মঙ্গলবার, ৫ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা

বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক এখন সম্মানের

হুমায়ূন কবির

জুলকার নাইন

বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক এখন সম্মানের

যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ূন কবিরের মতে, বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক গত ৫০ বছরে ধাপে ধাপে গুণগতভাবে উন্নত হয়েছে। এখন এই সম্পর্ক পারস্পরিক সম্মানের। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি এসব কথা বলেন।

হুমায়ূন কবির বলেন, মোটাদাগে গত ৫০ বছর ধরে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক ইতিবাচকভাবেই পরিচালিত হয়েছে। প্রথম দুই দশক এই সম্পর্ক মুলত সাহায্যনির্ভর ছিল। দারিদ্র্যপীড়িত দেশ হিসেবে আমরা যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে প্রকল্প সাহায্য, খাদ্য সাহায্য ও আর্থিক সাহায্য ইতাদির ওপর নির্ভরশীল ছিলাম। সে সময় অনেকটা বাধ্য হয়েই আমরা তাদের মুখাপেক্ষী ছিলাম। প্রাথমিকভাবে এটা আমাদের জন্য খুব একটা সম্মানজনক ছিল না। কিন্তু তৃতীয় দশক থেকে বাণিজ্যভিত্তিক সম্পর্কের সূচনা হয়। এ সময় শুধু অর্থনৈতিক সম্পর্ক হয়েছে তা নয়, এ সময় সম্মানের সম্পর্কের সূচনাও হয়েছে। আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে দৃষ্টিতে দেখত, বাণিজ্যিক সম্পর্ক শুরুর পর সেই দৃষ্টি পাল্টে যায়। নব্বইয়ের দশক থেকে ২০০০ সালের পর পর্যন্ত এই সম্পর্ক চলতে থাকে। ২০০৮ সাল থেকে সম্পর্কটা কৌশলগত পর্যায়ে উন্নীত হয়। ২০১২ সালে সম্পর্কে কাঠামোগত বিভিন্ন অধ্যায়ের সুচনা হয়। এখন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সম্পর্ককে গুরুত্ব দেয়। আর বাংলাদেশ তো সবসময়ই যুক্তরাষ্ট্রকে গুরুত্ব দেয়। সবমিলিয়ে বাংলাদেশ এখন যুক্তরাষ্ট্রের একটা সম্মানজনক অংশীদার। গত ৫০ বছরের সম্পর্কের ইতিবাচক অর্জন এটা।

হুমায়ূন কবির বলেন, বাংলাদেশ যেমন যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে সম্মান আশা করে, তেমনি যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের কাছ থেকে পরিপক্ব আচরণ আশা করে, একটা পরিণত ব্যবস্থা সম্পর্ক আশা করে। তারা গণতন্ত্রের কথা বলে, সুশাসনের কথা বলে। সাময়িকভাবে এটা অনেক সময় বিব্রতকর মনে হতে পারে, কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে এটা আমাদের কল্যাণেই লাগে। কারণ উন্নত দেশের কাতারে যেতে হলে বাংলাদেশের ভাবমূর্তির উন্নয়নও প্রয়োজন। প্রয়োজন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ সুশাসনের কাঠামো গঠন। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে গঠিত বাংলাদেশ সুশাসনের জন্য, গণতন্ত্রের জন্য এবং বৈষম্যমুুক্তভাবে গড়ে ওঠার জন্যই গঠিত হয়েছিল। তাই বাংলাদেশি হিসেবেও গণতন্ত্র ও সুশাসনের কথা বলা আমাদের অধিকার। তাই যুক্তরাষ্ট্রের বলার আগেই আমাদের এগুলো নিশ্চিত করা প্রয়োজন। আর এসব নিশ্চিত করতে পারলে শুধু যুক্তরাষ্ট্র নয়, সারা বিশ্বের সঙ্গেই বাংলাদেশের ইতিবাচক সম্পর্ক নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর