মঙ্গলবার, ১০ মে, ২০২২ ০০:০০ টা
স্ত্রী ও দুই মেয়েকে হত্যায় স্বীকারোক্তি রুবেলের

বাড়িটি এখন নীরব নিস্তব্ধ

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি

মানিকগঞ্জের ঘিওরে দুই মেয়ে ও স্ত্রীকে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন ঘাতক আসাদুজ্জামান রুবেল। রুবেলের শ্বশুর সাহেজউদ্দিন মেয়ে ও দুই নাতনি হত্যাকারীর সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেছেন। গতকাল সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, হত্যার শিকার লাভলী স্বামী-সন্তান নিয়ে যে ঘরে থাকতেন, এর দরজায় তালা মারা। বাড়িটি নীরব নিস্তব্ধ। তবে বিভিন্ন এলাকার লোকজন এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের কারণ জানতে খোঁজ নিচ্ছেন। মামলার বাদী লাভলীর বাবা সাহেজউদ্দিন বলেন, ‘আমি তো আমার নিষ্পাপ মেয়ে ও নাতনিদের পাব না। আমি ঘাতক রুবেলের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই। মেয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে আমি বিভিন্ন সময় প্রায় ১০ লাখ টাকা দিয়েছি। এর পরও রুবেলের অনেক টাকা ঋণ। এতেও মোটামুটি চলছিল। কিন্তু হঠাৎ রুবেলের রোগীর সমস্যা হওয়ায় স্থানীয়রা জরিমানা করেন। ঋণ ও জরিমানার টাকার জন্যই মূলত এ ঘটনাটি ঘটেছে।’ দাঁতের চিকিৎসা নিতে আসা এক কলেজশিক্ষার্থী বলেন, ‘ঈদের কয়েক দিন আগে আমার একটি দাঁতের চিকিৎসা করতে গিয়ে রুবেল পাঁচটি দাঁত তুলে ফেলেন। এতে লোকজন জড়ো হলে ভুল স্বীকার করে তিনি নিজ থেকেই ১ লাখ ২০ হাজার টাকা দিতে চেয়েছিলেন। এরপর এ বিষয়ে তার সঙ্গে আর কোনো কথা হয়নি।’ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রুবেলের চেম্বারের আশপাশের ব্যবসায়ীরা জানান, রুবেল দাঁতের প্রকৃত ডাক্তার নন, যে কারণে রোগীর এ অবস্থা হয়েছে। ঘিওর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বিপ্লব বলেন, ‘আসামি রুবেল আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। যেহেতু একজনই আসামি আজকের মধ্যেই চার্জশিট দাখিল করা হবে।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর