শুক্রবার, ২২ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা

সড়কে চাঁদাবাজি, সরকারের অ্যাকশন চান ব্যবসায়ীরা

রুহুল আমিন রাসেল

সড়কে চাঁদাবাজি, সরকারের অ্যাকশন চান ব্যবসায়ীরা

সারা দেশে সড়ক-মহাসড়কে চাঁদাবাজি বন্ধে সরকারের অ্যাকশন চায় ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই। সংগঠনটি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে দেওয়া চিঠিতে বলেছে, চাঁদাবাজি বন্ধে সরকারের আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। পাশাপাশি ঈদে ঘরমুখো মানুষের ভোগান্তি কমাতে বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়কে চলমান সংস্কার ও নির্মাণকাজ ঈদের আগে ও পরে মোট ১৪ দিন বন্ধ রাখতে হবে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানকে দেওয়া চিঠিতে এসব কথা বলেছেন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন-এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন। গতকাল দেওয়া এই চিঠিতে সড়ক-মহাসড়কের বর্তমান অবস্থা, যানজট নিরসন এবং ঈদে ঘরমুখো মানুষের ভোগান্তি কমাতে চার দফা প্রস্তাব দিয়েছে এফবিসিসিআই।

প্রস্তাবগুলো হলো- এক. বিভিন্ন সড়ক ও মহাসড়কে সংস্কার ও নির্মাণকাজ চলায় যানবাহনের গতি ধীর হয়ে যায়, যা সড়কে দীর্ঘ যানজট তৈরি করে। ঈদে ঘরমুখো মানুষের ভোগান্তি কমাতে ২৭ এপ্রিল থেকে ১০ মে পর্যন্ত সব প্রকার সংস্কার ও নির্মাণকাজ বন্ধ রাখা দরকার। দুই. যেসব স্থানে বেশি যানজট হয়, সেসব স্থানে সার্বক্ষণিক হাইওয়ে পুলিশ মোতায়েনের ব্যবস্থা করতে হবে। তিন. সড়কে চাঁদাবাজি বন্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ প্রশাসনের কঠোর নজরদারি করতে হবে। দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। চার. রাজধানীর জয়কালী মন্দির ও ইত্তেফাক মোড়ে প্রতি রাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বেআইনিভাবে চাঁদা তোলেন মর্মে অভিযোগ রয়েছে। বিষয়টির সত্যতা যাচাই করে চাঁদাবাজি বন্ধে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহায়তা দরকার। জানা গেছে, সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকেও চাঁদাবাজি রোধের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পুলিশ সদর দফতরও অপরাধ, চাঁদাবাজি রোধে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছে। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া মহাসড়কে পণ্যবাহী গাড়ি না থামাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মাঠপর্যায়ের পুলিশকে। সারা দেশে পণ্য পরিবহনের ওপর নজরদারি করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও গোয়েন্দারা। অভিযোগ রয়েছে, পণ্যবাহী ট্রাকে চাঁদাবাজিতে পরিবহন মালিক, শ্রমিক সংগঠনের নেতারাও রয়েছেন। তাদের কাছ থেকে মাসোহারা নেন অসাধু পুলিশ সদস্যরাও। এ ছাড়া স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের হয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে চাঁদা আদায় করা হয়ে থাকে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চাঁদাবাজি রোধে পুলিশ সদর দফতরকে নির্দেশনা দিয়েছে। এরপর পুলিশ সদর দফতর সারা দেশের মাঠপর্যায়ের পুলিশকে নির্দেশনা দিয়েছে চাঁদাবাজি বন্ধের। পুলিশ সদর দফতর গণমাধ্যমকে জানিয়েছে- পবিত্র রমজান ও আসন্ন ঈদকে কেন্দ্র করে চাঁদাবাজি রোধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে পুলিশ। সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ বা তথ্য ছাড়া মহাসড়ক অথবা সড়কে চলাচলকারী পণ্যবাহী কোনো গাড়ি থামানো যাবে না।

সর্বশেষ খবর