শিরোনাম
মঙ্গলবার, ৫ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা

শোচনীয় পরাজয় বাংলাদেশের

গালাগালি করেছে আফ্রিকান ক্রিকেটাররা : মুমিনুল

ক্রীড়া প্রতিবেদক

শোচনীয় পরাজয় বাংলাদেশের

দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম টেস্টে ২২০ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরে গেছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ৫৩ রানেই গুটিয়ে গেছে টাইগারদের ইনিংস। প্রথম টেস্টে বিশাল ব্যবধানে হারার পর অধিনায়ক মুমিনুল হক অভিযোগ, দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটাররা মাঠে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের গালাগালি করেছেন। টাইগার ক্যাপ্টেন বলেন, ‘স্লেজিং তো হয় মাঠে। স্লেজিং হবে, এটা স্বাভাবিক। স্লেজিং যদি মাঝেমধ্যে অ্যাবিউসের কাছাকাছি চলে যায়, তখন এটা খুব খারাপ। কিন্তু ওরা মাঠে আমাদের বাজেভাবে অ্যাবিউস করছিল। আম্পায়ার বিষয়গুলো লক্ষ্য করেননি।’ তবে দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটাররা বর্ণবাদী কোনো আচরণ করেছেন কিনা ‘কোড অব কনডাক্ট’ -এর কারণে তা পরিষ্কার করে বলেননি মুমিনুল, ‘এগুলো শেয়ার করা যাবে না।’ ক্রিকেট মাঠে দুই দলের কথার লড়াই নতুন কিছু নয়। তবে স্লেজিং যে সীমা ছাড়িয়ে না যায়, তা নিয়ে তৎপর আইসিসি। আর স্লেজিং যদি বর্ণবাদের পর্যায়ে যায় সেটা অপরাধ। মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার আম্পায়ারদের বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। বিশেষ করে ম্যাচের চতুর্থ দিনে মাঠের আম্পায়ার মারাইস এরাসমাসের অধিকাংশ সিদ্ধান্তই দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে ছিল। রিভিউ সিস্টেম থাকলেও, এলবিডব্লিউ সিদ্ধান্ত মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অনেকটা প্রভাবিত হয়। ‘আম্পায়ার্স কল’ -এর কারণে ম্যাচে বঞ্চনার শিকার হন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। এ ছাড়া বেশ কয়েকবার জোরাল আবেদন হওয়ার পর যখন আম্পায়ার সরাসরি নাকচ করে দেওয়ার পর রিভিউও নেননি মুমিনুল। পরে রিপ্লেতে দেখা যায় ‘আউট’ ছিল। আম্পায়ারের বেশ কিছু সিদ্ধান্তও ম্যাচকে প্রভাবিত করেছে বলে মনে করেন মুমিনুল, ‘আম্পায়ারিং আমাদের হাতে নেই। তবে আমার মনে হয়, আইসিসির এখন এগুলো নিয়ে চিন্তাভাবনা করা উচিত। নিরপেক্ষ আম্পায়ার আবার নিয়ে আসা উচিত। এখন করোনা মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে, তাই আইসিসির এগুলো খেয়াল রাখা উচিত।’

 

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর