সোমবার, ১১ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা

দিশাহারা ব্যাটিং বড় হারের মুখে বাংলাদেশ

ক্রীড়া প্রতিবেদক

টেস্ট ক্রিকেটে ৪০০ রান তাড়া করে ম্যাচ জয়ের রেকর্ড রয়েছে সাকল্যে ৪টি। সর্বোচ্চ ৪১৮ রান তাড়া করে জিতেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৪১৪ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা, ৪০৪ রান করে অস্ট্রেলিয়া এবং ৪০৩ রান করে ভারত জিতেছে। পোর্ট এলিজাবেথে ইতিহাস গড়তে বাংলাদেশকে ৪১৩ রান তাড়া করতে হবে। এই টার্গেটে খেলতে নেমে ওপেনার মাহামুদুল হাসান জয়ের উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়েছে বাংলাদেশ। জয় পোর্ট এলিজাবেথ টেস্টে উভয় ইনিংসে শূন্য  রান করেছেন। প্রথম ইনিংসে ৫ বলে ০ এবং দ্বিতীয় ইনিংসে প্রথম বলেই শূন্য রান করেন জয়। টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৪৫৩ রান করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে অলআউট হয় ২১৭ রানে। ২৩৬ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেটে ১৭৬ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করেন এলগার। টার্গেট দেয় ৪১৩ রানের। তাইজুল প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেটের পর দ্বিতীয় ইনিংসে নেন ৩ উইকেট। বাংলাদেশ ৪১৩ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ২৭ রানেই ৩ উইকেট হারায়। অধিনায়ক মুমিনুল হক ৫ রানে উইকেটে টিকে আছেন। দিশাহারা এমন ব্যাটিংয়ে এখন বড় হারের মুখে বাংলাদেশ। টাইগাররা ৫ উইকেটে ১৩৯ রান তুলে দ্বিতীয় দিন পার করেছিল। গতকাল দুই অপরাজিত ব্যাটার মুশফিকুর রহিম ও ইয়াসির আলী সকালের প্রথম ঘণ্টা বেশ ভালোভাবে সামলে নেন। কিন্তু সব কিছু তালগোল পাকিয়ে যায় কেশব মহারাজ বল হাতে নেওয়ার পর। তিনি এসেই ভেঙে দেন মুশফিক ও ইয়াসিরের ষষ্ঠ উইকেট জুটি। দুজনেই খুবই সাবলীল ব্যাটিং করছিলেন। স্কোর কার্ডে যোগ করেছিলেন ৭০ রান। দলীয় ৬০ ওভারের শেষ বলে কেশবকে খেলবেন কি খেলবেন না করতে যেয়ে ফিরতি ক্যাচ দেন। অথচ ফিরতি ক্যাচ দেওয়ার আগ পর্যন্ত দারুণ খেলছিলেন ইয়াসির। ৪৬ রানের ইনিংসটি খেলেন ৮৭ বলে। ১১৬ মিনিট স্থায়ী ইনিংসে ছিল ৭টি বাউন্ডারি। ইয়াসিরের বিদায়ের পর খুব বেশি সময় ক্রিজে ছিলেন না মুশফিক। ৫১ বল পর আত্মাহুতি দেন। সাবেক অধিনায়ক যখন বোল্ড হন হার্মারের বলে, তখন লাঞ্চ বিরতির বাকি ছিল মাত্র ৫ মিনিট। হার্মারের বলটিকে তিনি সোজা ড্রাইভ খেলতে পরতেন। রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে খেলতে পারতেন। কিন্তু সেটা না করে রিভার্স সুইপ খেলেন। বলটি তার ব্যাটের কানায় লেগে প্যাডে আঘাত করে বোল্ড হন। তখন তার স্কোর ৫১। মাত্র আগের বলে সুইপ করে বাউন্ডারিতে ৮০ টেস্ট ক্যারিয়ারের ১৪৭ ইনিংসের ২৫ নম্বর হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন মুশফিক। ১৩৬ বল স্থায়ী ইনিংসটিতে ছিল ৮টি চার। ইয়াসির ও মুশফিকের বিদায়ের পর খুব লম্বা সময় ব্যাটিং করতে পারেনি টাইগাররা। হার্মার ও মহারাজের ঘূর্ণিতে ২১৭ রানে অলআউট হয় ৭৪.২ ওভারে। হার্মার ও মুল্ডার ৩টি করে এবং ডুয়ান্নে অলিভার ও মহারাজ ২টি করে উইকেট নেন।       

সর্বশেষ খবর