সোমবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা
বিশেষজ্ঞ অভিমত

এটা বিপদ সংকেত

-অধ্যাপক ড. আ ব ম ফারুক

নিজস্ব প্রতিবেদক

এটা বিপদ সংকেত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেডিকেল রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক ড. আ ব ম ফারুক বলেছেন, ‘ইফতারি আইটেম চপ, বেগুনি, পিঁয়াজুতে অনেক অসাধু ব্যবসায়ী কড়া ভাজা দেখানোর জন্য রং ব্যবহার করেন। পোড়া তেল এবং চর্বির ব্যবহারও প্রচুর দেখা যায়। এসব অস্বাস্থ্যকর খাবারের       কারণে বিপুল জনগোষ্ঠী স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছে।’ গতকাল তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে আরও বলেন, ‘অনেক দোকানে বাহারি শরবতের নামে ব্যবহার করা হয় কাপড়ে ব্যবহারের রাসায়নিক রং। তাই বলব, ইফতারে বাহারি শরবতের নামে এসব রাসায়নিক রং খাবেন না।’ মানুষের ক্যান্সার, কিডনি, লিভার ক্ষতিগ্রস্ত হয় খাবারের মধ্যে কাপড়ের রং ব্যবহারের কারণে। আগে ইফতারে মানুষের রঙিন শরবত খাওয়ার এক ধরনের বাতিক ছিল, সেটা এখন কিছুটা কমেছে। এগুলো টেক্সটাইল কালার। আমাদের দেশের ৭৩ শতাংশ মানুষের গ্যাসটিক, এসিডিটি আছে। কত শতাংশের আলসার আছে সে জরিপ এখনো হয়নি। লিভারের রোগের বড় কারণ এসব ভেজাল মেশানো খাবার। এটা বিপদ সংকেত। এসব অস্বাস্থ্যকর খাবারের কারণে বিপুল জনগোষ্ঠী স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে আছে।’ অধ্যাপক ড. আ ব ম ফারুক আরও বলেন, ‘রোজায় ইফতারি আইটেমের মধ্যে হালিম বেশ জনপ্রিয়। হালিমের স্বাদ বাড়াতে এতে প্রচুর চর্বি ব্যবহার করা হয়। এগুলো মারাত্মক ক্ষতির কারণ হয়ে উঠছে। ইফতারে সবার স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খাওয়া উচিত। স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে না পারলেও, অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া উচিত নয়। ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে বলব, এক পণ্যের ব্যবসায়ী অন্য পণ্যের ক্রেতা। এসব অস্বাস্থ্যকর খাবার তো আপনাদের পরিবারের মানুষও খায়। রোজাদারদের ভেজাল খাবার দিয়ে ইফতার করানো কতটা খারাপ কাজ এটা কল্পনাও করা যায় না। তাই বেশি মুনাফার আশায় মানুষের জীবন ঝুঁকিতে ফেলবেন না।’

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর