্গে আর কোনো আসামির সম্পৃক্ততা আছে কি না, ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন, সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড মঞ্জুরের আবেদন করেন তদন্তকারী এ কর্মকর্তা। এদিকে বাদীপক্ষে অ্যাডভোকেট তুহিন হাওলাদার আসামিদের সাত দিনেরই রিমান্ড মঞ্জুরের প্রার্থনা করেন। তবে আসামিদের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। মামলা সূত্রে জানা যায়, শেওড়াপাড়ার একটি বাসায় স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে থাকতেন চিকিৎসক বুলবুল। ডা. বুলবুল চিকিৎসার পাশাপাশি ঠিকাদারি ব্যবসাও করতেন। ১৫ দিন আগে সরকারি কাজের টেন্ডার পান। ২৭ মার্চ ভোরে নোয়াখালী যাওয়ার জন্য ভোর ৫টার দিকে বের হন। রিকশাযোগে কাজীপাড়া বেগম রোকেয়া সরণিতে নাভানা শোরুমের সামনে পৌঁছালে কয়েকজন তার রিকশার গতি রোধ করে আটকে দেয়। এরপর বুলবুলের কাছে থাকা স্মার্ট মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিতে চাইলে তিনি বাধা দেন। এ সময় ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে সুইচ গিয়ার চাকু বের করে বুলবুলের ডান ঊরুতে আঘাত করে ছিনতাইকারীরা। এতে রক্ত বের হতে থাকে। তখন তারা ফোনটি নিয়েই পালিয়ে যায়। পরে রাস্তায় ছুরিকাঘাত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে একজন রিকশাচালক ও পথচারী মিলে উদ্ধার করে তাকে স্থানীয় আল হেলাল হাসপাতালে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ডা. বুলবুলের স্ত্রী শাম্মী আক্তার মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ অনুসন্ধান চালিয়ে ঘটনার সঙ্গে ছিনতাইকারীদের সম্পৃক্ততা পায়।
