শনিবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা

বিরোধের শেষ নেই তৃণমূলে

♦ প্রভাব পড়ছে মাঠের সম্মেলনে ♦ দূরত্ব কমানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগ হাইকমান্ডের

রফিকুল ইসলাম রনি

বিরোধের শেষ নেই তৃণমূলে

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর মাত্র দেড় বছর বাকি। এ সময়ে প্রায় প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে এমপি-মন্ত্রীদের দূরত্ব বেড়েই চলেছে। কোথাও এমপিদের সঙ্গে দ¦ন্দ্ব না থাকলেও নেতায় নেতায় বিরোধ। যেন বিরোধের শেষ নেই। আর এ অবস্থায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক ভিত্তির। একই সঙ্গে দলকে পড়তে হচ্ছে বিব্রতকর অবস্থায়। এ নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে আওয়ামী লীগে। এখন থেকেই এমপি-মন্ত্রীদের দূরত্ব কমিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দলের নীতিনির্ধারণী ফোরামের একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে এমন উদ্বেগের তথ্য পাওয়া গেছে।  দলের নীতিনির্ধারণী ফোরামের একাধিক নেতা জানিয়েছেন, কোন্দল নিরসনে কেন্দ্রীয় নেতাদের পাশাপাশি জেলার সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককে বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ কাজের সরাসরি তদারকি করছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যেসব জেলায় কোন্দল বেশি সেখানকার জেলা নেতাদের ডেকে প্রয়োজনীয় সব ধরনের নির্দেশনা দিচ্ছেন তিনি। আবার বিতর্ক থাকলেও যেসব এমপিকে দিয়ে আসন উদ্ধার করা সম্ভব সেসব এমপিকে ডেকে, টেলিফোনে কিংবা সংসদ অধিবেশন চলাকালে দেখা সাক্ষাতে দ্বন্দ্ব নিরসনের জন্য নির্দেশনা দিচ্ছেন।

এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বিশাল একটি রাজনৈতিক সংগঠন। লাখ-কোটি নেতা-কর্মী। প্রতিটি উপজেলা কিংবা নির্বাচনী এলাকায় একাধিক যোগ্য লোক আছে। দলীয় মনোনয়নের সময় একজনকে বেছে নিতে হয়। সে কারণে অনেকেই মনঃক্ষুণ্ন হন। যার ফলে অভ্যন্তরীণ ছোটখাটো সমস্যার সৃষ্টি হয়। তবে এটাকে পুরোপুরি দ্বন্দ্ব না বলে নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা বলতে পারি।’ জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে এমন প্রতিযোগিতা শুভকর কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘প্রায় দেড় বছর পর জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এ মুহূর্তে অভ্যন্তরীণ মতপার্থক্য মোটেও কাম্য নয়। এটা উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।’ জেলায় জেলায় দলীয় কোন্দলে ক্ষতবিক্ষত আওয়ামী লীগ। অন্তর্বিরোধ ও কোন্দলের কারণে প্রাক-নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করতে পারছে না দলটি। জাতীয় নির্বাচন ঘনিয়ে এলেও কর্মীদের সঙ্গে মন্ত্রী-এমপিদের দূরত্ব যোজন যোজন। নেতাদের মধ্যে বিদ্যমান গ্রুপিং, দ্বন্দ্বের কারণে তৃণমূল আওয়ামী লীগ এখন বিপর্যস্ত। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা দলকে চাঙ্গা করতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিলেও ঝিমিয়ে পড়া হতাশ নেতা-কর্মীদের ঘুম ভাঙছে না।  এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘আওয়ামী লীগের কোন্দল প্রকট আকার ধারণ করেছে এ তথ্য সঠিক নয়। আওয়ামী লীগ বিশাল একটি রাজনৈতিক দল। সেখানে নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা, জনপ্রতিনিধি হওয়ার প্রতিযোগিতা থেকে মনোমানিল্য হতে পারে। আবার নির্বাচনের সময় কিংবা কোনো ঝড় সামনে এলেই আওয়ামী লীগ এক হয়ে যায়। আওয়ামী লীগ গণমানুষের দল। এর শিকড় অনেক গভীরে।’ তিনি বলেন, দলের ভিতরে ছোটখাটো যে সমস্যা রয়েছে তা দলীয় সভানেত্রীর নির্দেশে কেন্দ্রীয় টিম নিরসন করার চেষ্টা করছে। এ ছাড়াও নেত্রী জেলার শীর্ষ নেতা, দলীয় এমপি-মন্ত্রীদের ডেকে ডেকে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন।  আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, এমপিদের সঙ্গে স্থানীয় নেতাদের সমন্বয়হীনতার কারণে সাংগঠনিক কার্যক্রম এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। সাংগঠনিক কার্যক্রম এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পদক্ষেপ নেওয়া হলেও হোঁচট খেতে হচ্ছে বারবার। দলের মধ্যে এমন দূরত্ব না কমলে কেন্দ্রীয় সম্মেলনের আগে তৃণমূলের সম্মেলন শেষ করতে পারবে কি না এ নিয়ে সংশয় রয়েছে।

তৃণমূল আওয়ামী লীগ নেতারা জানিয়েছেন, টানা ১৩ বছর ক্ষমতায় থাকায় একেকটি সংসদীয় এলাকায় তিন ধরনের লীগের জন্ম হয়েছে। একটি ‘এমপি লীগ’, আরেকটি আওয়ামী লীগ এবং সর্বশেষ হতাশা লীগ। এখন এমপি লীগের জয়জয়কার চলছে। সবখানে তারা সুবিধাভোগী। দুর্দিনের কর্মীরা কোণঠাসা। এমপি-মন্ত্রীদের চারপাশে হাইব্রিড লীগের ধাক্কায় কুলাতে না পেরে নিজেদের গুটিয়ে নিয়েছে অনেকে। গুটিয়ে নেওয়ারা ‘হতাশা লীগে’ নাম লিখিয়েছে। এই হতাশা লীগ মনে করে, দল ক্ষমতায় থাকলেও তারা বিরোধী দলে কিংবা ক্ষমতার বাইরে। যারা যতক্ষণ এমপিদের মন জুগিয়ে, স্বার্থ হাসিল করে চলতে পারবে ততক্ষণ তারা এমপির ডান হাত। তাদের হাতেই থাকে সবকিছু। বালুমহল, হাটবাজার, ট্রাক, বাসস্ট্যান্ড, টেম্পো স্ট্যান্ড, টেণ্ডারবাণিজ্য, নিয়োগ-বদলিসহ সব করে থাকেন। এমপি-মন্ত্রীদের চারপাশে হাইব্রিডদের জয়জয়কার।

পরিচয় গোপন করার শর্তে একাধিক তৃণমূল নেতা জানিয়েছেন, আদর্শের রাজনীতি বলতে আর কিছুই নেই এখন। আওয়ামী লীগের মতো একটি রাজনৈতিক দল কীভাবে বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার আদর্শ থেকে বিচ্যুত হচ্ছে। দুঃসময়ের নেতা-কর্মীরা নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ছেন।

প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় এমপি-মন্ত্রীদের সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছে। এমপি ডান দিকে চললে কিছু নেতা-কর্মী চলেন বাম দিকে। পৃথক কর্মসূচিও পালন করতে দেখা যায় তাদের। এ ছাড়াও চলমান সম্মেলনে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল আরও প্রকট আকার ধারণ করেছে। রাজশাহীর বাঘায় উপজেলা সম্মেলন নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনে সংঘর্ষে জড়ান স্থানীয়রা। এতে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম ও সাবেক পৌর মেয়র আক্কাস আলীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এর আগে জেলা সম্মেলনকে কেন্দ্র নাটোরের সার্কিট হাউসে সংঘর্ষে জড়ান জেলার সাধারণ সম্পাদক প্রত্যাশী শফিকুল ইসলাম শিমুল এমপি ও রমজান আলীর কর্মী-সমর্থকরা। ১১ এপ্রিল মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনস্থলে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। একই দিনে লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে চরকাদিরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। জানা গেছে, অধিকাংশ কোন্দলেই ইন্ধন দিচ্ছেন স্থানীয় এমপি কিংবা তার কর্মী-সমর্থকরা। তাদের পছন্দের মানুষকে কমিটিকে বসাতেই সংঘর্ষে লিপ্ত হচ্ছে নেতা-কর্মীরা। 

দলীয় সূত্র জানায়, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড দূরত্ব নিরসনে কাজ করার তাগিদ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতা, এমপি-মন্ত্রী ও জেলার শীর্ষ নেতাদের। গত রবিবার রাতে উত্তরাঞ্চল থেকে নির্বাচিত এক এমপির কার্যালয়ে আসেন ওই এমপির নির্বাচনী এলাকার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। দীর্ঘ সময় এমপির সঙ্গে বৈঠক করেন জেলা সভাপতি। তার মূল বক্তব্য হচ্ছে, যে করেই হোক তৃণমূলে কোন্দল নিরসন করতে হবে। নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে একসঙ্গে চলতে হবে।

কেন্দ্রের একাধিক নেতা জানান, তৃৃণমূল আওয়ামী লীগকে শক্তিশালীকরণ ও সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব আনার জন্য ৮ বিভাগে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী কয়েক মাস ধরে কাজ করছেন তারা। রাজশাহী বিভাগে সব সাংগঠনিক জেলার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ১৬টি উপজেলা ছাড়া বাকি সব উপজেলার সম্মেলনও হয়েছে। কিন্তু অন্য সাত বিভাগে বর্ধিত সভা, প্রতিনিধি সভা হলেও সম্মেলনের মুখ দেখেনি অধিকাংশ জেলা।

এ বিষয়ে রাজশাহী বিভাগে দায়িত্বপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আমার বিভাগের সব জেলার সম্মেলন শেষ করেছি। ৬৬টি উপজেলার সম্মেলন করেছি। বাকি আছে ১৬টি উপজেলা। রমজানের পর এগুলোও শেষ করব। সম্মেলন করতে গিয়ে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘দু-একটি জায়টায় সমস্যা হয়েছে। তবে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা এবং এই বিভাগের দায়িত্বরত সাংগঠনিক টিমের সবাই সহযোগিতা করায় সমস্যা ফেস করেই সফল হয়েছি।’

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চট্টগ্রাম বিভাগ ও সিলেট বিভাগ নিয়ে সম্মেলনের পর থেকেই জটিলতা ছিল। এই দুটি বিভাগের বেশকিছু জায়গায় দলীয় এমপি ও স্থানীয় নেতাদের দ্বন্দ্ব ও দূরত্ব ছিল। ফলে একপর্যায়ে পরিস্থিতির উত্তরণ ঘটাতে চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে আহমদ হোসেনকে সরিয়ে আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। আবার সিলেট বিভাগ থেকে সাখাওয়াত হোসেন শফিককে সরিয়ে আহমদ হোসেনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এরপর মতবিনিময় ও বর্ধিত সভা বা কর্মিসভা হলেও সম্মেলনের মুখ দেখেনি এ দুটি বিভাগ। এর মূলে রয়েছে এমপির সঙ্গে স্থানীয় নেতৃবৃন্দের দূরত্ব। এ ছাড়া বিভাগীয় ও সিটি করপোরেশন পর্যায়ে মেয়রের সঙ্গে স্থানীয় নেতৃবৃন্দের দূরত্বও আছে। চট্টগ্রাম বিভাগের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা রয়েছে নোয়াখালীতে। জটিল অবস্থা রয়েছে ফেনীতেও। চাঁদপুর সদরসহ অন্তত দুটি আসনের এমপিদের সঙ্গে স্থানীয় নেতৃবৃন্দের দূরত্ব রয়েছে। এমনিভাবে চট্টগ্রাম জেলা ও মহানগর, কুমিল্লা জেলা উত্তর ও দক্ষিণ, হাতিয়াসহ চট্টগ্রাম বিভাগের বেশ কয়েকটি এলাকায় স্থানীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে এমপিদের দূরত্ব দৃশ্যমান। ফলে সেখানে সম্মেলনের কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।   

গত ২ ও ৩ মার্চ চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা এবং দলীয় এমপিদের নিয়ে বৈঠক করেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা। এ সময় জেলার নেতারা কেন্দ্রীয় নেতাদের ব্যাপক দোষারোপ করেন। অভিযোগ ওঠে, একজন উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে মামলা দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় এক সম্পাদকমন্ডলীর সদস্যের ইন্ধনে। এ ছাড়াও এমপিরা দলের নেতা-কর্মীদের পাশ কাটিয়ে ‘একলা চলে’ নীতিতে চলেন বলেও অভিযোগ করেন। জেলা নেতারা কেন্দ্রের নেতাদের কথা রাখেন না বলেও অভিযোগ করেন একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য।

জানতে চাইলে চট্টগ্রাম বিভাগে দায়িত্বপ্রাপ্ত আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেন, ‘চট্টগ্রাম বিভাগে তৃণমূলের সম্মেলন চলছে। কোথাও কোথাও সম্মেলনের প্রস্তুতি চলছে। আমরা আশা করছি, ঈদের পর ব্যাপক হারে চট্টগ্রাম বিভাগে সম্মেলন হবে। আমরা নিচ থেকে ওপরের দিকে সম্মেলন করছি। ফলে আমাদের সময় লাগবে। তাড়াহুড়ো করার কিছু নেই। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই চট্টগ্রাম বিভাগের সব মেয়াদোত্তীর্ণ ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, পৌর, উপজেলা ও জেলা সম্মেলন এবং পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন সম্পন্ন হবে।’

ঢাকা বিভাগের মধ্যে ঢাকা মহানগর উত্তরের ইউনিট পর্যায়ের সম্মেলন শেষ করে ইউনিট পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে পরিচিতিমূলক সভা করেছেন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। তবে ঢাকা মহানগরের দক্ষিণের সম্মেলনের ধীরগতি বিরাজ করছে। দক্ষিণের সভাপতি আবু আহম্মেদ মন্নাফী ও সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবীরের মধ্যকার অন্তর্দ্বন্দ্ব সম্মেলনের ধীরগতির অন্যতম কারণ। আগামী নভেম্বরে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

এ প্রসঙ্গে ঢাকা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘আগামী ডিসেম্বরে জাতীয় সম্মেলন। এর আগে নভেম্বরে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের সম্মেলন করা হবে। সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব আনা হবে। তিনি বলেন, কর্মকান্ডের মধ্য দিয়ে দল গতিশীল হয়। যত কর্মসূচি দিব দল তত চাঙ্গা হবে। ব্যক্তির সঙ্গে ব্যক্তির দ্বন্দ্ব বসে মেটানো সম্ভব না। কর্মসূচির মাধ্যমেই দ্বন্দ্ব দূর হবে।’

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর