বুধবার, ২০ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা

দফায় দফায় সংঘর্ষে রণক্ষেত্র নিউমার্কেট

ব্যবসায়ী ও ঢাকা কলেজ ছাত্রদের মধ্যে রাত-দিন সংঘর্ষে নিহত ১, থামাতে গিয়ে আক্রমণের শিকার শিক্ষকরা, চাঁদনী চক মার্কেটে আগুন, অর্ধশতাধিক আহত, রাস্তা বন্ধ ভয়াবহ জনদুর্ভোগ, ৫ মে পর্যন্ত ঢাকা কলেজের হল বন্ধ ঘোষণা, প্রত্যাখ্যান ছাত্রদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

দফায় দফায় সংঘর্ষে রণক্ষেত্র নিউমার্কেট

ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে সংঘর্ষ। নেওয়া হচ্ছে আহত একজনকে। পুলিশের টিয়ার শেল নিক্ষেপ -জয়ীতা রায়

সোমবার মধ্যরাতে শুরু। গতকাল দিনভর দফায় দফায় হয়েছে ছাত্র-ব্যবসায়ী সংঘর্ষ। মুহুর্মুহু ইটপাটকেল ও ককটেল নিক্ষেপ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ দফায় দফায় ছুড়েছে সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ার শেল। রীতিমতো রণক্ষেত্রে রূপ নিয়েছিল রাজধানীর নিউমার্কেট ও ঢাকা কলেজ এলাকা। ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিউমার্কেটের দোকানকর্মীদের দফায় দফায় সংঘর্ষের মধ্যে আহত একজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তার নাম নাহিদ হাসান (২৩)।

তিনি ডি লিংক নামে একটি কুরিয়ার সার্ভিসে ডেলিভারিম্যানের চাকরি করতেন বলে তার স্বজনরা জানান। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত রাতে তার মৃত্যু হয়। জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মো. আলাউদ্দিন রাত ৯টা ৪০ মিনিটে যখন নাহিদের মৃত্যু ঘোষণা করেন, তখন হাসপাতালে উপস্থিত তার স্ত্রী ডালিয়া সুলতানা কান্নায় ভেঙে পড়েন। ছয় মাস আগে বিয়ে করার পর নাহিদ ও ডালিয়া ঢাকার কামরাঙ্গীরচরে বাসা ভাড়া করে থাকতেন।

সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন ঢাকা কলেজের শিক্ষকরা। রেহাই পায়নি রোগীর অ্যাম্বুলেন্সও। সংঘর্ষে ১০ সাংবাদিকসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। অন্যদিকে অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতি এড়াতে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে কর্তৃপক্ষ ৫ মে পর্যন্ত কলেজ বন্ধ ঘোষণা করলেও তা প্রত্যাখ্যান করেছেন ছাত্ররা।

সোমবার মধ্যরাতে আড়াই ঘণ্টার সংঘাতের পর থমথমে পরিস্থিতির মধ্যে গতকাল সকালে আবার সংঘর্ষে জড়ান নিউমার্কেটের দোকান কর্মচারী ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে আশপাশ এলাকায়। টানা সংঘর্ষের জেরে গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন রাস্তায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ায় ভয়াবহ দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে নগরবাসীকে।

গতকাল সকাল থেকে সরেজমিন নিউমার্কেট এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, সোমবার রাতের ঘটনার প্রতিবাদে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা গতকাল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মানববন্ধন করতে রাস্তায় জড়ো হন। এ সময় ব্যবসায়ীরাও বেরিয়ে এলে পুনরায় তারা মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। কলেজের সামনের সড়কে লাঠি ও রড হাতে জড়ো হওয়া শিক্ষার্থীদের ঢিল ছুড়তে দেখা যায়। নিউমার্কেট ফুটওভার ব্রিজ এলাকায় অবস্থান নিয়ে থাকা ব্যবসায়ী ও তাদের দোকান কর্মচারীরা পাল্টা জবাব দেন। মুহূর্তেই নিউমার্কেটসহ আশপাশ এলাকার সব দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। তাদের অনেকেই সংঘর্ষে নেমে পড়েন। ক্রমেই বাড়তে থাকে সংঘর্ষের মাত্রা। ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সমর্থনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ইডেন কলেজের শিক্ষার্থীরাও রাস্তা অবরোধ করে প্রতিবাদ জানান। রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীরাও। ছাত্র-ব্যবসায়ীদের দফায় দফায় চলা বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে পুলিশ দফায় দফায় টিয়ার শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। বিক্ষুব্ধদের জ্বালানো আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের তৎপরতাও দেখা গেছে।

ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা কলেজ ফটকের সামনে ও হলের ছাদে অবস্থান নেন। রাস্তায় অনেকের হাতে লাঠি আর মাথায় হেলমেট দেখা গেছে। ঢিলবৃষ্টিতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। ছাত্রদের অভিযোগ, পুলিশ ব্যবসায়ীদের কিছু বলছে না। তারা কেবলই ছাত্রদের টার্গেট করে টিয়ার শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড মারছে। কলেজ ক্যাম্পাসেও দফায় দফায় টিয়ার শেল নিক্ষেপ করছে।

যদিও পুলিশ বলছে, দুই পক্ষ দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়াচ্ছে। তারা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছে।

কেবল নিরাপত্তার আশঙ্কায় সায়েন্স ল্যাব থেকে নিউমার্কেট পর্যন্ত সব দোকান বন্ধ রাখেন দোকান মালিকরা। ঈদের এই ভরা মৌসুমে সংঘর্ষ আর দোকানপাট বন্ধ থাকায় তারা উদ্বেগ প্রকাশ করেন। নিউমার্কেট দোকান মালিক সমিতির সভাপতি শাহীন আহমেদ বলেন, ‘সব পক্ষকে শান্ত করে সোমবার রাত ৪টার দিকে আমরা বাসায় ফিরেছিলাম। আমরা ছাত্রনেতাদের কথা দিয়েছিলাম যে ব্যবসায়ীরা আর সংঘর্ষে জড়াবেন না। কিন্তু সকালে ছাত্ররা আবার সড়ক অবরোধ করেন। ফলে পাশের চাঁদনী চক, গাউছিয়া ও অন্যান্য মার্কেটের ব্যবসায়ীরা আবার একত্র হয়ে সংঘর্ষে জড়ান।’ এদিকে সোমবার মধ্যরাতে নিউমার্কেটের দোকান কর্মচারীদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের পর গতকাল ঢাকা কলেজের সব ক্লাস ও পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। সকালে ঢাকা কলেজের ওয়েবসাইটে এ নোটিস দেওয়া হয়। কলেজের ফেসবুক পেজেও বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয়। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের নামে দেওয়া ওই নোটিসে বলা হয়- অনিবার্য কারণে ১৯ এপ্রিল মঙ্গলবার ঢাকা কলেজের উচ্চমাধ্যমিক ও অনার্স-মাস্টার্স শ্রেণির সব ক্লাস ও পরীক্ষা স্থগিত করা হলো। সব শিক্ষককে সকাল ১০টার মধ্যে কলেজে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ করা হলো।

জড়িতদের আইনের মুখোমুখি হতে হবে- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী : নিউমার্কেট এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, জড়িতদের আইনের মুখোমুখি হতে হবে। গতকাল সচিবলায়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে মন্ত্রী এ কথা বলেন। ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা, গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ, সড়ক-মহাসড়ক নিরাপদ, যানজটমুক্ত রাখাসহ প্রাসঙ্গিক অন্যান্য বিষয় নিয়ে সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মন্ত্রী। এ সময় সংঘর্ষের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যারা এ ঘটনার জন্য দায়ী তাদের আইনের মুখোমুখি হতে হবে। সেখানে উপস্থিত ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, পরিস্থিতি ঘটনাস্থলে অনেক জটিল আকার ধারণ করেছে। টেকনিক্যাল কারণেই পুলিশ ছাত্রদের প্রতি সফট আচরণ করছে। এখানে গুলি করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না।

