শিরোনাম
রবিবার, ৮ মে, ২০২২ ০০:০০ টা
আর্টিকেল নাইনটিনের প্রতিবেদন

গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সাংবাদিকের নিরাপত্তায় উচ্চঝুঁকি বাংলাদেশে

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা উচ্চঝুঁকিতে রয়েছে। এ বিষয়ে ডিজিটাল প্ল্যাটফরমে স্বাধীনতার সংকোচন বিষয়ে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসের (ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ডে) বৈশ্বিক অনুষ্ঠানে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। এ বছর ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ডের গ্লোবাল কনফারেন্স ২ থেকে ৪ মে পর্যন্ত লাতিন আমেরিকার দেশ উরুগুয়েতে অনুষ্ঠিত হয়। এতে ৮৬টি দেশের প্রায় ১ হাজার অংশগ্রহণকারী বিশ্বজুড়ে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য একত্রিত হন। তিন দিনের এ আয়োজনে অনলাইন এবং অফলাইনে ৬০টিরও বেশি সেশনে যোগ দিতে ৩ হাজার ৪০০ জন নিবন্ধন করেন। গতকাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় আর্টিকেল নাইনটিন। সংস্থাটি জানায়, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সমুন্নত রাখতে বিশ্বজুড়ে কাজ করা পার্টনার এবং স্টেকহোল্ডারদের জন্য এই সম্মেলন একটি কার্যকরী প্ল্যাটফরম। ডিজিটাল যুগের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জগুলোর সমাধান চিহ্নিত করা এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও গোপনীয়তার ওপর নজরদারি বৃদ্ধির ফলে সৃষ্ট হুমকি মোকাবিলার জন্য সুনির্দিষ্ট সমাধান তৈরি করা এ সম্মেলনের অন্যতম উদ্দেশ্য। অনুষ্ঠানে বেশ কয়েকজন বক্তা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, বাংলাদেশে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা উচ্চঝুঁকিতে রয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে সম্মেলনে আর্টিকেল নাইনটিন ‘ইকুয়ালি সেইফ : টুওয়ার্ডস অ্যা ফ্যামিনিস্ট অ্যাপ্রোচ টু দ্যা সেইফটি অব জার্নালিস্ট’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানের আলোচনায় আর্টিকেল নাইনটিনের আমন্ত্রণে দক্ষিণ এশিয়া থেকে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সারা হোসেন বলেন, নারী কর্মীর নিরাপত্তায় দক্ষিণ এশিয়ার গণমাধ্যমগুলোতে গাইডলাইন না থাকা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। মিডিয়া হাউসে যখন কার্যকর ‘যৌন হয়রানি প্রতিরোধ নীতি’ থাকে না, তখন দায়মুক্তির সংস্কৃতি বেড়ে যায়। এ জন্য সাংবাদিকদের আইনি সহায়তা প্রয়োজন, তবে কেবল ঐচ্ছিক সহায়তার (প্রো বোনো) ওপর সাংবাদিকরা নির্ভর করতে পারেন না। গণমাধ্যমগুলোতে সাংবাদিকদের জন্য আইনি সহায়তা- এটি বাধ্যতামূলক সুবিধা হিসেবে প্রদান করতে হবে। আর্টিকেল নাইনটিন দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক ফারুখ ফয়সল বলেন, এ বছর ইউনেস্কোর বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসের প্রতিপাদ্য ছিল ‘ডিজিটাল অবরোধে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা’। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের পরিস্থিতি বর্তমানে সবচেয়ে খারাপ উদাহরণগুলোর একটি। আর্টিকেল নাইনটিন গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সূচকে বাংলাদেশের অবনমনের বিষয়ে উদ্বিগ্ন। এ সূচকে বাংলাদেশ ১০ ধাপ পিছিয়েছে, যা দেশের জন্য বিব্রতকর।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর