শুক্রবার, ২২ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা

লক্ষ্মীপুরে পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

লক্ষ্মীপুরে পুলিশি হেফাজতে আবদুল কুদ্দুছ নামে পরোয়ানাভুক্ত এক আসামির মৃত্যু হয়েছে। বুধবার রাত পৌনে ১১টার দিকে মারা যান গ্রেফতার ওই আসামি। এর আগে সন্ধ্যা ৭টার দিকে পৌর শহরের বাঞ্চানগর এলাকার হাসেম মনজিলের সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করে সদর থানা পুলিশ। পুলিশ ও চিকিৎসকরা বলছেন- হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন তিনি।

নিহতের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। নিহত কুদ্দুছ সদর উপজেলার রাধাপুর গ্রামের আবদুল্লাহ চৌধুরীর ছেলে ও কসমিক ফার্মাসিউটিক্যালসের এরিয়া ম্যানেজার এবং মিনহাজ মেডিকেলের (ফার্মেসি) মালিক। তার বিরুদ্ধে ঢাকার ওয়ারী থানায় চেক ডিজঅনার (এন আই অ্যাক্ট) মামলায় পরোয়ানা রয়েছে।

জানা যায়, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সিআর ১৪/২০ মামলার (চেক ডিজঅনার) পরোয়ানাভুক্ত আসামি আবদুল কুদ্দুছকে সন্ধ্যায় লক্ষ্মীপুরের নিজ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান থেকে গ্রেফতার করে সদর থানা পুলিশ। পরে থানা হেফাজতে নেওয়ার পর তার বুকে ব্যথা অনুভব হয়। রাত ১০টার দিকে তাকে সদর হাসপাতালে নিলে পৌনে ১১টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ সময় সহকারী পুলিশ সুপার সার্কেল মিমতানুর রহমান     ও সদর থানার ওসি জসীম উদ্দিনসহ বিপুলসংখ্যক পুলিশ হাসপাতাল প্রাঙ্গণে অবস্থান নেয়। এ সময় পরিবার ও এলাকাবাসী গণমাধ্যমকে জানান, কুদ্দুছকে গ্রেফতারের পর তার বুকে ব্যথা অনুভব হয়। কিছুক্ষণ পর হাসপাতাল প্রাঙ্গণে অ্যাম্বুলেন্সে এসে মৃতদেহ দেখতে পান তারা। সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক আবুল কাশেম আজাদ জানান, রোগী বুকে ব্যথা অনুভবসহ বমি করছিলেন। সঙ্গে প্রচণ্ড ঘামছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তিনি মারা গেছেন। সহকারী পুলিশ সুপার মিমতানুর রহমান জানান, ওয়ারেন্টমূলে আসামিকে গ্রেফতার করার পর অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে ভর্তি করানোর পর তিনি মারা যান। ঘটনার তদন্ত চলছে, পুলিশি নির্যাতনে মারা গেছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর