বৃহস্পতিবার, ৭ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা

ইশরাক গ্রেফতার পাঠানো হয়েছে কারাগারে

নিজস্ব প্রতিবেদক

ইশরাক গ্রেফতার পাঠানো হয়েছে  কারাগারে

ঢাকা মহানগরী বিএনপির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে  নাশকতার এক পুরনো মামলায় গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে রাজধানীর মতিঝিলে লিফলেট বিতরণের সময় শাপলা চত্বরের কাছ থেকে ইশরাককে আটক করে মতিঝিল থানায় নিয়ে যাওয়া  হয়। পরে তাকে গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে ২০২০ সালের একটি মামলায় আদালতে হাজির করা হলে ঢাকার মহানগর হাকিম তামান্না ফারাহ তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এর আগে ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে প্রিজনভ্যানে করে কোর্ট থেকে কারাগারে নেওয়ার সময় রায়সাহেব বাজার মোড়ে বিএনপি নেতা-কর্মীরা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। এতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুলিশ সেখান থেকে আসামি ছিনতাই চেষ্টার অভিযোগে পাঁচজনকে আটক করে। ইশরাককে গ্রেফতারের নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে তার মুক্তি চেয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম। নেতৃবৃন্দ বলেন, ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন ক্ষমতাসীন সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। লিফলেট বিলি করার সময় পুলিশ বিনা উসকানিতে তাকে গ্রেফতার করে। আদালতে ইশরাকের পক্ষে জামিন আবেদন করেন মাসুদ আহমেদ তালুকদার, নুরুজ্জামান তপনসহ কয়েকজন আইনজীবী। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আজাদ রহমান জামিনের বিরোধিতা করেন। শুনানি শেষে বিচারক তা নাচক করে দেন। ইশরাক হোসেন ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার ছেলে।  ঢাকা মহানগর পুলিশের মতিঝিল জোনের এডিসি এনামুল হক মিঠু সাংবাদিকদের বলেন, ইশরাকের বিরুদ্ধে গাড়ি পোড়ানোর একটি মামলায় আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে। ওই মামলায় তাকে আদালতে হাজির করা হয়। আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার জানান, ওই মামলায় ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক উচ্চ আদালতে জামিন নেন। জামিনের মেয়াদ শেষে যখন নিম্ন আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিন নেওয়ার কথা ছিল, তখন তিনি করোনা আক্রান্ত হন। তাই আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি। তাই যেহেতু উচ্চ আদালতে তিনি জামিনপ্রাপ্ত হয়েছিলেন ও এই মামলার সব আসামি জামিনে আছেন- তাই তিনিও জামিন পাওয়ার যোগ্য। মির্জা ফখরুলের নিন্দা : বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক বিবৃতিতে বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে মতিঝিল এলাকায় লিফলেট বিতরণকালে ইশরাক হোসেনকে গ্রেফতারের ঘটনায় আবারও প্রমাণিত হলো- এই সরকার চরম জুলুমবাজ। আওয়ামী দুঃশাসনে জনগণের তীব্র ক্ষোভের মুখে সরকার এখন নিপীড়নের পথ বেছে নিয়েছে। সরকার জনগণকে দমনের জন্য হয়রানি, জুলুম-নির্যাতন, মিথ্যা মামলা, গ্রেফতারকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। এরই ধারাবাহিকতায় প্রকৌশলী ইশরাক হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি ইশরাকসহ গ্রেফতার নেতা-কর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর