রবিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা

মামলার ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়, তিন পুলিশ প্রত্যাহার

গাজীপুর প্রতিনিধি

গাজীপুরে মামলার ভয় দেখিয়ে দুই যুবকের কাছ থেকে টাকা আদায়ের অভিযোগে পুলিশের এক এএসআই ও দুই কনস্টেবলকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এরা হলেন- গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) বাসন থানার এএসআই শাহাদত হোসেন এবং কনস্টেবল মো. মিন্টু ও মো. নোমান। গতকাল গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) উপ-কমিশনার    (অপরাধ) জাকির হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, তাদের বাসন থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।

উপ-কমিশনার (অপরাধ) জাকির হাসান জানান, বৃহস্পতিবার রাতে দুই যুবককে আটক করে টাকা নেওয়ার অভিযোগ ওঠায় ওই তিন পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ভুক্তভোগী আলফাজ ও মনির জানান, গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার মধ্যপাড়া ইউনিয়নের নস্করচালা গ্রামের দুই বন্ধু মনির হোসেন ও আলফাজ হোসেন একটি মোটরসাইকেল নিয়ে বৃহস্পতিবার গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সালনার মোল্লাপাড়া এলাকায় বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতে যান। রাত ৯টার দিকে ফেরার পথে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের বাসন থানার নাওজোড় এলাকায় উড়াল সড়কের কাছে পৌঁছলে এএসআই শাহাদত হোসেন, কনস্টেবল নোমান ও মিন্টু তাদের গতিরোধ করেন। মোটরসাইলের কাগজপত্র যাচাইয়ের নামে তাদের দেহ তল্লাশিসহ নানাভাবে হয়রানি ও মামলা দিয়ে গ্রেফতারের ভয়ভীতি দেখান। দুই কনস্টেবল তাদের পকেট তল্লাশি করে দুইজনের কাছ থেকে ৬ হাজার ৮০০ টাকা নিয়ে নেয় এবং বাড়িতে খবর দিয়ে আরও টাকা আনতে বলে। ছেলেদের আটক করার খবর পেয়ে রাতেই মনির ও আলফাজের পিতা সেখানে ছুটে যান। পরে তারা আরও ৬ হাজার টাকা দিলে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

আলফাজ ও মনির জানান, দুই মাস আগে কেনা নতুন মোটরসাইকেল নিয়ে বেড়াতে গিয়েছিলেন তারা। মোটরসাইকেল কেনার রসিদও তাদের সঙ্গে ছিল। সেটি দেখালেও পুলিশ নানাভাবে ভয়ভীতি দেখায়। পরে ১২ হাজার ৮০০ টাকা দিলে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। বাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মালেক খসরু খান জানান, অভিযুক্ত ওই তিন পুলিশ সদস্যকে সিসি দিয়ে মেট্রোপলিটন পুলিশ সদর দফতরে পাঠানো হয়েছে।

সর্বশেষ খবর