মঙ্গলবার, ১২ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা
সোহেল চৌধুরী হত্যা

আশীষকে ট্রাইব্যুনালে হাজিরের নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

নব্বইয়ের দশকের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার আসামি আশীষ রায়চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরীকে ১৭ এপ্রিল আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গতকাল ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক জাকির হোসেন কারা কর্তৃপক্ষকে এ আদেশ দেন। ওই দিন মামলাটির সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য রয়েছে।

এর আগে ৫ এপ্রিল রাতে র‌্যাব সদর দফতরের গোয়েন্দা শাখা ও র‌্যাব-১০-এর অভিযানে রাজধানীর গুলশান থেকে ওই মামলার চার্জশিটভুক্ত পলাতক আসামি আশীষ রায়চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরীকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় ২২ বোতল বিদেশি মদ, ১৪ বোতল সোডা ওয়াটার, একটি আইপ্যাড, ১৬টি বিভিন্ন ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড, দুটি আইফোন ও নগদ ২ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ৬ এপ্রিল রাতে বোতল চৌধুরীর (৬৩) বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেছেন র‌্যাব-১০-এর ডিএডি জাহাঙ্গীর আলম। সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি আশীষ রায়। ৭ এপ্রিল তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মাদকদ্রব্য আইনে করা মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার উপপরিদর্শক শামীম হোসেন। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মোস্তফা রেজা নুর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। ১৯৯৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর রাজধানীর বনানীতে ট্রাম্পস ক্লাবের নিচে সোহেল চৌধুরীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তার ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী গুলশান থানায় মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত শেষে ১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার আবুল কাশেম বেপারী নয়জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০০১ সালের ৩০ অক্টোবর ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এর দুই বছর পর মামলাটির বিচার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ঢাকার ২ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। ওই বছরই আসামিদের মধ্যে একজন হাই কোর্টে আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৩ সাল থেকে দীর্ঘ ১৯ বছর হাই কোর্টের আদেশে মামলাটি স্থগিত ছিল। সর্বশেষ ২৭ ফেব্রুয়ারি স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার হলে ফের মামলাটিতে সাক্ষ্য গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর