বুধবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা
৩৩ হাজার পরিবারকে ঘর হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী

ঘর পাওয়া মানুষের হাসি ভালো লাগে

রফিকুল ইসলাম রনি ও হাসানুর রহমান ঝন্টু, বরগুনা থেকে

ঘর পাওয়া মানুষের হাসি ভালো লাগে

প্রধানমন্ত্রী গতকাল গৃহহীনদের ঘর হস্তান্তর করেন -পিআইডি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমার সব থেকে ভালো লাগে একটি মানুষ ঘর পাওয়ার পর তার মুখের হাসিটি। জাতির পিতা দুঃখী মানুষের মুখেই হাসি ফোটাতে চেয়েছিলেন। সব মানুষ যেন মানুষের মতো বাঁচতে পারে, সুন্দর জীবন পেতে পারে সেটাই আমাদের লক্ষ্য। গতকাল গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি ফরিদপুর জেলার নগরকান্দার পোড়াদিয়া আশ্রয়ণ প্রকল্প, বরগুনার খেজুরতলা আশ্রয়ণ প্রকল্প, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার খোকশাবাড়ি আশ্রয়ণ প্রকল্প এবং চট্টগ্রাম জেলার আনোয়ারার হাজীগাঁও আশ্রয়ণ প্রকল্প হস্তান্তর অনুষ্ঠানে যুক্ত ছিলেন। সে অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।  পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগে দুই শতাংশ জমি ও একটি সেমি পাকা ঘর পেয়েছে ৩২ হাজার ৯০৪টি ভূমিহীন ও ঘরহীন পরিবার। একে ‘ঈদ উপহার’ হিসেবে ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭৫ সালে জাতির পিতাকে হত্যার পর আর কেউ এদেশের দুঃখী মানুষের দিকে তাকায়নি। যারা সংবিধান লঙ্ঘন করে, সেনা আইন ভঙ্গ করে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করা শুরু করেছিল ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টে, ?তারা এদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে আসেনি। নিজেদের ভাগ্য গড়তে এসেছিল। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব এবং তাঁর সপরিবারে হত্যার বিচার বন্ধ করে দিয়েছিল তারা। ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ অর্থাৎ দায়মুক্তি দেওয়া হয় খুনিদের। এখানেই থেমে থাকেনি, খুনিদের বিভিন্ন দূতাবাসে তারা চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করে। সব খুনিকে রাজনীতি করতে সুযোগ দেওয়া হয়। তিনি বলেন, খুনি পাশা, হুদা এদের নিয়ে প্রথম রাজনৈতিক দল গঠন করেন ইত্তেফাকের একজন মালিক মইনুল হোসেন। এরপর জিয়াউর রহমান তাদের বিভিন্ন জায়গায় চাকরি দিয়ে পাঠায়। বহু দেশ তাদের দূতাবাসে গ্রহণ করেনি। কারণ তারা বঙ্গবন্ধুর খুনি ছিল। কিন্তু জিয়াউর রহমানের কাছে তারা অত্যন্ত আদরের ছিল। তাই তাদের নানাভাবে সুযোগ-সুবিধা, ব্যবসা-বাণিজ্য করার সুযোগ দিয়েছিলেন। সেনাবাহিনীতেও এর প্রতিবাদ হয়েছিল। সেনাবাহিনীতে ১৯টা ক্যু হয়েছিল ১৯৭৫ সালের পর। সেনাবাহিনীর বহু অফিসার, সৈনিককে জিয়াউর রহমান হত্যা করেন। আর আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক নেতা-কর্মীরা তো আছেই। এই খুনিদের পরবর্তীকালে জেনারেল এরশাদ ক্ষমতায় এসে রাজনীতি করার সুযোগ দেন। তারা একটা দল গঠন করে। খুনি ফারুককে রাষ্ট্রপতি প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে দাঁড়ানোর সুযোগ করে দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে আরও একধাপ ওপরে যায়। খুনি কর্নেল রশিদ এবং মেজর হুদাকে জনগণের ভোট চুরি করে জাতীয় সংসদের সদস্য করে নিয়ে আসেন। কর্নেল ফারুককেও আনার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু সেখানে যে জেলা প্রশাসক ছিলেন, তিনি তা করতে দেননি। যে কারণে ভোট চুরি করে দুজনকে সংসদে বসান খালেদা জিয়া। গণভবন প্রান্তে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া। অনুষ্ঠানে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের ওপর ভিডিও চিত্র ‘বদলে যাওয়ার গল্প’ প্রদর্শন করা হয়। পরে প্রধানমন্ত্রী ঈদ উপহার হিসেবে গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদান কাজের উদ্বোধন করেন। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে বিভিন্ন উপজেলা প্রান্তে উপস্থিত মন্ত্রী/সংসদ সদস্য/বিভাগীয় কমিশনার/জেলা প্রশাসক/উপজেলা চেয়ারম্যান/উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা উপকারভোগীদের মাঝে জমির কবুলিয়ত দলিল, নামজারি খতিয়ান ও গৃহের সনদ হস্তান্তর করেন। পরে প্রধানমন্ত্রী দেশের বিভিন্ন প্রন্তে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এ প্রকল্পের নামকরণ করা হয় ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে শেখ হাসিনা মডেল’। অনুষ্ঠানে কান্নাজড়িত কণ্ঠে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে বারবার মনে পড়ছে আমার বাবার কথা। তিনি শুধু ভাবতেন, কীভাবে দেশের মানুষ অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান পাবে। কীভাবে তাদের ভাগ্য পরিবর্তন হবে। জাতির পিতার পথ ধরে আমরা মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়েছি। এটা দেখে নিশ্চয়ই জাতির পিতার আত্মা শান্তি পাবে। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সবসময় বলতেন, ‘আমার দেশের প্রতিটি মানুষ খাদ্য পাবে, আশ্রয় পাবে, উন্নত জীবনের অধিকারী হবে, এই হচ্ছে আমার স্বপ্ন।’ জাতির পিতা স্বাধীনতার পর দেশের ভূমিহীন-গৃহহীন, ছিন্নমূল মানুষের পুনর্বাসন কার্যক্রম শুরু করেন। তিনি সংবিধানের ১৫(ক) অনুচ্ছেদে দেশের প্রতিটি নাগরিকের বাসস্থান পাওয়ার অধিকারের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করেন। শেখ হাসিনা বলেন, আমিও তাঁর পদাঙ্ক অনুসরণ করে কাজ করে যাচ্ছি। কুষ্ঠরোগী, তুতীয় লিঙ্গের মানুষ, পরিচ্ছন্নতাকর্মী, চা শ্রমিক, ছিন্নমূলসহ সমাজের প্রতিটি অবহেলিত ভূমিহীন ও গৃহহীনদের বাসস্থানের ব্যবস্থা করছি। এটা জাতির পিতার আদর্শের আওয়ামী লীগের প্রতিটি নেতা-কর্মীরও দায়িত্ব। তিনি বলেন, সারা দেশে ৮ লাখের ওপর মানুষ পেয়েছি, যারা ছিন্নমূল। আমরা প্রতিটি মানুষকে ঘরবাড়ি করে দেব। শুধু খাস জমি নয়, জমি কিনেও ঘর করে দিচ্ছি। জানি না পৃথিবীর কেউ এ উদ্যোগ নিয়েছে কি না। আমি জাতির পিতার আদর্শের কর্মী, শুধু তাঁর কন্যা নয়। আমরা বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের জন্য ঘরবাড়ি নিশ্চিত করব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। কিছু লোকের এসব উন্নয়ন সহ্য হচ্ছে না। তারা চায় দেশ গরিব থাকুক। এতে বিদেশ থেকে সাহায্য এনে নিজেদের বিত্তশালী করবে। তিনি বলেন, বিদেশি প্রভুদের খুশি করাই কিছু লোকের কাজ। কোনো ভালো কাজই তাদের পছন্দ হয় না। এরা মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে শুধু সমালোচনা করবে এবং বিদেশে দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করবে। আওয়ামী লীগ যেন তাদের শত্রু। আমি দেশ শাসন করব, প্রধানমন্ত্রী হব-এটা অনেকেই চায় না। তাই এত উন্নয়নেও তাদের গাত্রদাহ। এসব মোকাবিলা করেই পথ চলছি। দেশের উন্নয়ন করছি। যতদিন বেঁচে থাকব দেশের মঙ্গলে নিয়োজিত থাকব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি এবং ঘর প্রদান করতে পারা বড় আনন্দের। যখন এই মানুষগুলো এই ঘরে থাকবে, তখন জাতির পিতার আত্মা শান্তি পাবে।

 লাখো শহীদের আত্মা শান্তি পাবে। যারা আজ গৃহ ও জমি পাচ্ছেন তাদের স্বাবলম্বী হতে হবে। বাড়ির আশপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। প্রয়োজনীয় শাক-সবজি চাষ করতে হবে। তিনি বলেন, আমরা যখন ‘আশ্রয়ণ প্রকল্প’ শুরু করি, প্রথমে আমরা ব্যারাক হাউস নির্মাণের মাধ্যমে পুনর্বাসন কার্যক্রম পরিচালনা করি এবং পরে ভূমিহীন-গৃহহীনদের জন্য খাসজমি ও গৃহনির্মাণ কার্যক্রম চালু করি। আমি খাসজমি বণ্টন নীতিমালাও করে দিয়েছিলাম। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় এসে আশ্রয়ণ প্রকল্প বন্ধ করে দিয়েছিল। তিনি বলেন, আশ্রয়ণ প্রকল্প শুরু হওয়ার পর থেকে এপ্রিল ২০২২ পর্যন্ত মোট ৫ লাখ ৭ হাজার ২৪৪টি পরিবার পুনর্বাসন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়সহ পরবর্তীতে ভূমি মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের গৃহায়ণ তহবিলও ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারদের গৃহ নির্মাণ করে দিয়েছে। ফলে ১৯৯৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত মোট ৭ লাখ ৭ হাজার ৮৪০টি পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। পুনর্বাসিত মানুষের সংখ্যা ৩৫ লাখ ৪০ হাজার ১৫ জন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা ঘোষণা দিয়েছিলাম, মুজিববর্ষে এদেশে একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে সারা দেশের ভূমিহীন-গৃহহীনদের পরিবারের তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। সে তালিকা অনুযায়ী গৃহনির্মাণ ও পরিবার পুনর্বাসনের কার্যক্রম চলছে। তিনি বলেন, মুজিব শতবর্ষে ২ লাখ ৩৫ হাজার ৪২২টি ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারের তালিকা থেকে আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৮৩ হাজার ৩টি পরিবারকে জমিসহ সেমিপাকা একক গৃহ বরাদ্দ দিয়েছি। বাকি ৫২ হাজার ৪১৯টি ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে অচিরেই গৃহ নির্মাণ করে দিব। তিনি বলেন, আমরা শুধু গৃহ নির্মাণই করে দিচ্ছি না। তাদের বিনামূল্যে পানি ও বিদ্যুৎ সুবিধা দিচ্ছি। প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দিচ্ছি এবং ঋণও প্রদান করছি যাতে তারা স্বাবলম্বী হয়। তিনি বলেন, অবৈধ সেনাশাসকরা এই দেশের গরিব-দুখী মানুষের অধিকার কেড়ে নিয়ে সুবিধাভোগী এক এলিট শ্রেণি তৈরি করেছিল। আমাকে ছয় বছর ভারতে উদ্বাস্তুর মতো থাকতে হয়েছে। আপন ভূমি-ঘর হারানোর বেদনা আমি বুঝি।

পরে প্রধানমন্ত্রী দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। প্রথমে প্রধানমন্ত্রী ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার কাইচাইল ইউনিয়নের পোড়াদিয়া বালিয়া আশ্রয়ণ প্রকল্পে যুক্ত হন। সেখানে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে উপকারভোগী স্বামী পরিত্যক্তা সামিরন আক্তার বলেন, প্রধানমন্ত্রী আপনি আমার কাছে পরশ পাথরের মতো। আপনার ছোঁয়ায় আমার জীবন বদলে গেছে। আরেক উপকারভোগী রুশা রানী বলেন, কোনোদিন ভাবতে পারিনি নিজের ঘর হবে। আমার স্বামী নৌকা চালায় এবং মাছ ধরে। প্রধানমন্ত্রী আপনার দাওয়াত রইল। আমি আমার স্বামীর ধরা মাছ আপনাকে রান্না করে খাওয়াতে চাই। এ সময় হাসতে হাসতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অবশ্যই খাব।

বরগুনা সদর উপজেলার গৌরিচন্না ইউনিয়নের খাজুরতলা আশ্রয়ণ প্রকল্প হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তৃতীয় লিঙ্গের শিমু হিজরা বলেন, ১০-১২ বছর বয়সে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হতে হয়। ২০-২২ বছর এর ওর কাছ থেকে হাত পেতে খেয়ে বেঁচেছি। আবার বাবা-মা আমার জন্য যা করেনি, প্রধানমন্ত্রী তা করেছেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, কার কীভাবে জন্ম হবে এটা কেউ বলতে পারে না। সবাই আল্লাহর সৃষ্টি। আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে ভবিষ্যতে আর কাউকে যেন পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হতে না হয়। এখানকার আরেক উপকারভোগী ভিক্ষুক নাসিমা বেগম বলেন, আপনি আমাকে ঘর দিয়েছেন। এখন আর মানুষের কাছে হাত পাততে হয় না।

সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার খোকশাবাড়ী ইউনিয়নের খোকশাবাড়ী আশ্রয়ণ প্রকল্প হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রকল্পের উপকারভোগী ইসমাইল শেখ বলেন, আমার বাবার কোনো জায়গাজমি ছিল না। রাস্তার পাশে ঝুপরি ঘরে থাকতাম। খেতে বসলে পাতে ধুলাবালি আসত। আমি ১১ মাস আগে আপনার দেওয়া ঘর পেয়েছি। আগে রুটির দোকানে চাকরি করতাম। ঘর পাওয়ার পরে আরও দুজনকে সঙ্গে নিয়ে নিজেই রুটি তৈরির কাজ শুরু করেছি। এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, শুনে খুব খুশি হলাম, আপনি নিজের পাশাপাশি আরও দুজন মানুষের কাজের ব্যবস্থা করেছেন।

এখানে ঘর পাওয়া আরেক উপকারভোগীর কন্যা কলেজছাত্রী আজিজা সুলতানা স্মৃতি প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার বাবা নেই। আগে খুব কষ্ট করতে হতো। এখন নিজেদের বাড়ি হয়েছে। আমার জীবনে এমন খুশির ঈদ আর আগে আসেনি। এখানে খেলার মাঠ আছে, আমি এখানকার বাচ্চাদের লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলায় উৎসাহিত করতে চাই। জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তোমার কথা শুনে খুশি হলাম। তুমি বাচ্চাদের লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলায়ও সম্পৃক্ত রাখতে চাও। তোমরাই আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম। তোমাদের জন্য আমার অনেক দোয়া।

সবশেষে প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামের আনোয়ারার বারখাইন ইউনিয়নের হাজিগাঁও আশ্রয়ণ প্রকল্পের অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এখানে ঘর পাওয়া রহিমা খাতুন প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে বলেন, আপনার দেওয়া এই ঘর আমার কাছে ফাইভ স্টার হোটেল। নিজের হাতে সেলাই করা কাঁথা প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন তিনি। জেলে ইয়ার মোহাম্মদ বলেন, আমার কিছু ছিল না। বাবা-মা আমাকে আশ্রয়ও দিতে পারেনি। আপনি আমাকে সব দিয়েছেন। ২০ লাখ টাকার মালিক বানিয়ে দিয়েছেন। এখন আমি খুব ভালো আছি। জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা ভালো থাকুন। আমি আপনাদের ঈদের শুভেচ্ছা জানাই।

সর্বশেষ খবর