বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের (বিএসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মেসবাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, সুনির্দিষ্ট কয়েকটি সূচকের ওপর ভিত্তি করে কিউএস র্যাংকিং তৈরি করা হয়।
আমরা যদি অ্যাক্রেডিটেশনের মাধ্যমে বিদ্যমান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার মানোন্নয়নের কাজটি যথাযথভাবে করতে পারি, তবে এসব সূচকে ভালো অর্জন সম্ভব হবে। তখন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এমনিতেই কিউএস র্যাংকিংয়ে ভালো অবস্থান নিশ্চিত করতে পারবে। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, র্যাংকিংয়ের যেসব মানদন্ড আমলে নেওয়া হয় সেগুলোর ব্যাপারে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ততটা সতর্ক থাকে না। অনেক ক্ষেত্রে তথ্যের ঘাটতি থাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে। গবেষণা, পাবলিকেশন যতটুকু হয় ততটুকুও রিপোর্ট করা হয় না। শিক্ষকরাও তাদের পাবলিকেশনের লিস্ট নিয়মিতভাবে ওয়েবসাইটে হালনাগাদ করেন না। এতে র্যাংকিং সূচকে পিছিয়ে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এ উপাচার্য বলেন, র্যাংকিং আর মানোন্নয়ন এক নয়। র্যাংকিংয়ে ভালো হলেই যে মানের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় এগিয়ে থাকবে বিষয়টি তেমন নয়। আমরা চাই মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে। এটাই গুরুত্বপূর্ণ। পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতেও অনেক ভালো বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে, যেগুলো কিউএস র্যাংকিংয়ে ভালো অবস্থানে নেই। তাই সামগ্রিকভাবে শিক্ষার মানোন্নয়নে গুরুত্ব দিতে হবে আমাদের। এ শিক্ষাবিদ বলেন, অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিদ্যমান প্রোগ্রামগুলোকে অ্যাক্রেডিটেড করবে। অ্যাক্রেডিটেড শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হবে মানসম্মত এবং এর একাডেমিক প্রোগ্রামগুলোও হবে মানসম্মত। শিগগিরই এ কার্যক্রম শুরু করব আমরা। শিক্ষকদের কোয়ালিটি, প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো, শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ, গবেষণা কার্যক্রম ইত্যাদির ওপর নির্ভর করেই অ্যাক্রেডিটেড করা হবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো।