শনিবার, ২ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা

দেশে যত উন্নতি হচ্ছে তত বৈষম্য বাড়ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশে যত উন্নতি হচ্ছে তত বৈষম্য বাড়ছে

সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, শুধু স্বাধীনতার জন্য মুক্তিযুদ্ধ হয়নি। গত ৫০ বছরেও দেশের জনগণের প্রকৃত মুক্তি মেলেনি। দেশে যত উন্নতি হচ্ছে তত বৈষম্য বাড়ছে। বর্তমান উন্নয়নের অন্তরালে রয়েছে আর্তনাদ ও বেদনা। এ করোনা মহামারিতেও ধনীরা আরও ধনী হয়েছে কিন্তু সুযোগবঞ্চিত মানুষের উন্নতি হচ্ছে না।

গতকাল রাজধানীর ধানমন্ডিতে ‘২০ পেরিয়ে ব্রতী’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে শিক্ষাবিদ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে ব্রতীর ২০ বছরের অর্জন ও প্রান্তজনের জীবনমান পরিবর্তনের কাহিনি তুলে ধরা হয়। অনুষ্ঠানটি নূরজাহান মুরশিদের স্মৃতির প্রতি উৎসর্গ করা হয়। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ব্রতীর প্রধান নির্বাহী শারমীন মুরশিদ। সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, বর্তমান সময়ে দেশের তরুণরা সবচেয়ে বেশি হতাশ ও বিভ্রান্ত। তরুণরা বিপদের মধ্যে আছে। তাদের দেখলে মনে হয় দেশ জয়ের পরে পরাজিত হয়ে গেছে। যে জয় ১৯৭১ সালে এসেছিল তা ক্রমাগত জীবন থেকে দূরে সরে গেছে। আমাদের সামাজিক পরিবর্তন দরকার। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র, ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ, জনপ্রতিনিধিদের শাসন ও জবাবদিহি এবং সুযোগের সমতা এ আদর্শ ধারণ করে জাগরণ হতে হবে। বর্তমানে জবাবদিহির অভাব ভয়ানক হয়ে দেখা দিয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, দেশের জনগণের কল্যাণ এখনো নিশ্চিত করা যায়নি। বর্তমান সরকারও তা পারেনি, তবে সরকার চেষ্টা করছে। দেশের বহু মানুষ এখনো দিন আনে দিন খায়। ঘরে পরপর তিন দিনের খাবার আছে, দেশে এমন পরিবার এখনো ৬০ শতাংশ হবে না।

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, দেশের ৪৯টি ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীকে নিয়ে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় কাজ করছে। এ জাতিগোষ্ঠীর লোকজনকে যথাযথ সম্মান দিতে হবে। শারমীন মুরশিদ বলেন, ব্রতী জনগণের সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিতে কাজ করছে। বিভিন্ন ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর কথা ঢাকায় পৌঁছায় না। প্রান্তিক পর্যায়ে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো অনেক ইতিবাচক পরিবর্তন আনছে। এসব পরিবর্তন বড় পরিসরে করতে হলে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে। সিপিডির ফেলো রওনক জাহান বলেন, বেসরকারি সংস্থাগুলো (এনজিও) দুর্গম এলাকায়ও কাজ করছে। এনজিও এবং সুশীলসমাজকে সরকার কাজে লাগাতে পারে।

সর্বশেষ খবর