মঙ্গলবার, ১০ মে, ২০২২ ০০:০০ টা
সাংবাদিককে কুপিয়ে জখম

মূল অভিযুক্তরা ধরা পড়েনি

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর

যশোরে সন্ত্রাসী হামলায় গুরুতর আহত সাংবাদিক শিকদার খালিদ আশঙ্কামুক্ত। তবে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তার মাথা ও মাজার আঘাত গুরুতর। উভয় স্থানে অস্ত্রপচার করতে হবে। পুরোপুরি সেরে উঠতে দীর্ঘ সময় লেগে যেতে পারে। এদিকে সাংবাদিক খালিদের ওপর হামলায় মূল অভিযুক্ত সন্ত্রাসী হাঁস লিটন, তার স্ত্রী জাহানারা ও হাঁস লিটনের সহযোগী তৌহিদকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। যশোর  কোতোয়ালি থানার ওসি তাজুল ইসলাম বলেন, ঘটনার পর থেকেই মূল অভিযুক্তরা পালিয়ে আছে। তাদের ধরতে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে। তবে ঘটনার পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাঁস লিটনের ছেলে, মেয়ে, জামাই ও ভাইকে থানায় নেওয়া হয়। এদের মধ্যে ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা না পাওয়ায় হাঁস লিটনের ছেলে, মেয়ে ও জামাইকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে হাঁস লিটনের ভাই মফিজকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়। শুক্রবার রাতে যশোর শহরতলির বিরামপুরে সন্ত্রাসী লিটন ওরফে হাঁস লিটন কৌশলে দৈনিক লোকসমাজ পত্রিকার বার্তা সম্পাদক ও দৈনিক দেশ রূপান্তরের জেলা প্রতিনিধি শিকদার খালিদকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন। এ সময় তার কাছ থেকে নগদ টাকা, মোবাইল ফোন ও গলায় থাকা স্বর্ণের চেইনও ছিনিয়ে নেন তারা। পরে স্থানীয়রা খালিদকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় হাঁস লিটন, তার স্ত্রী জাহানারা ও সহযোগী তৌহিদকে আসামি করে যশোর কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা হয়েছে।

কক্সবাজারে তিন সাংবাদিকের ওপর হামলায় মামলা : কক্সবাজার প্রতিনিধি জানান, কক্সবাজারে অবৈধ উপায়ে হাঙরের তেল, চামড়া ও কান পাচারচক্র নিয়ে অনুসন্ধান করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন স্থানীয় তিন সংবাদকর্মী। এ ঘটনায় কক্সবাজার সদর মডেল থানায় তিনজনের নাম উল্লেখ করে ও আরও তিন-চারজনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করা হয়েছে। রবিবার সকালে শহরের নুনিয়াছড়ায় হাঙরের তেল তৈরির কারখানার ভিডিও ধারণ ও সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে কক্সবাজারের স্থানীয় অনলাইন গণমাধ্যম দি টেরিটোরিয়্যাল নিউজের (টিটিএন) প্রধান প্রতিবেদক আজিম নিহাদ, প্রতিবেদক রাহুল মহাজন ও ক্যামেরাপারসন লোকমান হাকিমের ওপর তেড়ে এসে হামলা চালান পাচারচক্রের মূলহোতা স্থানীয় মোহাম্মদ আলমগীরের ছোটভাই মোস্তক আহমেদ। এদিকে দায়ের হওয়া মামলা প্রসঙ্গে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় কর্মরত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেন, এজাহার পাওয়া মাত্রই আমরা মামলা নথিভুক্ত করেছি। আসামিদের আইনের আওতায় আনতে অভিযান চালানো হচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর