শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ১২ মে, ২০২২ ০০:০০ টা
১০০ জনের নামের তালিকা দুদকে

ধর্মব্যবসায়ীদের দুর্নীতির তদন্ত চায় গণকমিশন

নিজস্ব প্রতিবেদক

১ হাজার মাদরাসার ওপর তদন্ত করে ১০০ সন্দেহভাজন ধর্ম ব্যবসায়ীর একটি তালিকা তদন্তের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) জমা দিয়েছে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সমন্বয়ে গঠিত মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস তদন্ত গণকমিশন। গতকাল দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহর কাছে দুর্নীতির শ্বেতপত্র ও ১০০ সন্দেহভাজন ধর্ম ব্যবসায়ীর তালিকা তুলে দেওয়া হয়। গণকমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ও সদস্য সচিব ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল এ সময় উপস্থিত ছিলেন। শ্বেতপত্র পেশের পর কমিশনে নেতৃত্ব দেওয়া আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক গণমাধ্যমকে জানান, দুদকে দেওয়া তালিকায় নাম রয়েছে পুলিশ, ডিসি, ইউএনওসহ বিভিন্ন ব্যক্তির। ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ জানান, এই শ্বেতপত্রে ধর্মান্ধ গোষ্ঠীর অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের চিত্র রয়েছে। রয়েছে মানি লন্ডারিং সংক্রান্ত অপরাধও। গণকমিশন মনে করে, এ শ্বেতপত্র অনুযায়ী দুদক তদন্ত করলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া যাবে। বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, আমরা নয় মাস তদন্ত করেছি। বহু ভুক্তভোগীর সাক্ষ্য নিয়েছি। ২২০০ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন গত মার্চে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানকে দিয়েছি। তিনি ব্যবস্থা নেবেন বলে আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। ধর্মান্ধ গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আমরা দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছি। তারা মানিলন্ডারিং করেছে। জামায়াত ও ধর্ম ব্যবসায়ী গোষ্ঠীকে অর্থায়ন করা হচ্ছে। সেই দুর্নীতির তথ্য দিলাম। তাদের বাড়তে দেওয়া যায় না। দুদক চেয়ারম্যানের বক্তব্য তুলে ধরে সাবেক এই বিচারপতি বলেন, দুদক চেয়ারম্যান জানিয়েছেন অর্ধশতাধিক ওয়াজ ব্যবসায়ীর দুর্নীতির খোঁজ শুরু করেছেন। আমাদের রিপোর্ট দুদক আইন মতে ব্যবস্থা নেবে। যারা অপরাধ করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মামুনুল হকসহ যারা আছে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলমান রয়েছে। মানিক বলেন, আমাদের শ্বেতপত্র দুদকের কাজে আসবে। ডিসি, এসপি ও ইউএনওসহ যারা এই গোষ্ঠীদের উসকানি দেয় তাদের নাম উল্লেখ করেছি। বিশেষ করে নোয়াখালীর এসপির বিরুদ্ধে বলেছি। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করতে হবে। গণকমিশনের সদস্য সচিব ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ বলেন, আমরা ১ হাজার মাদরাসা ও ওয়াজকারীর ওপর তদন্ত করেছি, শ্বেতপত্রে বিস্তারিত আছে। সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী ও হেফাজতের কর্মকাণ্ড উঠে এসেছে। তাদের অর্থনৈতিক জবাবদিহিতার আওতায় আনা হবে বলে আমরা প্রত্যাশা করছি। একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও গণকমিশনের সমন্বয়ক কাজী মুকুল বলেন, মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ বিনির্মাণে এই রিপোর্ট। উল্লেখ্য একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি ও জাতীয় সংসদের আদিবাসী ও সংখ্যালঘু বিষয়ক ককাসের যৌথ উদ্যোগে গঠিত বাংলাদেশে মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস তদন্তে গণকমিশন সম্প্রতি বাংলাদেশে মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের ২০০০ দিন শীর্ষক শ্বেতপত্র প্রকাশ করে।

সর্বশেষ খবর