বুধবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা

হঠাৎ বেপরোয়া মাদক ব্যবসায়ীরা

টার্গেটে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য, দেশে ঢুকছে বড় বড় চালান

সাখাওয়াত কাওসার

হঠাৎ বেপরোয়া মাদক ব্যবসায়ীরা

৭ এপ্রিল রাত ১০টায় দিকে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার সুয়াগাজীর লালবাগ এলাকায় মাদক ব্যবসায়ীরা মিলিত হচ্ছে এমন খবরে অভিযানে যায় র‌্যাব-১১-এর একটি দল। টের পেয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা র‌্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। মো. রুবেল গাজী নামের র‌্যাবের এক করপোরালের শরীরে গুলি বিদ্ধ হলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তৎক্ষণাৎ তাকে কুমিল্লা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নেওয়া হলে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। পরে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার মেরুদণ্ডের বাঁ পাশ থেকে একটি পিস্তলের গুলি বের করেন চিকিৎসকরা। চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে র‌্যাব কর্মকর্তারা বলছেন, অল্পের জন্য রুবেল গাজী পঙ্গুত্ব থেকে বেঁচে গেছেন।

৩১ মার্চ রাতে হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের একটি চা-বাগানে মাদক ব্যবসায়ীদের হামলায় এক এসআইসহ পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে চুনারুঘাট থানার এসআই তরিকুল ইসলাম ও কনস্টেবল মো. জুয়েলের অবস্থা গুরুতর ছিল। তাদের একজনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও অপরজনকে সদর আধুনিক হাসপাতালে চিকিৎসা  দেওয়া হয়। ১৩ মার্চ খোদ রাজধানীতেই পুলিশের ওপর চড়াও হয়েছে মাদক ব্যবসায়ীরা। দক্ষিণখানের কোটবাড়ী এলাকায় স্থাপিত চেকপোস্টে দুজনকে সন্দেহ হলে থামতে বলে পুলিশ। তখন তারা পুলিশের ওপর হামলে পড়ে। একপর্যায়ে তাদের একজনের হাতে হাতকড়া পরায় পুলিশ। তখন আশপাশে থাকা অন্য মাদক ব্যবসায়ীরা পুলিশের ওপর হামলা করে হাতকড়া পরিহিত ব্যক্তিকে ছিনিয়ে নেয়।

এ তো গেল মাত্র তিনটি ঘটনা। এভাবে হঠাৎ করেই আইন প্রয়োগকারী সংস্থার ওপর মাদক ব্যবসায়ীদের চড়াও হওয়ার ঘটনা নতুন করে ভাবতে বাধ্য করেছে সরকারের শীর্ষ মহলকে। কেনই বা টার্গেট হচ্ছেন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা? এ নিয়ে অনেকেই কথা বলছেন নানা প্লাটফরমে। কেউ কেউ বলছেন, সব শেষ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার পর মাদক ব্যবসায়ীরা অনেকেই তৃপ্তিতে ভুগছেন। এ সুযোগে বড় বড় চালান এরই মধ্যে তারা দেশে ঢুকিয়েছেন বলে গ্রেফতার অনেকেই তথ্য দিয়েছেন। মাদক ব্যবসায়ীরা মনে করছেন, শিগগিরই কোনো বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটবে না।

জানা গেছে, ৩২ সীমান্ত জেলার পয়েন্টগুলো চিহ্নিত হলেও মাদক প্রবেশ কোনোভাবেই বন্ধ করা যাচ্ছে না। নানা কৌশলে সীমানা থেকে তা ছড়িয়ে পড়ছে দেশের সব প্রান্তে। মাদক নিয়ে কাজ করেন এমন অনেক বিশেষজ্ঞ বলছেন, সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে শীর্ষ থেকে মধ্যম মানের মাদক ব্যবসায়ী হবে সর্বোচ্চ ১০ হাজার। এই মাদক ব্যবসায়ীদের কঠোর নজরদারিতে রাখতে না পারা ভয়াবহ রকমের ব্যর্থতার বিষয়। অনেকে কক্সবাজারে মেজর (অব.) সিনহা হত্যাকাণ্ড এবং পরে ওসি প্রদীপকে গ্রেফতারের পর ছন্দের অমিলের কথা বলছেন। সব শেষ যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে অনেক শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী সুযোগ নিচ্ছেন।

জানুয়ারি মাসে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ২১ কেজি আইস জব্দ করেছে। নতুন মাদক আইসের পাশাপাশি ১৭ লাখ ৫২ হাজার ৯৯১টি ইয়াবা জব্দ করে তারা। আবার কেবল জানুয়ারি মাসেই কক্সবাজারের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রায় ১৬ কেজি আইস জব্দ করেছে বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থা। ৩ মার্চ মুন্সীগঞ্জ ও কক্সবাজার থেকে আইস উদ্ধার করেছে র‌্যাব-১৫ ও বিজিবি, যার আনুমানিক মূল্য ৬১ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। দুটি ঘটনায় আটক করা হয়েছে সাতজনকে। তবে পুলিশ সদর দফতরের উপমহাপরিদর্শক হায়দার আলী খান আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের ওপর চড়াও হওয়ার পেছনে অনেক কারণ আছে বলে মনে করেন। তিনি বলেন, মাদক-সংশ্লিষ্ট অপরাধে যারা গ্রেফতার হন, তারা সহজেই জামিন পেয়ে যাচ্ছেন। অনেকেই হয়তো দফায় দফায় গ্রেফতার হয়েছেন। আবার বর্তমানে ব্যবহার হচ্ছে এমন অনেক মাদকে মস্তিষ্ক রীতিমতো বিকৃত হয়ে যাচ্ছে। এমন আরও কিছু কারণ রয়েছে।

তিনি বলেন, পুলিশ সদর দফতর থেকে বিভিন্ন সময় পাঠানো নির্দেশনায় বলা আছে, অভিযানের গুরুত্ব বিবেচনা করে ফোর্স এবং সামগ্রিক প্রস্তুতি নিয়ে যেতে হবে। তবে অনেক সময় যদিও তাৎক্ষণিক তথ্যের ভিত্তিতে অপারেশন করতে হয়। তখন অন্তত ঊর্ধ্বতন পর্যায়কে অবশ্যই অবগত করে যেতে হবে, যাতে কোনো সমস্যা হলে ফাঁড়ি কিংবা তদন্ত কেন্দ্র তাদের ব্যাকআপ দিতে পারে।

একাধিক সূত্র বলছে, অনেকটা বানের জলের মতোই দেশে ঢুকছে ভয়ংকর সব মাদক। কোনোভাবেই ঠেকানো যাচ্ছে না মাদকের আগ্রাসন। ফেনসিডিল-ইয়াবার পাশাপাশি এখন ক্রেজি ড্রাগস ‘আইস’ নতুন করে ভাবাচ্ছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের। সঙ্গে উদ্বেগ ছড়াচ্ছে ‘এলএসডি’ ও ‘ডিওবি’। দীর্ঘদিন সমুদ্রপথে টেকনাফ রুটে বড় বড় চালান ঢুকলেও দুই বছর ধরে নাইক্ষ্যংছড়ির পাহাড়ি অঞ্চল দিয়ে ঢুকছে ইয়াবা ও আইসের বড় বড় চালান। উদ্বেগের বিষয় হলো, এত দিন রাজধানী ছাড়া কয়েকটি বড় শহরে আইসের অস্তিত্ব মিললেও এখন তা পাওয়া যাচ্ছে মফস্বলের জেলাগুলোতে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা অভিযান পরিচালনা করে উদ্ধারও করেছেন বিপুল পরিমাণ আইস।

জানা গেছে, ২০২০ সালে সব ধরনের মাদক উদ্ধারের ঘটনায় প্রতিদিন গড়ে মামলা হয়েছে ২৩৫টি। ২০২১ সালে প্রতিদিন গড় মামলার সংখ্যা ছিল ২৫৫টি। চলতি বছরের প্রথম দুই মাসে প্রতিদিন গড়ে মামলা হয়েছে ২৭৯টি। মোট আসামি গ্রেফতার হয়েছে ২১ হাজার ৬৬৬ জন। দুই মাসে মোট ইয়াবা উদ্ধার হয়েছে ৬২ লাখ ৫৫ হাজার ২৬৮টি। ফেনসিডিল বোতল উদ্ধার হয়েছে ১ লাখ ৪৩ হাজার ৩৯৩টি। হেরোইন উদ্ধার হয়েছে ৬৫ কেজি ১৮৪ গ্রাম। গত কয়েক বছর আগের হিসাবে বলা হতো, দেশে মাদকাসক্তের সংখ্যা ৪০ থেকে ৪৫ লাখ। করোনার এক বছরে ২০২০ সালে তা বেড়ে হয়েছে ৭৫ লাখ। ২০২২ সালে জানুয়ারি মাসে তা বেড়ে হয়েছে ১ কোটি। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের একাধিক কর্মকর্তা বলছেন, এ সংখ্যা প্রকৃতপক্ষে আরও অনেক বেশি। তারা বলছেন, যেহেতু ঘরে বসে মাদকের অর্ডার দিলে সহজে হাতের নাগালে তা পৌঁছে যায়, সেহেতু এর সঠিক সংখ্যা নিরূপণ করা দুঃসাধ্য। ই-বিজনেস চালু হওয়ার পর থেকে মাদকের প্রবাহ অতি সহজ হয়েছে। তাই এর প্রতি কৌতূহল বেড়েছে। সঙ্গে বেড়েছে নিত্যনতুন ব্যবহারকারীর সংখ্যা। তথ্যপ্রযুক্তির অপব্যবহারে অপরাধ বেড়েছে। এসব অপরাধের ৮৯ শতাংশ মাদক গ্রহণ ঘটনার সঙ্গে জড়িত।

অনুসন্ধান বলছে, কয়েক বছর ধরে ফেনসিডিলের চাহিদা কমে গেলেও দুই বছর ধরে নতুন করে বেড়েছে এর কদর। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার অভিযানেও উদ্ধার হচ্ছে বড় বড় ফেনসিডিলের চালান। এর বাইরে বেড়েছে আইসের চাহিদা। বিদেশে পড়াশোনা করেছেন এমন অনেক মাদকসেবী বিস্তার ঘটাচ্ছেন ডিওবির। উচ্চ মূল্যের ডিওবির চাহিদা রয়েছে ধনীর দুলালদের কাছে। তারা ক্লোজ গ্রুপের মাধ্যমে তা সংগ্রহ করছেন। অনেকে ডার্ক ওয়েবে অর্ডার দিয়ে সংগ্রহ করছেন ডিওবি।

সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হক বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার ওপর মাদক ব্যবসায়ীদের একের পর এক হামলার বিষয়টি অবশ্যই ভাবনার বিষয়। বিশেষ করে সম্প্রতি আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কিছু সদস্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্র গমনে নিষেধাজ্ঞা আসার পর থেকেই মূলত এমন ঘটনা বেশি ঘটছে। তারা মনে করছে পুলিশ-র‌্যাব এখন গুলি করবে না। এটিও একটি কারণ হতে পারে। তিনি বলেন, ‘এখনো আমি বলব রুটগুলোর ওপর বিশেষ নজর দিয়ে অ্যাগ্রেসিভ পুলিশিংয়ের ওপর জোর দিতে হবে। অ্যাগ্রেসিভ পুলিশিং বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে টেকনাফ দিয়ে মাদক আসছে সেই আগের মতোই। যারা বড় ধরনের অপরাধী তাদের বিরুদ্ধে অ্যাগ্রেসিভ পুলিশিং না করলে তারা আরও বেপরোয়া হয়ে যেতে পারে। জানা গেছে, ২২ মার্চ মঙ্গলবার বিকাল ৪টার দিকে ক্রেতা সেজে হবিগঞ্জ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের লোকজন ১০০ বোতল ফেনসিডিলসহ মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেন। কিন্তু সংঘবদ্ধ চোরাকারবারিরা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের লোকজনের ওপর হামলা চালিয়ে হ্যান্ডকাফ ও ফেনসিডিল ছিনিয়ে নিয়ে যায়। মাধবপুর উপজেলার তেলিয়াপাড়া চা-বাগান নাচঘরের সামনে এ ঘটনা ঘটেছে। সংঘবদ্ধ মাদক ব্যবসায়ীদের হামলায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের এক সহকারী পরিদর্শকসহ দুই সিপাহি আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন হবিগঞ্জ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের সহকারী পরিদর্শক রতন চন্দ্র গোস্বামী, সিপাহি সাদ্দাম হোসেন ও সিপাহি তাপস চন্দ্র বৈষ্ণব। গত বছর ২ জুলাই রাত ৩টার দিকে নাসিরনগরে অভিযানে গিয়ে মাদক ব্যবসায়ীদের হামলায় আহত হয়েছেন দুই র‌্যাব সদস্য। তবে এর আগেই র‌্যাব ধরমণ্ডল গ্রামের আবদুল হকের বাড়ি থেকে ১০ লাখ টাকা মূল্যের ১০০ গ্রাম হেরোইন, ২৩৫ পিস ইয়াবা, নগদ ২ লাখ ৮১ হাজার ৪৮৫ টাকা, ২০টি মোবাইল সেট, ২০টি সিম কার্ড, ৬টি ছুরি ও ৬টি টেঁটা উদ্ধার করে।

র‌্যাব জানায়, র‌্যাব মাদক ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত দুই নারীকে আটক করলে তারা ‘ডাকাত’ বলে চিৎকার শুরু করেন। এ সময় আশপাশের লোকজন জড়ো হয়। পরে তাদের সঙ্গে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে এলাকাবাসী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে র‌্যাবের ওপর হামলা চালায়। এতে র‌্যাব সদস্য এএসআই বকুল হোসেন ও নায়েক তৌহিদুল ইসলাম টেঁটা বিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন। পরে তাদের উদ্ধার করে হবিগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত বছর ১১ আগস্ট নওগাঁর মান্দায় মাদকবিরোধী অভিযান চলাকালে হামলার শিকার হয়েছেন গোয়েন্দা পুলিশের এক সদস্য। ওই দিন বেলা ১২টার দিকে উপজেলার কুসুম্বা ইউনিয়নের বড় বেলালদহ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় হেরোইনসহ খলিল নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করে পুলিশ। কিন্তু কৌশলে হ্যান্ডকাফ পরা অবস্থায় দৌড়ে পালিয়ে যান খলিল। পরে খলিলের স্ত্রী পারুল বিবি (৪০) এবং স্থানীয় লাদুকে (৪৮) আটক করে পুলিশ। ১৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় বিজয়নগর গ্রামে মাদক কারবারিদের হামলার শিকার হয়েছেন র‌্যাব-৫-এর সদস্যরা। মাদক কারবারিদের হামলায় একজন রক্তাক্ত জখম হয়েছেন। তবে শেষ পর্যন্ত র‌্যাব শাহরিয়ার নাজিম ওরফে জয় (২১), পরশ ওরফে মাহিদ হাসান (১৯) ও তারেক মাহফুজ (১৯) নামের তিন মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।  এদিকে কুমিল্লার ঘটনার বিষয়ে র‌্যাব-১১-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল তানভীর মাহমুদ পাশা বলেন, ‘মাদকের বড় ধরনের একটি চালান যাচ্ছে এমন খবরেই আমাদের টিম সেখানে অবস্থান নিয়েছিল। মাদক ব্যবসায়ীরা আমাদের লক্ষ্য করে গুলি করে। ভাগ্যক্রমে রুবেল গাজী বেঁচে গেছেন। ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ৫০ কেজি গাঁজাসহ দুজনকে আটক করেছিলাম। পরে এ ঘটনায় আটজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সীমান্তবর্তী জেলা কুমিল্লায় পাঁচ-ছয়জন শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী রয়েছেন। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার উপস্থিতি টের পাওয়ামাত্রই তারা ওপারে চলে যান।’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান খন্দকার ফারজানা রহমান বলেন, ‘আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো মাদকের ক্ষেত্রে বেশ কিছু ভালো পদক্ষেপ নিয়েছে। নিজ বাহিনীতেও তারা শুদ্ধি অভিযান চালিয়েছে। অনেকের চাকরিও চলে গেছে। এসব কারণে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের মনোবল ভেঙে দেওয়ার জন্যই হয়তো মাদক ব্যবসায়ীরা তাদের ওপর চড়াও হচ্ছে। মিডিয়ার অ্যাটেনশনটা তারা নিতে চাইছে।’

সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে

পোল্যান্ড থেকে খুলনায় নতুন মাদক ডিওবি

ঘুরে-ফিরে একই পেশায় ওরা

ফেনসিডিল আমদানির অনুমতি চাইলেন আওয়ামী লীগ নেতা

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর