রবিবার, ১ মে, ২০২২ ০০:০০ টা

শেষ শ্রদ্ধা মুহিতকে আজ সিলেটে দাফন

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা ও সিলেট

শেষ শ্রদ্ধা মুহিতকে আজ সিলেটে দাফন

সর্বস্তরের মানুষের শেষ শ্রদ্ধায় আজ সিলেটে চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন ভাষাসৈনিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাবেক অর্থমন্ত্রী, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ আবুল মাল আবদুল মুহিত। অর্থনীতিবিদ, কূটনীতিক, লেখক, দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশিবার বাজেট পেশকারী, দীর্ঘ সময় দায়িত্বে থাকা নন্দিত অর্থমন্ত্রী মুহিত শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টা ৫৬ মিনিটে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর। তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে, এক মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। বহুমাত্রিক প্রভিতার এই ব্যক্তিত্বের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতারা। তাঁর মৃত্যুতে সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ দুই দিনের শোক কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এর অংশ হিসেবে গতকাল ও আজ রবিবার তারা কালো ব্যাজ ধারণ করছেন। গত রাতে আবদুল মুহিতের লাশ সড়কপথে সিলেটে নেওয়া হয়।

আজ সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত নগরের চৌহাট্টার সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে তাঁর লাশ রাখা হবে। এরপর বেলা ২টায় আলিয়া মাদরাসা মাঠে জানাজা শেষে নগরের রায়নগরের পারিবারিক কবরস্থানে বাবা-মায়ের কবরের পাশে তাঁর দাফন সম্পন্ন হবে। গতকাল রাত ১০টায় তার মরদেহ সিলেটে পৌঁছায়। পরে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় নগরীর হাফিজ কমপ্লেক্সে।

গতকাল ঢাকায় গুলশান আজাদ মসজিদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে দুই দফা নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয় সিলেট-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবুল মাল আবদুল মুহিতের। দুপুর সাড়ে ১২টায় জাতির শ্রদ্ধা জানাতে লাশ রাখা হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। সেখানে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে সামরিক সচিবরা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ ছাড়া শ্রদ্ধা জানান সর্বস্তরের মানুষ।

আবুল মাল আবদুল মুহিত ১৯৩৪ সালের ২৫ জানুয়ারি সিলেট শহরের ধোপাদীঘিরপাড়ে জন্মগ্রহণ করেন। তৎকালীন সিলেট জেলা মুসলিম লীগের কর্ণধার আবু আহমদ আবদুল হাফিজ ও সৈয়দা শাহার বানু চৌধুরীর ১৪ সন্তানের মধ্যে তৃতীয় সন্তান মুহিত। যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে উচ্চতর ডিগ্রি নেন আবদুল মুহিত। ১৯৫৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক (সম্মান) পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করেন তিনি। পরের বছর একই বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। আবুল মাল আবদুল মুহিত ভাষা আন্দোলনে অংশ নেন। ছাত্রজীবনে তিনি সলিমুল্লাহ হল ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হন। ১৯৫৬ সালে যোগ দেন পাকিস্তান সিভিল সার্ভিসে (সিএসপি)। সিএসপিতে যোগ দিয়ে তিনি ওয়াশিংটন দূতাবাসে পাকিস্তানের কূটনীতিকের দায়িত্ব নেন এবং মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালের জুনে পাকিস্তানের পক্ষ ত্যাগ করে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন করেন। যুক্তরাষ্ট্রে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। এ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ সরকার তাঁকে ২০১৬ সালে স্বাধীনতা পদকে ভূষিত করে। দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি বাজেট ঘোষণা করা সাবেক এই অর্থমন্ত্রী দেশ ও মানুষের প্রতি দায়বদ্ধ ছিলেন। বাংলাদেশের উন্মেষ ও রূপান্তরের পুরোধা ব্যক্তিত্ব মুহিত সরকারি কর্মকর্তার সর্বোচ্চ পদ সচিব, মন্ত্রী, অর্থনীতিবিদ, কূটনীতিক, লেখক, গবেষক, পরিবেশবিদ ইত্যাদি নানা পরিচয়ে দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে রেখেছেন গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা।

বেলা ১১টায় সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের প্রথম জানাজা রাজধানীর গুলশানে আজাদ মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজনীতিদ, এমপি-মন্ত্রী, ব্যবসায়ী, বহু মানুষের অংশগ্রহণে এ জানাজা হয়। তবে সংসদ প্লাজায় তাঁর দ্বিতীয় জানাজা অনিবার্য কারণে বাতিল করা হয়েছে। জানাজা শেষে মসজিদের দক্ষিণ ফটকে আবুল মাল আবদুল মুহিতের লাশ দেখতে তাঁর বন্ধু, শুভাকাক্সক্ষীরা ভিড় করেন। বেলা সোয়া ১১টায় সবার দেখা শেষে লাশ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য নিয়ে যান পরিবারের সদস্যরা।

জানাজা নামাজে আবুল মাল আবদুল মুহিতের ছেলে সাহেদ মুহিত, ছোট ভাই ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন এবং ডা. এ কে আবদুল মুবিন জানাজায় অংশ নেন। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, পরিকল্পনামন্ত্রী আবদুল মান্নান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদসহ দলীয় নেতা-কর্মী ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা জানাজায় অংশ নেন।

জানাজার আগে গুলশান কেন্দ্রীয় মসজিদে সাংবাদিকদের সঙ্গে স্মৃতিচারণা করেন এ কে আবদুল মোমেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের মৃত্যুতে একজন ট্যালেন্ট অভিভাবককে হারিয়েছি। মুহিত ভাইয়ের মতো ট্যালেন্টেড লোক আমাদের পরিবারের আর নেই। তিনি খুবই মহৎ ছিলেন। আমরা একজন অভিভাবক হারালাম।’ তিনি বলেন, ‘মুহিত ভাইয়ের সঙ্গে ভাই হিসেবে, বন্ধু হিসেবে আমাদের মধ্যে গভীর সম্পর্ক ছিল। তাঁর মৃত্যু খুবই দুঃখজনক। তাঁকে সিলেটের রায়নগরে সাহেববাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে। ওখানে আমাদের বাবা-মা, দাদা-দাদিসহ সবার কবর রয়েছে।’

দুপুর সাড়ে ১২টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নিয়ে আসা হয় আবদুল মুহিতের লাশ। নির্ধারিত সময়ের আগেই বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ শহীদ মিনারে জমায়েত হন। শেষবিদায় জানাতে ফুল হাতে নিয়ে আসেন রাজনীতিবিদ, সহকর্মীরা।

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রথমে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের পক্ষে তাঁর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহউদ্দিন ইসলাম এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে তাঁর সামরিক সচিব ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কবীর আহাম্মদ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ ছাড়া শ্রদ্ধা জানান জাতীয় সংসদের স্পিকারের পক্ষে সার্জেন্ট অ্যাট আর্মস কমডোর এম এম নাঈম রহমান। এরপর বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে এবং ব্যক্তিগতভাবে অনেকেই শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ শ্রদ্ধা জানায়।

এ সময় দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, কোষাধ্যক্ষ এইচ এন আশিকুর রহমান চৌধুরী, উপদফতর সম্পাদক সায়েম খান, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, অ্যাডভোকেট রিয়াজুল কবির কাওছার, সাহাবুদ্দিন ফারাজি, আনিসুর রহমান, সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামীম, আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, নাসির উদ্দিন, ব্যারিস্টার জাকির আহাম্মদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এরপর তথ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের পক্ষে মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ ছাড়া শ্রদ্ধা জানান ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আসাদুজ্জামান নূর, সিনিয়র সাংবাদিক মনজুরুল আহসান বুলবুল, ওয়ার্কার্স পার্টির পক্ষে সভাপতি রাশেদ খান মেননের নেতৃত্বে আনিসুর রহমান মল্লিকসহ অনেকেই। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুর নেতৃত্বে নুরুল আকতার, সফি মোল্লা, রোকনুজ্জামান, সাজ্জাদ হোসেন প্রমুখ।

যুবলীগের পক্ষে শ্রদ্ধা জানান সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল, প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলে নাঈম, উপদফতর সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন শাহাজাদা, সদস্য কামাল উদ্দিন, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহসভাপতি মোরসালিন আহমেদ, সোহরাব হোসেন স্বপন প্রমুখ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন, কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট, হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পক্ষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, মহানগরী সর্বজনীন পূজা উদ্যাপন কমিটি, বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ, জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন, পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ, পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম, ডা. সামন্ত লাল সেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষে সচিব, বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়।

স্বেচ্ছাসেবক লীগ সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবুর নেতৃত্বে ম. রাজ্জাকসহ কেন্দ্রীয় নেতারা শ্রদ্ধা জানান। কৃষক লীগ নেতা নজরুল ইসলাম ও শামীমা শাহরিয়ার এমপির নেতৃত্বে কৃষক লীগ শ্রদ্ধা জানায়। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ভিসি ড. মশিউর রহমান শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের ব্যানারে শ্রদ্ধা নিবেদন অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সংগঠনের সভাপতি গোলাম কুদ্দুস ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আহকাম উল্লাহ। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

শোক জানিয়েছেন যাঁরা : জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, বিরোধীদলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ, সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, চিফ হুইপ নূর-ই আলম চৌধুরী লিটন, জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের, বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট এবং সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক মেজর (অব.) আবদুল মান্নান।

মন্ত্রিপরিষদ সদস্যদের মধ্যে শোক জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক; আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, রেলমন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক মন্ত্রী ইমরান আহমদ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ; পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী; স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সামলান এফ রহমান।

প্রতিমন্ত্রীদের মধ্যে শোক জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক; স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা, পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক ও উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম, সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান; বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব। এ ছাড়া শোক জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, কাজী জাফরউল্লাহ, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, লে. কর্নেল (অব.) মুহম্মদ ফারুক খান, আবদুর রহমান, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী প্রমুখ। এ ছাড়া শোক জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম ও সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী।

বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের মধ্যে প্রবীণ রাজনীতিবিদ ন্যাপ সভাপতি পঙ্কজ ভট্টাচার্য, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, জাতীয় পার্টির (জেপি) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, সাধারণ সম্পাদক শেখ শহিদুল ইসলাম, জাতীয় পার্টি (জাপা) মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা, বাংলাদেশ জাসদের সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া শোক জানিয়েছেন। শোক জানিয়েছেন যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল, ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য।

 

শ্রদ্ধাঞ্জলি

সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের প্রতি ফুল দিয়ে শেষ শ্রদ্ধা :

১. কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ


২. প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে তাঁর সামরিক সচিব ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কবির আহমেদ


৩. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে দ্বিতীয় জানাজা ও


৪. মরহুমের ছোট ভাই ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন    -বাংলাদেশ প্রতিদিন

সর্বশেষ খবর