বৃহস্পতিবার, ২১ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা

সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকার যখন দেশের উন্নয়ন নিয়ে ব্যস্ত, তখন কিছু মানুষ অপপ্রচার আর সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করছে। দেশের অগ্রযাত্রা রুখে দিতে এবং সাধারণ মানুষের উন্নয়ন ব্যাহত করতেই এ ষড়যন্ত্র।

গতকাল রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে কৃষক লীগের ৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন। গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যুক্ত হন তিনি। শেখ হাসিনা বলেন, দেশের উন্নয়ন ও এগিয়ে যাওয়া যাদের ভালো লাগছে না তারাই এখন সরকার হটানোর আন্দোলনে একজোট হয়েছে। আমি প্রায়ই শুনি বক্তৃতায়, আমাদের দেশের কিছু নেতা আছেন। দুঃসময়ে তারা মানুষের পাশে কতটুকু দাঁড়িয়েছেন সেটা জানি না। করোনাকালে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে কোনো সাহায্য করেছেন কি না, সেটার লক্ষণ আমরা দেখিনি। তবে তারা খুব আন্দোলনের জন্য ব্যস্ত, কী? এই সরকারকে হটাতে হবে। কোন সরকার? আওয়ামী লীগ সরকার। তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোটের সঙ্গে এক হয়ে ড. কামাল হোসেন, মান্না, কমিউনিস্ট পার্টি, বাম দল তারা নাকি আন্দোলন করে আওয়ামী লীগ সরকারকে হটাবে। শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগের দোষ কোথায়? দেশকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত করেছি, এটি কি তাদের ভালো লাগেনি। এ জন?্য এই সরকারকে হটাতে চায়? মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে, শতভাগ বিদ?্যুৎ হয়েছে, ভূমিহীন ও গৃহহীনদের বাড়ি-জমি দিচ্ছি বিনামূল্যে। এটি কি আওয়ামী লীগের অপরাধ। এ জন?্য এই সরকার হটাতে হবে? শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী জাতীয় লক্ষ্য বাস্তবায়ন করেছে আওয়ামী লীগ। দেশের উন্নয়ন তাদের ভালো লাগেনি বলেই কি তারা আমাদের বিরুদ্ধে নেমেছে। মানুষ এখন একটু সুযোগ-সুবিধা নিয়ে বাঁচতে পারছে, এটাই আমাদের অপরাধ। কৃষকের উন্নয়নে তাঁর সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ’৯৬-তে ক্ষমতায় এসে আমরা হাতে নিয়েছিলাম কীভাবে ফসল উৎপাদন বাড়ানো যায়। আমরা কারও কাছে ভিক্ষা করে চলব না। বাংলাদেশকে আমরা আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে গড়তে চেয়েছিলাম। তিনি বলেন, আমাদের উন্নয়নের প্রতিটি পদক্ষেপ হচ্ছে একবারে তৃণমূলের মানুষের জন্য। যার সুফল প্রতিটি মানুষ পাচ্ছে। বর্গাচাষিরা ব্যাংকে ঋণ পায় না। কারণ তারা জামানত দিতে পারেন না। আমি চেয়েছি ব্যাংক কৃষকের কাছে যাবে, কৃষক ব্যাংকের কাছে যাবে না। আজ বর্গাচাষিরা স্বল্প সুদে ঋণ পাচ্ছেন। বাংলাদেশ যাতে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয় সেজন্য সবজি-ফসল বাড়ানোর তাগিদে গবেষণায় জোর দিই, এর সুফল আমরা পাচ্ছি। শেখ হাসিনা বলেন, আমার প্রশ্ন, আওয়ামী লীগের অপরাধটা কী? আমরা যে ২০০৮ সালে সরকারে এসেছিলাম, সেই সময় যে নির্বাচনী ইশতেহার দিয়েছিলাম। সেখানে রূপকল্প ২০২১ ঘোষণা দিয়েছিলাম। নির্বাচনী ইশতেহারের লক্ষ্য অর্জন করেছি। ২০২০ সালে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করেছি। সেই সময় আমরা অর্জন করেছি বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উন্নীত হয়েছি। আমার প্রশ্ন- এটা কি তাদের ভালো লাগেনি। সেই জন্য তারা এই সরকারকে হটাতে চায়।

কৃষক লীগের সভাপতি সমীর চন্দের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক উম্মে কুলসুম স্মৃতি। আরও বক্তব্য রাখেন কৃষক লীগের সাবেক সভাপতি ড. এম এ জলিল ও মোতাহার হোসেন মোল্লা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মানু, হারুন অর রশিদ প্রমুখ। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ কৃষক লীগের ৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে একটি অডিও-ভিজ্যুয়াল তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। কৃষক লীগের একটি প্রকাশনাও উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর