রবিবার, ১০ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা

ইউএনওর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার সাবেক নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. মনজুর হোসেনের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ করেছেন কলেজের এক ছাত্রী। ছাত্রীটি এ অন্যায়ের প্রতিকার চেয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে আবেদন করেছেন। পাশাপাশি মনজুর হোসেনকে আইনি নোটিসও পাঠিয়েছেন। অভিযুক্ত মনজুর হোসেন বর্তমানে কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ উপজেলায় নির্বাহী অফিসার। অভিযোগ তদন্তে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় একটি কমিটি করেছে। ছাত্রীর লিখিত অভিযোগে জানা যায়, মনজুর হোসেন ২০২১ সালে বাসাইল উপজেলায় ইউএনও থাকতে ফেসবুকে কথোপকথনের মাধ্যমে ওই কলেজছাত্রীর পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে ইউএনও ছাত্রীটিকে তার বাসাইলের সরকারি বাসভবনে নিয়ে যান এবং সেখানে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করেন। ওই কলেজছাত্রীকে একাধিক পাত্রপক্ষ বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল কিন্তু মনজুর হোসেনের পরামর্শে ওসব প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা হয়। এক পর্যায়ে ছাত্রী ও মনজুর টাঙ্গাইল শহরের কুমুদিনী কলেজের পাশে পাওয়ার হাউসের পেছনে একটি বাসা ভাড়া নিয়ে স্বামী-স্ত্রী সেজে বসবাস শুরু করেন। সেখানে তারা দুই মাস থাকার পর কলেজছাত্রী বিয়ে করার জন্য মনজুর হোসেনকে চাপ দিতে থাকেন। মনজুর হোসেন ওই কলেজছাত্রীকে জানান- তারা দুজন ভারত ভ্রমণ শেষে দেশে ফিরে বিয়ে করবেন।

২০২১ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর রাতে সরকারি গাড়িতে তারা বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে চিকিৎসা ভিসায় ভারত যান। ভারতে অবস্থানকালে তারা অধিকাংশ সময় নিজেদের স্বামী-স্ত্রী বলে পরিচয় দিয়েছেন। ভারতের হায়দরাবাদে হাসপাতালের কাছে একটি বাসা নিয়ে সেখানে অবস্থান করে তারা দুজনেই চিকিৎসা নেন। ওই সময় কলেজছাত্রী ইউএনওর পারসোনাল ব্যাগ থেকে পাসপোর্ট বের করে জানতে পারেন মনজুর হোসেন বিবাহিত এবং তার দুটি সন্তান রয়েছে। ১২ অক্টোবর ভারত থেকে বাংলাদেশে আসার পর তারা যার যার বাড়িতে চলে যান। পরে ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবরে তারা আবার দেখা করেন এবং ইউএনও মো. মনজুর হোসেন আবারও স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বসবাসের প্রস্তাব দেন। কিন্তু প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে ছাত্রীটি প্রতিকার চেয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর