রবিবার, ৩ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা

চোর-বাটপাড়ের প্রেসিডেন্ট নই

নিজস্ব প্রতিবেদক

চোর-বাটপাড়ের প্রেসিডেন্ট নই

এফবিসিসিআই সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেছেন, ‘আমি ব্যবসায়ীদের  প্রেসিডেন্ট। কোনো চোর-বাটপারের প্রেসিডেন্ট নই।

আমি খারাপ, অসৎ ব্যবসায়ীদের প্রেসিডেন্ট হতে চাই না। আমি এই কথাটা সব সময় বলি। যত দিন বেঁচে থাকব, তত দিনই বলব।’ গতকাল রাজধানীর মতিঝিলে এফবিসিসিআই কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত রমজান মাস উপলক্ষে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রীর মজুদ, আমদানি, সরবরাহ ও মূল্য পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। সভায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানসহ পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহসভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, সাবেক সহসভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন, পরিচালক রেজাউল করিম, হারুন অর রশীদ, মোহাম্মদ আনোয়ার সাদাত সরকার প্রমুখ।

জসিম উদ্দিন বলেন, ‘আমরা ব্যবসায়ী। আমরা ব্যবসা করব, লাভ করব এটাই স্বাভাবিক। সরকারের পাশে থেকে আমরা চাই সাধারণ মানুষ যেন পণ্যটা ন্যায্য দামে পায়। কিন্তু আমাদের ঢালাওভাবে অনেক কথা শুনতে হয়। আমি চেষ্টা করি সত্য বলার। অসাধু কিছু ব্যবসায়ী এখানে থাকতেই পারেন। আমি তাদের প্রেসিডেন্ট নই। আপনারা (সাংবাদিক) তাদের চিহ্নিত করে দিন, আমরা ওই বিষয়ে কাজ করব।’ তিনি বলেন, ‘গুটিকয় ব্যবসায়ীর জন্য আমরা সবাই অভিযোগ শুনব, সেটা হতে পারে না। আমি বলব না যে আমাদের ব্যবসায়ীদের মধ্যে সমস্যা নেই। সমস্যা থাকতেই পারে। আমি তাদের দায়িত্ব নেব না। আমরা তাদের শাস্তি দিতে চাই।’ এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘সরকার-নির্ধারিত দামেই ব্যবসায়ীদের পণ্য বিক্রি করতে হবে। রমজানে নিত্যপণ্যে বাজার তদারকির জন্য আমরা কমিটি করেছি। ৪৬টি পণ্য সরকার-নির্ধারিত দামে বিক্রি হচ্ছে কি না তা তদারক করবে কমিটি। এ ছাড়া নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার দর, সরবরাহ পরিস্থিতি, উৎপাদন ও আন্তর্জাতিক বাজার দর সংগ্রহ, পর্যালোচনা ও সরেজমিন বাজার পরিদর্শন করবে এই কমিটি।’ এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, বিশ্ববাজারে পণ্যের দাম ও শিপিং খরচ  বেড়েছে, তাই শুল্ক ও কর হার কমালেও সরকারের রাজস্বের ঘাটতি হবে না, বরং সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দেওয়া যাবে। কভিড ও রাশিয়া-ইউক্রেন পরিস্থিতির কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে কাঁচামালসহ অন্যান্য পণ্যের দাম ও জাহাজ ভাড়া প্রতিনিয়ত বাড়ছে। দেশের উৎপাদন ও ব্যবসা-বাণিজ্যের ওপর এর বিরূপ প্রভাব পড়ছে। আমদানিকৃত পণ্যের মূল্য বৃদ্ধিতে ব্যবসায়ীদের প্রাপ্ত ঋণসীমা উত্তীর্ণ হয়ে গেছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিদ্যমান চলতি মূলধন ঋণসীমা অন্তত ৪০ শতাংশ বাড়ানোর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে এফবিসিসিআই চিঠি দিয়েছে। আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত ঋণখেলাপি না করার আহ্বান জানান তিনি।

সর্বশেষ খবর