যেভাবে সূত্রপাত : গতকাল সকালে ব্যবসায়ী, পুলিশ ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়েছিল একটি খাবারের দোকানে কথা কাটাকাটি থেকে। ঢাকা কলেজের এক শিক্ষার্থী বলেন, চতুর্থ বর্ষ আর মাস্টার্সের তিনজন শিক্ষার্থী রাতে খেতে যান। দাম যা আসছে তার চেয়ে একটু কম দিতে চেয়েছিলেন তারা। এ সময় ঝগড়ার একপর্যায়ে দোকানে থাকা ধারালো ছুরি নিয়ে শিক্ষার্থীদের গুরুতর জখম করেন দোকানিরা। এ খবর ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থীরা গিয়ে ভাঙচুর চালান। এরপর ব্যবসায়ী ও পুলিশ ধাওয়া দিয়ে শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে ফিরিয়ে দেয়। পরে রাতে কয়েক দফায় পাল্টাপাল্টি সংঘর্ষ হয়েছে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হন।

সোমবার রাত ১২টা থেকে দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলে। শেষ পর্যন্ত রাত আড়াইটার দিকে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

নিউমার্কেট জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার শাহেন শাহ জানান, রাতের সংঘর্ষের সময় আহতদের মধ্যে দুই শিক্ষার্থীসহ চারজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। এদের মধ্যে মোশাররফ হোসেন নামে ম্যানেজমেন্ট চতুর্থ বর্ষের এক শিক্ষার্থীকে স্কয়ার হাসপাতালে আইসিইউতে রাখা হয়। সেই ক্ষোভ থেকেই মূলত গতকাল সকালে শিক্ষার্থীরা আবারও সড়কে অবস্থান নেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই বলছিলেন, নিউমার্কেট এলাকায় ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের দফায় দফায় সংঘর্ষের সূত্রপাত হয় ব্যবসায়ীদের অন্তর্দ্বন্দ্বের কারণে। অনেক ব্যবসায়ী শিক্ষার্থীদের খাবারের বিল না দেওয়ার বিষয়টি সামনে আনলেও ইফতারসামগ্রী বিক্রির জন্য টেবিল বসানোর জায়গা দখলকে কেন্দ্র করে শুক্রবার মনোমালিন্য তৈরি হয় একই মালিকের দুই ফাস্টফুড দোকানের মধ্যে। তারাই প্রভাব খাটাতে ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের বেশ কিছু সদস্যকে ডেকে আনেন। তারা ব্যবসায়ীদের ওপর চড়াও হলে ব্যবসায়ীরাও তাদের মারধর করেন। এরপর ওই শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে গিয়ে সত্য ঘটনা আড়াল করে বিষয়টি অন্যভাবে উপস্থাপন করলে দফায় দফায় সংঘর্ষ শুরু হয়। একপর্যায়ে নিউমার্কেটের আশপাশের মার্কেটের ব্যবসায়ীরাও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।

ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অবরুদ্ধ : নিউমার্কেট এলাকায় দোকানকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষের পর ঢাকা কলেজের ছাত্রাবাসগুলো বন্ধ ঘোষণা করায় বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এ টি এম মইনুল হোসেনকে তাঁর কক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখেন। ওই নির্দেশনা প্রত্যাখ্যান করে বেলা সাড়ে ৩টার দিকে শিক্ষার্থীরা ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের কার্যালয়ের বাইরে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন।

