বাংলাদেশে চলতি ২০২২ সালে ৬ দশমিক ৪ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। সংস্থাটির পূর্বাভাস অনুযায়ী দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের পর এটিই হবে সর্বোচ্চ জিডিপি প্রবৃদ্ধি।
মঙ্গলবার সংস্থাটির ‘ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বাংলাদেশের জিডিপি সম্পর্কে এই পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। আইএমএফ প্রবৃদ্ধির যে পূর্বাভাস দিয়েছে এটি পঞ্জিকা বছর (জানুয়ারি-ডিসেম্বর) ধরে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) অবশ্য অর্থবছর (জুলাই-জুন) ধরে প্রবৃদ্ধির হিসাব করে থাকে। আইএমএফ বলছে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী করোনাপরবর্তী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের গতি কমে গেছে। ফলে চলতি বছরে বিশ্বের গড় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৩ দশমিক ৭ শতাংশ। তবে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর গড় প্রবৃদ্ধি তার চেয়ে বেশি হবে। আইএমএফ’র মতে চলতি বছর এই অঞ্চলে সর্বোচ্চ ৮ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে ভারতের। এ ছাড়া ভুটানে ৪ দশমিক ৪, নেপালে ৪ দশমিক ১, পাকিস্তানে ৪ ও শ্রীলঙ্কায় ২ দশমিক ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হতে পারে। এ ছাড়া ২০২৩ সালে বাংলাদেশের জিডিপিতে ৬ দশমিক ৭ শতাংশ এবং ২০২৭ সালে প্রবৃদ্ধি বেড়ে ৬ দশমিক ৯ শতাংশ উঠতে পারে বলে মনে করছে সংস্থাটি। দেশের মূল্যস্ফীতি নিয়েও পূর্বাভাস দিয়েছে আইএমএফ। সংস্থাটির মতে বাংলাদেশে বছরজুড়েই উচ্চ মূল্যস্ফীতি অব্যাহত থাকবে। পুরো বছরের গড় মূল্যস্ফীতি হতে পারে ৬ দশমিক ৪ শতাংশ। তবে আগামী ২০২৩ সালে তা কিছুটা কমে ৫ দশমিক ৯ শতাংশে নামতে পারে।
