বৃহস্পতিবার, ১৪ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা

হুমায়ুন আজাদ হত্যায় চার জঙ্গির ফাঁসির রায়

আদালত প্রতিবেদক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক হুমায়ুন আজাদকে হত্যার দায়ে চার জঙ্গির ফাঁসির রায় দিয়েছে আদালত। গতকাল ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আল-মামুন এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে সর্বোচ্চ সাজার পাশাপাশি চার আসামিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে কারাগারে থাকা দুই আসামি নিষিদ্ধ জঙ্গি দল জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) শুরা সদস্য মিজানুর রহমান মিনহাজ ওরফে শফিক ওরফে শাওন ও আনোয়ারুল আলম ওরফে ভাগনে শহীদ রায়ের সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাকি দুই আসামি নূর মোহাম্মদ শামীম ওরফে জে এম মবিন ওরফে সাবু ও সালেহীন ওরফে সালাউদ্দিন ওরফে সজীব ওরফে তাওহিদ পলাতক। এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আবদুল্লাহ আবু বলেন, রায় ঘোষণার পর উপস্থিত দুই আসামিকে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া পলাতক দুই আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করতে সাত দিন সময় পাবেন আসামিরা। তবে আপিল করতে হলে পলাতক আসামিদের আদালতে আত্মসমর্পণ করতে হবে। রায়ের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে- দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য সারা দেশে সিরিজ বোমা হামলা চলে। দেশের ভাবমূর্তি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নষ্ট করার জন্য এবং ধর্মান্ধতায় উদ্বুদ্ধ হয়ে আসামিরা নৃশংসভাবে হুমায়ুন আজাদকে কুপিয়েছিল। মামলাসূত্রে জানা গেছে, ১৮ বছর আগের এ ঘটনার মামলায় ২৭ মার্চ আদালতে যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ হয়। সেদিন আদালত রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য করে। এর আগে ২০০৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি রাতে অমর একুশে বইমেলা থেকে ফেরার পথে বহুমাত্রিক লেখক হুমায়ুন আজাদকে কুপিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে যায় জঙ্গিরা। এ ঘটনায় পরদিন তাঁর ভাই মঞ্জুর কবির রাজধানীর রমনা থানায় হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন। পরে বিদেশে উন্নত চিকিৎসা শেষে কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর একই বছরের ১২ আগস্ট জার্মানিতে মারা যান হুমায়ুন আজাদ। এরপর মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হয়। মামলাটি তিন বছর তদন্ত শেষে ২০০৭ সালের ১৪ জানুয়ারি পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। ২০০৯ সালের ৭ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে মামলার বিচার শুরু হয়। এ মামলার পাঁচ আসামির মধ্যে একজন বেঁচে নেই। তাঁর নাম হাফিজ মাহমুদ।

সর্বশেষ খবর