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য দুপুরে শিক্ষার্থীদের শান্ত করতে গিয়ে তোপের মুখে পড়েন। ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা তাদের ঘিরে ধরেন। এক শিক্ষার্থী লেখক ভট্টাচার্যকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘আপনি তামাশা দেখতে আসছেন?’ তার কথা শেষ না হতেই আরেকজন বলেন, ‘কেন আসছেন এখানে? সারা জীবন আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগকে বাঁচালাম। রাত থেকে ঝামেলা চলছে। আপনাদের কেউ এলেন না!’ জটলার মধ্য থেকে কয়েকজনকে লেখকের দিকে তেড়ে যেতে দেখা যায়। গালাগালিও করেন অনেকে। তবে এসবের জবাবে কিছু বলেননি লেখক। দীর্ঘদিন ঢাকা কলেজে ছাত্রলীগের কমিটি না হওয়ার জন্যও ক্ষোভ প্রকাশ করেন শিক্ষার্থীরা। কলেজ শাখার নেতা-কর্মীদের দাবি, কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি থাকলে ব্যবসায়ীরা এত সাহস পেতেন না। পরে হল বন্ধের ঘোষণা দিলে আল নাহিয়ান খান জয় ও লেখক ভট্টাচার্য অধ্যক্ষের কার্যালয়ে গিয়ে অবস্থান নেন। অধ্যক্ষকে অবরুদ্ধ করা শিক্ষার্থীদের শান্ত করতে গিয়ে লেখক ভট্টাচার্য বলেন, ‘হল বন্ধ করে দেওয়া কোনো সমাধান নয়। প্রয়োজনে মার্কেট বন্ধ হবে। কিন্তু শিক্ষার্থীদের আবাসিক হল নয়।’

ইডেন কলেজ : ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সমর্থনে গতকাল বিক্ষোভ দেখিয়েছে ইডেন মহিলা কলেজের ছাত্রীদের একটি দল। বেলা ৩টার পর ইডেন কলেজ থেকে মিছিল নিয়ে সড়কে বের হন তারা। ছাত্রীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ঢাকা কলেজের দিকে যেতে চাইলে নিউমার্কেটের ব্যবসায়ীরা বাধা দেন। দুই পক্ষের মধ্যে কিছুক্ষণ বাগ্বিতণ্ডা চলে। ব্যবসায়ীদের বাধার মুখে ছাত্রীরা ফিরে এসে নীলক্ষেত মোড়ে অবস্থান নেন। শতাধিক ছাত্রী এ বিক্ষোভে অংশ নেন। এ সময় ছাত্রীরা বিভিন্ন স্লোগান দেন। ঢাকা কলেজ ছাত্রদের ওপর হামলার বিচার চান তারা। পুলিশের ভূমিকার সমালোচনা করেও তারা স্লোগান দেন। ছাত্রীদের হাতে ‘স্ট্যান্ড উইথ ঢাকা কলেজ’, ‘আমার ভাইয়ের রক্ত, বৃথা যেতে দেব না’, ‘ঢাকা কলেজের ভাইদের কিছু হলে ইডেনকন্যারা জ্বালাবে আগুন ঘরে ঘরে’ ইত্যাদি প্ল্যাকার্ড দেখা গেছে।

কবি নজরুল সরকারি কলেজ : ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দিনভর সংঘর্ষের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন কবি নজরুল সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরাও। কলেজের মূল ফটকে এ কর্মসূচির আয়োজন করেন তারা। পরে একটি মিছিল বের করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় : ঢাকা কলেজ ছাত্রদের সঙ্গে ব্যবসায়ী ও দোকানকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় ঢাকা কলেজ ছাত্রদের পক্ষে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা। গতকাল বেলা দেড়টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তি ও গণতন্ত্র তোরণের সামনের চৌরাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভে নামেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের একটি দল। তাদের নেতৃত্ব দেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা কামাল খান, শেখ স্বাধীন মো. শাহেদ, শামীম পারভেজ ও মেশকাত হোসেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল থেকে তাদের সঙ্গে যোগ দেন কয়েক শ শিক্ষার্থী। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ এফ রহমান হলের সামনে থেকে কিছু নেতা-কর্মীকে সঙ্গে নিয়ে হেঁটে নীলক্ষেত মোড় পর্যন্ত যান বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন।

 

রণক্ষেত্র নিউমার্কেট

নিউমার্কেট এলাকায় ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষের মধ্যে অ্যাম্বুলেন্সে হামলা, একটি দোকানে আগুন ও সাংবাদিকদের ওপর আক্রমণ   -বাংলাদেশ প্রতিদিন

সর্বশেষ খবর