শিরোনাম
মঙ্গলবার, ১০ মে, ২০২২ ০০:০০ টা

ভারত পাকিস্তান নেপালের চেয়ে তেলের দাম কম : বাণিজ্যমন্ত্রী

জুন থেকে আবারও ১ কোটি পরিবার পাবে টিসিবির পণ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, আগামী জুন মাস থেকে আবারও ১ কোটি দরিদ্র পরিবারকে টিসিবির পণ্য দেওয়া হবে। যতদিন প্রয়োজন হবে এবং দেশে এ রকম দাম থাকবে, এই ১ কোটি পরিবারের ৫ কোটি মানুষকে এভাবে সাহায্য করা হবে। তিনি আরও বলেন, আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলোতেও ভোজ্য তেলের মূল্য আমাদের দেশের তুলনায় বেশি বেড়েছে। বাংলাদেশে এখনো ভোজ্য তেলের দর প্রতিবেশী দেশের তুলনায় কম। গতকাল সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ভোজ্য তেলের বাজার ব্যবস্থাপনা নিয়ে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। প্রেস ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান (সচিব) মো. আফজাল হোসেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (আইআইটি) মালেকা খায়রুন্নেছা, টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রি. জে. মো. আরিফুল হাসান, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান প্রমুখ। টিপু মুনশি বলেন, আমরা কিন্তু দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারী মানুষের সাশ্রয়ের কথা চিন্তা করছি। আমরা ১ কোটি পরিবারকে এখন যেভাবে সহায়তা দিচ্ছি, সেভাবে দিয়ে যাব। দেশের ২০ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করে। ১৭ কোটি মানুষের মধ্যে ৩ কোটি ২০ লাখ দারিদ্র্যসীমার নিচে। সেখানে আমরা ১ কোটি পরিবারকে সাশ্রয়ী মূল্যে খাদ্যপণ্য দেব। ১ কোটি পরিবার মানে ৫ কোটি লোক। তিনি বলেন, আমি ৫০ লাখ পরিবারের কথা বলেছিলাম। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যত কষ্ট  হোক ১ কোটি মানুষকে দুবার দেওয়া হয়েছে। রোজার পর আবার দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে বলেছেন, এটা বন্ধ করা যাবে না। যতদিন প্রয়োজন হবে এবং দেশে এরকম দাম থাকবে এই ১ কোটি পরিবারের ৫ কোটি মানুষকে তোমাদের এভাবে সাহায্য করতে হবে। তিনি আরও বলেন, আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলোতেও ভোজ্য তেলের মূল্য আমাদেও দেশের তুলনায় বেশি বেড়েছে। বাংলাদেশে এখন প্রতি লিটার বোতলজাত তেলের মূল্য ১৯৮ টাকা, ভারতে বাংলাদেশি মুদ্রায় ২২৪.৬৫ টাকা, পাকিস্তানে ২৩৮.৬৯ টাকা এবং নেপালে ২১৪.৭৫ টাকা।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, তেলের দর আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়ায় আমরা কমাতে পারব না। দেশের বাজারে দাম কম রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করব, সেটার গ্যারান্টি দিতে পারব। ভোজ্য তেল একটি আমদানি-নির্ভর পণ্য। দেশের মোট চাহিদার মাত্র ১০ ভাগ স্থানীয় উৎপাদন  থেকে মেটানো যায়। বাকি ৯০ ভাগই আমদানি করে প্রয়োজন মেটাতে হয়।

সর্বশেষ খবর