বুধবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা

সীমান্ত হাটে বাণিজ্য বাড়বে

কলকাতা প্রতিনিধি

সীমান্ত হাটে বাণিজ্য বাড়বে

ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও যোগাযোগ বৃদ্ধিতে দেশটির মিজোরাম-বাংলাদেশ সীমান্তেও এবার সীমান্ত হাট চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। চার দিনের মিজোরাম সফর শেষে সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। এই সফরে ২৩ এপ্রিল রাজ্যটির মামিত জেলার সিলসুরি এবং বাংলাদেশের রাঙামাটি পার্বত্য জেলার সাজেক সীমান্ত এলাকায় প্রস্তাবিত সীমান্ত হাটের স্থান পরিদর্শন করেন টিপু। তার সঙ্গে ছিলেন মিজোরামের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী ড. আর. লালথাংলিয়ানাসহ রাজ্য সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। এ ছাড়াও দক্ষিণ মিজোরামের লুংলেই জেলার কাওরপ্ইুছুয়া এবং বাংলাদেশের তেগামুখ সীমান্তে ‘সুসংহত চেক পোস্ট’ (আইসিপি)-এর অবকাঠামোর কাজ খতিয়ে দেখেন টিপু মুনশি।

সোমবার মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী জোরামথাঙ্গার সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন বাণিজ্যমন্ত্রী। মিজোরামের সরকারি বাংলোতে ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মিজোরামের বাণিজ্যমন্ত্রীসহ অন্য সরকারি কর্মকর্তারা। ছিলেন টিপু মুনশির সঙ্গে যাওয়া কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তা। বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বৃদ্ধিতে বাংলাদেশ ও মিজোরাম সরকারের তরফে ‘সুসংহত চেক পোস্ট’ (আইসিপি), সড়ক যোগাযোগ বাড়ানোর ওপর জোর দেওয়া হয় দুই সরকারের পক্ষে। ওই বৈঠক শেষে সোমবার দুই পক্ষের তরফে একটি যৌথ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।

টিপু মুনশি বলেন, ‘শেখ হাসিনার সরকার ভারতের সঙ্গে বিশেষ করে উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোর সঙ্গে উন্নততর সম্পর্ক বৃদ্ধিতে কাজ করে চলেছে।’

তিনি জানান, ‘মিজোরামের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যে উল্লেখযোগ্য সম্ভাবনা রয়েছে। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, উত্তর-পূর্ব ভারতের এই রাজ্যটিতে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, নির্মাণ সামগ্রী, প্লাস্টিক, খাদ্যদ্রব্যের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশও পাথর, সবজি, হলুদ, আদা, গোলমরিচ ও বাঁশজাত পণ্য মিজোরাম থেকে আমদানি করতে পারে। যদিও স্থানীয় মানুষদের চাহিদা অনুযায়ী বাণিজ্যিক পণ্য বিবেচনা করা হবে। সে ক্ষেত্রে সীমান্ত হাট চালু হলে উভয় দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও বাণিজ্য জোরদার হতে পারে।’

মিজোরামের বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, ‘চট্টগ্রাম বন্দর ও জলপথ ব্যবহার করে দুই দেশের মধ্যেই বাণিজ্য বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। তাছাড়া সীমান্ত হাট নির্মাণের ফলেও উভয় দেশই লাভবান হবে। প্রস্তাবিত সীমান্ত বাণিজ্য আনুষ্ঠানিকতা শুরুর জন্য রাজ্য সরকার সব ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে। বাংলাদেশের সঙ্গে দক্ষিণ মিজোরামের লুংলেই জেলার কাওরপুইছুয়াকে সংযুক্ত করার জন্য খাওথলাংটুইপুই নদীর ওপর প্রস্তাবিত ৬৬০ মিটার কংক্রিট সেতুর কাজ ত্বরান্বিত করার জন্য প্রচেষ্টা চলছে। এদিকে দীর্ঘ দুই বছর পর ভারতের মেঘালয়-বাংলাদেশ সীমান্তে একটি সীমান্ত হাট পুনরায় চালু করা হয়।

সর্বশেষ খবর