শনিবার, ১৪ মে, ২০২২ ০০:০০ টা
বিক্ষোভ চলছেই

শ্রীলঙ্কায় সরকার গঠন নিয়ে বিপাকে নতুন প্রধানমন্ত্রী

প্রতিদিন ডেস্ক

শ্রীলঙ্কায় সরকার গঠন নিয়ে বিপাকে নতুন প্রধানমন্ত্রী

কলম্বোর রাস্তায় সাঁজোয়া যান নিয়ে টহল দিচ্ছে সামরিক বাহিনী -এএফপি

সংকটের মধ্যে শ্রীলঙ্কার নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রবীণ রাজনীতিবিদ রনিল বিক্রমাসিংহে শপথ নেওয়ার পর সরকার গঠন ও অন্য মন্ত্রীদের নিয়োগের ক্ষেত্রে হিমশিম খাচ্ছেন। এদিকে প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষের পদত্যাগ দাবিতে এখনো বিক্ষোভ চলছে। সূত্র : রয়টার্স, আল জাজিরা, বিবিসি।

সর্বশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, বিক্রমাসিংহে হলেন ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টির একমাত্র আইনপ্রণেতা। সরকার গঠনের ক্ষেত্রে তাকে বিরোধীদের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। দেশটির বর্তমান সংসদে ২২৫টি আসন রয়েছে, যার মধ্যে ১০০টি রাজাপক্ষের নেতৃত্বাধীন দলের নিয়ন্ত্রণে। বিরোধীদের রয়েছে ৫৮টি আসন। বাকি আসনগুলো স্বতন্ত্রপ্রার্থীদের। এ অবস্থায় প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ার পর ঐক্যেরভিত্তিতে সরকার গঠন করতে চাইছেন বিক্রমাসিংহে। তবে এক্ষেত্রে প্রথমেই হোঁচট খেয়েছেন তিনি। কারণ বিরোধী দলের একজন সিনিয়র নেতা অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব নিতে অস্বীকার করেছেন। জানা গেছে, বিরোধী সংসদ সদস্য হার্শা ডি সিলভা প্রকাশ্যে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। কারণ তিনি প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ চান। তিনি বলেন, ‘মানুষ রাজনৈতিক খেলা ও চুক্তি পছন্দ করছে না। তারা একটি নতুন ব্যবস্থা চায়, যা তাদের ভবিষ্যৎকে সুরক্ষিত করবে।’ প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, এমতাবস্থায় সরকার গঠন নিয়ে বিপাকে পড়েছেন নতুন প্রধানমন্ত্রী। এদিকে রাজধানী কলম্বোতে প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের সামনে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ করে চলেছেন। তারা প্রেসিডেন্ট গোতাবায়ার পদত্যাগ দাবি চালিয়ে যেতে এখানে স্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন করেছেন। গতকাল বিক্ষোভকারীরা, ভয়াবহ অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের জন্য  প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে ও তার সহযোগীদের দায়ী করে তাদের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেন।

সে অনুযায়ী, কলম্বোর মূল চত্বরে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছেন হাজার হাজার মানুষ। এদেরই একজন চামালাগে শিবকুমার। তিনি বলেন, ‘আমাদের জনগণ ন্যায়বিচার পাওয়ার পর এই সংগ্রাম থামবে। যাকেই প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দেওয়া হোক না কেন, মানুষ স্বস্তি না পাওয়া পর্যন্ত এই সংগ্রাম থামাব না।’ বিক্ষোভকারীরা বলছেন, প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে ক্ষোভ নিরসনে বিক্রমাসিংহের নিয়োগ খুব কম কাজে আসবে। তাদের দাবি, শ্রীলঙ্কার সবচেয়ে ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটের চূড়ান্ত দায় প্রেসিডেন্টের। উল্লেখ্য, এর আগে ব্যাপক বিক্ষোভ-সহিংসতার মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর পদ  থেকে পদত্যাগ করেন প্রেসিডেন্টের বড় ভাই মাহিন্দা রাজাপক্ষে। এক সপ্তাহ ধরে চলা এ আন্দোলেনে নিহত হন আটজন ও আহত হন কমপক্ষে ৩০০ জন।

সর্বশেষ খবর