শিরোনাম
মঙ্গলবার, ১৭ মে, ২০২২ ০০:০০ টা

ঋণের বোঝায় ভালুকায় ধুঁকছে কুমির খামার

আসাদুজ্জামান সুমন, ভালুকা

ঋণের বোঝায় ভালুকায় ধুঁকছে কুমির খামার

ময়মনসিংহের ভালুকায় পি কে হালদারের কুমির খামার

পি কে হালদারের ঋণের বোঝা এবং মালিকানা দ্বন্দ্বে ২০১৯ সাল থেকে ধুঁকে চলেছে ময়মনসিংহের ভালুকায় গড়ে ওঠা দেশের প্রথম রেপটাইলস কুমির খামার। বেতন-ভাতাও পাচ্ছেন না ফার্মে নিয়োজিত কর্মচারীরা। জানা গেছে, পি কে হালদারের ঋণের বোঝায় জর্জরিত হয়ে প্রায় বন্ধ হওয়া রেপটাইলস ফার্ম লিমিটেড রক্ষা করতে বাংলাদেশ হাই কোর্ট থেকে একটি পরিচালনা পর্ষদ গঠন করে দেওয়া হয়েছে। ওই পর্ষদে ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে অস্ট্রোলিয়া প্রবাসী ও আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বিশিষ্ট কুমির বিশেষজ্ঞ এনাম হককে। তার নির্দেশনায় বর্তমানে পরিচালিত হচ্ছে খামারটি। অনুসন্ধান করে জানা গেছে, প্রতিষ্ঠার শুরুতে রেপটাইলস কুমির ফার্মের ৩৬ শতাংশ শেয়ার ছিল মেজবাহুল হকের। যিনি সম্পর্কে মুশতাক আহমেদের মামা। আর ১৫ শতাংশ শেয়ার ছিল মুশতাক আহমেদের। বাংলাদেশ ব্যাংকের ইইএফ প্রকল্পের ঋণ নেওয়ায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের শেয়ার ছিল ৪৯ শতাংশ। সেই হিসাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিনিধি ব্যাংক কর্মকর্তা প্রীতিশ কুমার সরকার ছিলেন পরিচালক। এর পরও কুমিরের খাবার, প্রজনন ও পরিচর্যার কাজে মোটা অঙ্কের বিনিয়োগ প্রয়োজন পড়ে। তখনই মেজবাহুল হক ও মুশতাক আহমেদের মধ্যে মতপার্থক্য বাড়তে থাকে। যা বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে আদালত পর্যন্ত গড়ায়। ২০১১ সালের মাঝামাঝি সময়ে প্রীতিশ কুমার সরকারের পক্ষ থেকে মুশতাক আহমেদকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়, ‘৩০ দিনের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের শেয়ার কিনে নেওয়ার জন্য টাকা জমা দিতে হবে। অন্যথায় বাংলাদেশ ব্যাংকের ৪৯ শতাংশ শেয়ারের পুরোটাই মেজবাহুল হকের নামে হস্তান্তর করা হবে।’ তখনই প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পি কে হালদারের সঙ্গে প্রীতিশ কুমার সরকারই মেজবাহুল হক ও মুশতাক আহমেদের যোগাযোগ ঘটিয়ে দেন। একপর্যায়ে ২০১২ সালে খামারের শেয়ার ছাড়তে বাধ্য হন কুমির খামারের স্বপ্নদ্রষ্টা মুশতাক আহমেদ। জানা গেছে, ২০১৩ সালের দিকে নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর রেপটাইলস ফার্মের নামে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে বিপুল পরিমাণ ঋণ বের করে নেন প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পি কে হালদার, যা আর শোধ হচ্ছে না। ফলে গত দুই বছর ধরে ওই ফার্মের অপ্রচলিত এ পণ্য আর রপ্তানি সম্ভব হয়নি। এমনকি চলতি বছরে কোনো উদ্যোগ নেই কুমির অথবা চামড়া রপ্তানির। উল্টো বিরূপ প্রভাব পড়তে শুরু করেছে ২৫ একর আয়তনের এ খামারটিতে।

সর্বশেষ খবর