শনিবার, ২ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা

যুদ্ধ কোনো সমাধান নয়

কূটনৈতিক প্রতিবেদক

যুদ্ধ কোনো সমাধান নয়

ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলবিষয়ক বিশেষ দূত গ্যাব্রিয়েল ভিসেনটিন ইউক্রেন পরিস্থিতি নিয়ে বলেছেন, যুদ্ধের বিরুদ্ধে যুদ্ধ কোনো সমাধান নয়। আমরা কেউ-ই যুদ্ধ চাই না। যে কোনো পরিস্থিতিতে শান্তিপূর্ণ সমাধান প্রত্যাশা করছি। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিকাব) আয়োজিত এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এসব মন্তব্য করেন।

বিশেষ দূত গ্যাব্রিয়েল ভিসেনটিন, জাতিসংঘে ইউক্রেনের পক্ষে বাংলাদেশ ভোট দিয়েছে। সে কারণে আমরা বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানাই। বিশেষ দূত বলেন, আমরা এ যুদ্ধের সমাপ্তি চাই। যুদ্ধের ফলে ইউক্রেনে মানবিক বিপর্যয় নেমে এসেছে। বিশ্বজুড়ে দ্রব্যমূল্য বাড়ছে। সাধারণ জনগণ ফলাফল ভোগ করছে। তিনি বলেন, ‘ইইউ’র ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলে নিরাপত্তা উপাদান আছে। বাংলাদেশের সঙ্গে নিরাপত্তা ইস্যুতে ইইউ যোগাযোগ রাখছে। নিরাপত্তা সফটওয়্যার ক্রিমারিও ব্যবহার করার প্রস্তাব করেছে ইইউ। সমুদ্রে কী ঘটছে, সে বিষয়ে তাৎক্ষণিক তথ্য প্রদান করার সফটওয়্যার হচ্ছে ক্রিমারিও। এর অনেক ব্যবহার আছে। নৌবাহিনী ও কোস্ট গার্ড এটি ব্যবহার করতে পারবে। এটি আমাদের পক্ষ থেকে প্রস্তাব করা হয়েছে এবং আমরা বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করছি বলে তিনি জানান। ভিসেনটিন বলেন, ইন্দো-প্যাসিফিকের সাতটি উপাদান আছে এবং এগুলো নিয়ে কাজ করার জন্য কোনো পক্ষের সঙ্গে চুক্তি করার কোনো প্রয়োজন নেই। উপাদানগুলো পড়ে এবং বুঝে উপযুক্ত মনে হলে ইইউর সঙ্গে কাজ করতে পারে যে কোনো দেশ বলে জানান তিনি। বাংলাদেশ সাতটি উপাদানেই কাজ করছে জানিয়ে তিনি বলেন, দেশটির অভূতপূর্ব উন্নতি হয়েছে এবং ইইউর সঙ্গে ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক সম্পর্কে এর একটি প্রভাব পড়বে। উভয়পক্ষ জলবায়ু পরিবর্তন নিয়েও কাজ করছে জানিয়ে ইইউর বিশেষ এ দূত বলেন, ‘আমরা সমুদ্র নিরাপত্তা ও সুশাসন, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা বৃদ্ধি, আনক্লজসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কাজ করছি। রোহিঙ্গা বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এটি বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে কোনো দ্বিপক্ষীয় বিষয় নয়, বরং এটির সমাধান বৈশ্বিকভাবে করতে হবে। এ জন্যই এর সঙ্গে জাতিসংঘ, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন জড়িত।

বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করতে পারে ইইউ-যুক্তরাষ্ট্র : ইইউর ইন্দো-প্যাসিফিক বিষয়ক বিশেষ দূত গ্যাব্রিয়েল ভিসেনটিন বলেন, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইইউ) এবং যুক্তরাষ্ট্র যৌথভাবে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলে পাঁচটি উপাদান রয়েছে এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের রয়েছে সাতটি। এর মধ্যে যথেষ্ট সামঞ্জস্য রয়েছে এবং উভয়পক্ষের অগ্রাধিকার প্রায় সমান। বর্তমান স্বাধীন ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক যেন বজায় থাকে ইইউ সেটি চায় জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি গতকাল (বৃহস্পতিবার) যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করার বিষয়ে আলোচনা করেছি। যেহেতু যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউর অগ্রাধিকার এবং বাংলাদেশকে সম্পৃক্ত করার বিষয়ে একই ধরনের চিন্তা করছে, এটি হতে পারে যে, আমরা ওয়াশিংটন এবং ইইউ বাংলাদেশের বিষয়ে একসঙ্গে কাজ করতে পারি।’

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর