সোমবার, ১১ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা

গণভবন অভিমুখে পদযাত্রা সোহেল তাজের

নিজস্ব প্রতিবেদক

গণভবন অভিমুখে পদযাত্রা সোহেল তাজের

তিন দাবিতে গতকাল গণভবন অভিমুখে পদযাত্রা করেন সোহেল তাজ। -বাংলাদেশ প্রতিদিন

১০ এপ্রিলকে ‘প্রজাতন্ত্র দিবস’ ও ৩ নভেম্বরকে রাষ্ট্রীয় দিবস ঘোষণাসহ তিন দফা দাবিতে গণভবন অভিমুখে যাত্রা করেছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে সোহেল তাজ। গতকাল পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী বিকাল ৪টার পর সংসদ ভবনের দক্ষিণ গেটের সামনে (মানিক মিয়া এভিনিউ) অবস্থান নেন সোহেল তাজ। এ সময় ব্যানার-ফেস্টুনসহ তার সঙ্গে যোগ দেন বিভিন্ন বয়সী কয়েক শ মানুষ। বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে মিছিল নিয়ে গণভবন অভিমুখে যাত্রা শুরু করেন সোহেল তাজ। মিছিলে সোহেল তাজের বোন শারমিন আহমেদ, মাহজাবিন আহমেদ মিনিসহ অসংখ্য মানুষ অংশ নেন। ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠিত হয়। আর ৩ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে তাজউদ্দীন আহমদসহ জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করে স্বাধীনতাবিরোধীরা। এর আগে গত ৭ এপ্রিল ফেসবুকে নিজের ভেরিফাইড পেজে তিন দফা দাবি ও কর্মসূচি ঘোষণা করেন তাজউদ্দীনপুত্র। সেখানে তিনি লিখেছিলেন এ কর্মসূচি একান্তই তার নিজের উদ্যোগ। তিনি ভক্ত-অনুসারীদের উদ্দেশে আরও লেখেন, ‘আপনারা কেউ যোগ দিতে চাইলে আসতে পারেন। আর না এলে আমি একাই যাব- জয় বাংলা।

সোহেল তাজের তিন দফা দাবি হলো : এক. ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠিত হয়। বাংলাদেশ স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র (প্রজাতন্ত্র) হিসেবে জন্ম লাভ করে এদিনে। তাই এদিনকে প্রজাতন্ত্র দিবস ঘোষণা করতে হবে। দুই. ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর কারাগারে হত্যা করা হয় জাতীয় চার নেতাকে। এ জেল হত্যা দিবসকে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে ঘোষণা করে তা রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করতে হবে। তিন. জাতীয় চার নেতাসহ মহান মুক্তিযুদ্ধের সব বেসামরিক ও সামরিক সংগঠক, পরিচালক, অমর শহীদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নাম, অবদান, জীবনীসহ মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস যথাযথ মর্যাদা ও গুরুত্বের সঙ্গে সর্বস্তরের পাঠ্যপুস্তকে এবং সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

সর্বশেষ খবর