ভারতের অর্থনৈতিক অবস্থা শ্রীলঙ্কার থেকেও খারাপ। এই মন্তব্য করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। তার অভিমত সিবিআই, ইডি-এর মতো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এজেন্সিগুলোকে ব্যবহার না করে কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত দেশের অর্থনৈতিক সংকট নিয়ে আলোচনার জন্য সর্বদলীয় বৈঠক ডাকা।
গতকাল বিকালে রাজ্য সরকারের সচিবালয় নবান্নে সংবাদ সম্মেলন করতে গিয়ে শ্রীলঙ্কার চলমান পরিস্থিতির প্রসঙ্গ টেনে ভারতের বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারকে নিয়ে কথা বলেন মমতা। তিনি বলেন ‘আজকে ভারতের অর্থনৈতিক অবস্থা খুবই খারাপ। আমরা শ্রীলঙ্কাকে দেখতে পাচ্ছি। শ্রীলঙ্কায় আজকে মানুষ বিদ্রোহের পথে নেমেছে, অর্থনৈতিক অবস্থা খুব খারাপ। ভারতের অর্থনৈতিক অবস্থা কিন্তু আরও খারাপ। আমি শ্রীলঙ্কার সঙ্গে আমার দেশকে তুলনা করি না। কারণ শ্রীলঙ্কা-শ্রীলঙ্কাই এবং ভারত-ভারতই। কিন্তু কেন্দ্রের কোনো পরিকল্পনা নেই। গত ১১ দিনে ১৩ বার পেট্রোল, ডিজেল, গ্যাসের দাম বেড়েছে। প্রভিডেন্ড ফান্ডে সুদের হার কমেছে। রেল, সেল, ব্যাংক, বীমা-সবকিছু বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। এই অবস্থায় কেন্দ্র সহযোগিতার হাত না বাড়িয়ে যে ডালে বসছে সেই ডালই কেন্দ্রীয় সরকার ও বিজেপি কাটছে, কেবলমাত্র রাজনৈতিক স্বার্থের জন্য। আগামী দিন যদি দেশের সর্বনাশ হয়, তবে তার আঁচ থেকে কেউ বাঁচবে না। আমি মনে করে কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত প্রতিটি রাজনৈতিক দলগুলোর নেতৃত্বকে ডেকে কিভাবে অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলা করা উচিত তা নিয়ে কথা বলা।’ এদিন সীমান্ত দিয়ে গবাদি পশু ও কয়লা পাচার ইস্যুতেও কেন্দ্রের সমালোচনা করেন মমতা। তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন রাজ্যে সঙ্গে আমাদের সীমান্ত রয়েছে। তবে আমি কেন সমস্যা ফেস করব? উত্তর প্রদেশ, আসাম দিয়ে কয়লার গাড়ি আসবে-তা আমার রাজ্যের ওপর দিয়ে যাবে। রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ দিয়ে গরুর গাড়ি আসবে...কেউ সেগুলো বাংলাদেশে পাঠাচ্ছে। অথচ তাও যাবে আমার রাজ্যের ওপর দিয়ে। কিন্তু এর উৎস অন্য কোনো রাজ্যে। অন্য রাজ্য থেকে আমার রাজ্য হয়ে তা বাংলাদেশে ঢুকছে... সেটা কেন কেন্দ্রীয় সরকার বন্ধ করে দিচ্ছে না?